বুধবার, ২০ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

আমাদের দুজনের টোনাটুনির সংসার

আমাদের দুজনের টোনাটুনির সংসার

ছোট পর্দার নন্দিত অভিনেত্রী নাদিয়া আহমেদ। অভিনয়ের পাশাপাশি নাচ, উপস্থাপনা ও মডেলিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে একক নাটকের তুলনায় ধারাবাহিক নাটকে বেশি ব্যস্ততা তার। এই তারকার সঙ্গে সাম্প্রতিক  বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল

 

নাদিয়া-নাঈমের সংসার কেমন চলছে?

সংসার সবার দোয়ায় বেশ ভালো যাচ্ছে। আমাদের দুজনের তো টোনাটুনির সংসার। আমরা নিজেদের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করি। বন্ধুদের নিয়ে থাকতে পছন্দ করি। আর আমরা দুজনই বিশেষ দিনগুলোতে একসঙ্গে থাকতে বেশি পছন্দ করি। একটু বাড়ির খাবার খেতে পছন্দ করি। তাই আমাদের মধ্যে অনেক কিছুরই মিল আছে। আবার কিছু অমিল তো থাকবেই।  আসলে সংসার মানেই যে শুধুই ভালোবাসা থাকবে তা তো না, মাঝে মাঝে একটু খুনসুটি হবে, ঝগড়া হবে। সব মিলিয়ে আমরা ভালো আছি। 

 

এই রোজার মাসেও নিজেকে ফিট রেখেছেন। আপনার মতো এরকম প্রাণবন্ত থাকার উপায় কী?

আমার জন্য সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট হলো আমি ছোটবেলা থেকেই নাচের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। যেহেতু নাচ একটা অনুশীলন; অনেক পরিশ্রম করতে হয়। তাই এই যে একটা অনুশীলনের মধ্যে যেহেতু আমাকে থাকতে হয় সেই কারণে হয়তোবা একই টাইপেরই অনেক দিন ধরে আছি। অথচ টেলিভিশনের জন্য নাটকে আমাকে যখন অনেকে দেখে আবার যখন সামনাসামনি দেখে তখন অনেকেই বলে, আপনি আগের থেকে একটু শুকিয়েছেন।  আসলে কিন্তু তা না। যেহেতু আমার চেহারাটা একটু গোল, তাই স্ক্রিনের ক্লোজআপ ক্যামেরায় আমাকে আরেকটু শুকনা লাগে। খুব বেশি কিছু করি না আমি। খাওয়াদাওয়াও যে আমি খুব একটা মেইনটেইন করি তাও না। তবে এখন রোজার মাস, রোজা রাখছি।

 

ফেসবুকে নাদিয়ার বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ানোর ছবি ভেসে বেড়ায়...

ঘুরতে আমার খুবই ভালো লাগে। আমার ছোটবেলা থেকেই দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ানোর স্বপ্ন। তাই যদি সুযোগ আসে, সে সুযোগগুলো আমি লুফে নিই। তবে আমি বলব, সবচেয়ে বেশি সুযোগ পেয়েছি নৃত্যশিল্পী হিসেবে। আমি সরকারিভাবে যখন বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করেছি, বাংলাদেশ কালচার অ্যান্ড মিনিস্টারের অধীনে তখন বিভিন্ন দেশে গিয়েছি, পারফরমেন্স করেছি, ঘুরেছি। তারপর তো নিজে নিজেও ঘুরেছি অনেক দেশ। এখন আবার আমার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আমার হাজব্যান্ড নাঈম। সে-ও ঘুরতে ভালোবাসে। তাই আমরা দুজনেই একসঙ্গে ঘুরি। আমেরিকাতে আমার পরিবার কিন্তু থাকে। আমার মা-বাবা ও ছোটবোন। আমার ছোটবোনও ভীষণ ঘুরতে ভালোবাসে। তাই যখন আমরা সময় পাই তখন নতুন কোনো জায়গায় ঘুরতে যাই। এ আনন্দটাই অন্যরকম!

 

ঈদ তো দরজায় কড়া নাড়ছে। তাই ঈদ প্ল্যান কী?

আমার মা, বোনজামাই সবাই এবার ঈদে আসছে। সো, ঈদ মানেই তো আনন্দ। তাই এই আনন্দটা আমি সব সময় পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ছাড়াও কাছের মানুষদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভালোবাসি। অন্যদিকে দর্শকদের জন্য কিছু ভালো কাজ দেওয়ারও চেষ্টা থাকে। সো, দুটোই থাকবে। এই ঈদটা আমার ও নাঈমের জন্য স্পেশাল। কারণ অনেক দিন বাদে আমার মা আর ছোটবোন বিশেষ করে প্রথমবারের মতো আমার বোনজামাই এখানে ঈদ করবে।

 

নাদিয়া-নাঈম কাপল হিসেবে ১০ নম্বরের মধ্যে নিজেদের কত নম্বর দেবেন?

নিজেদের নিজেরাই কি কোনো পয়েন্টস দেওয়া যায়? তবে আমরা ভালো আছি সবার দোয়ায়।  আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

 

নতুন কাজ নিয়ে এই বছরটা কেমন যাচ্ছে?

বছরের শুরুটা ভালো হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে ছিলাম, দেশের বাইরে ছিলাম।  বিদেশ থেকে আসবার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা একটা কাপল শো করেছি; রান্নার অনুষ্ঠান নিয়ে। অনুষ্ঠানটির নাম ‘ভালোবাসার কিচেন’। সেই শোটা সবার কাছেই গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। এখন যেহেতু রোজার মাসে, সামনে ঈদ, তাই কিছু এদের কাজ করছি। আর আমার পুরনো যে সিরিয়ালগুলো ছিল বিশেষ করে বকুলপুর, যারা ভীষণভাবে দেখেন সেই কাজটা তো চলছেই। নাচের কিছু কাজ চলছে।  এসব মিলিয়েই ঈদ ব্যস্ততা।

সর্বশেষ খবর