বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

সবারই বুক পকেটে ভালোবাসা থাকে

এ প্রজন্মের অভিনেতা খায়রুল বাসার। সংগীতে পড়ালেখা শেষ করলেও ২০১১ সালে মূকাভিনয় দিয়ে অভিনয়ে থিতু হন। এরপর বেশকিছু নাটক ও ওয়েব কনটেন্ট দিয়ে তিনি আলোচনায় আসেন। পাশাপাশি তিনি করছেন সিনেমা। ঈদে তার অভিনীত ‘কাজল রেখা’ প্রেক্ষাগৃহে আসছে। সাম্প্রতিক কাজ ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

সবারই বুক পকেটে ভালোবাসা থাকে

কাজল রেখার মাধ্যমে বড় পর্দায় ফের আসছেন...

হুমম, এই ঈদে সেলিম ভাইয়ের সিনেমাটি আসছে।  তাই সিনেমায় ফের আমাকে দেখা যাবে।

 

সিনেমাটি কেমন লাগবে দর্শকদের বলে আশা করছেন?

কাজল রেখা খুবই দারুণ একটি কাজ। বিশেষ করে আমি কাজটি নিয়ে এক্সসাইটেড। এই যে লোকগল্প বা  লোকগাথা থেকে সিনেমা নির্মাণ, সেটি অবশ্যই ভিন্ন রকম কাজ বলা যায়। কাজল রেখার সঙ্গে আমার পরিচয় যখন আমি মিউজিক ডিপার্টমেন্টে ছিলাম। সে সময় ময়মনসিংহ গীতিকা নিয়ে পড়া হতো আমার।  গীতিকাতে গানে গানে গল্পগুলোকে বর্ণনা করা  হতো। তখন কাজল রেখা সম্পর্কে আমার একটা ধারণা পাওয়া। তো যখন সেলিম ভাইয়ের কাছ  থেকে শুনলাম যে কাজল রেখা হচ্ছে এবং আমি একটি চরিত্র প্লে করছি, তখন খুবই এক্সসাইটেড হয়ে পড়লাম। বললাম, হ্যাঁ ভাই, অবশই করব। কারণ এ ধরনের কাজ তো আসলে সচরাচর পাওয়ার সুযোগ হয় না। আর এ কাজটি হওয়ার পর আবার কখন কবে ময়মনসিংহ গীতিকা নিয়ে কাজ হবে, সেটা নিয়ে বলাও মুশকিল। তো আমি এ ধরনের কাজ আসলে মিস করতে চাই না। 

 

কাজল রেখার প্রেমিক হিসেবে কি দেখা যাবে?

সিম্পলি যদি বলি আমার চরিত্রটি একটি মিচকে শয়তান। যদিও সে অন্য একটা রাজ্যের রাজপুত্র। ঘটনাক্রমে সে এ রাজ্যে আসে কিছু বিষয় সম্পর্কে বিশ্লেষণ বা ধারণা দেওয়ার জন্য। এরপর সে এক ধরনের গুটি চলে আর কি! এই গুটি বা খল চালটা কোনদিকে যাবে সেটা অবশ্য হলে গিয়ে জানা যাবে। 

 

এ সিনেমায় সাদিয়া আয়মানের সঙ্গে  কোনো দৃশ্য রয়েছে?

না, আমি তো ছোটবেলায় দেখা করতে পারি নাই, বড়বেলায়-ই ছিলাম। তো  ছোটবেলার কাজল রেখা সাদিয়া আয়মানের সঙ্গে আমার কখনোই দেখা হয় নাই। 

 

সামনে আর কী কী কাজ আসবে?

এখন টেলিভিশন ফিকশন নিয়ে কাজ হচ্ছে। এগুলোর চাপ-ই বেশি। তো যেসব গল্পে কাজ করছি আমি মনে করি গল্পগুলো ভালো, দর্শক পছন্দ করবেন। আমার মনে হয়, বিগত কাজগুলো যেমন দর্শক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে, সামনের কাজগুলোও ঠিক তেমনি গ্রহণযোগ্যতা পাবে। 

 

ওটিটিতে বেশকিছু কাজ করেছেন। এ প্ল্যাটফরম কতদূর যেতে পারে?

ওটিটির ভবিষ্যৎ আসলেই সুন্দর এবং আরও সুন্দর  হোক। কারণ এখানে কিছু গল্প বলার জন্য যদি আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি হয় এবং অভিনয় করতে বা সেই গল্পটা বলতে যদি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ হয় তাহলে এটি অনেক দূর যাবে। ওটিটির প্রতি বাহবা তো থাকবেই। সঙ্গে ভালো কিছুর আশাও রাখি। কারণ এখানে কাজ করে এক ধরনের স্বস্তি আসে। পাশাপাশি টেলিভিশনের কাজও কিন্তু এখন ভালো হচ্ছে। কিছুদিন আগেও মান নিয়ে যে প্রশ্ন ছিল, যেটা নিয়ে আমরা অনেক বেশি উদ্বিগ্ন ছিলাম, অনেক আওয়াজ হতো, সেটা কিছুটা হলেও ঠিক হয়েছে। আমি মনে করি, এ আক্ষেপটা দুই বছর পর এসে ঘুচেছে বা কমেছে। সেই চেষ্টা আছে। আমরা যারা নতুনরা তারাও ভালো কিছু করার চেষ্টায় আছি। 

 

বুক পকেটে ভালোবাসা আছে কি?

বুক পকেটে ভালোবাসা সবার জন্য আমার, সব সময়।

 

সবার জন্য নয়, একজনের জন্য আছে কি এখনো?

কারও জন্য তো সবারই বুক পকেটে ভালোবাসা থাকে। সঞ্চিত রয়েছে।  মানুষটা থাকুক বা না থাকুক, বুক পকেটে ভালোবাসা থাকবেই।

 

সর্বশেষ খবর