রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

আত্মকেন্দ্রিকতা নিজের মধ্যে থাকাটা ভালো

আত্মকেন্দ্রিকতা নিজের মধ্যে থাকাটা ভালো

তারকা কণ্ঠশিল্পী মুহিন খান। অর্জনের ঝুলিতে পুরেছেন প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে জাতীয় পুরস্কারও। এখন গীতিকার, সুরকার-সংগীত পরিচালক হিসেবেও বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।  এ শিল্পীর সঙ্গে সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

গান নিয়ে সামনের পরিকল্পনা?

বেশ কয়েকটি সিনেমার ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর ও মিউজিকের কাজ করছি। আপাতত সিনেমার মিউজিক এবং আমার নিজস্ব ইউটিউব প্ল্যাটফরম মুহিন খানের জন্য গান তৈরি করছি। ঘোষণা দিয়েছিলাম ৫০টি গান তৈরির, সেটা নিয়মিত প্রকাশ হচ্ছে আমার চ্যানেলে।

 

প্রত্যেক শিল্পীই এখনো নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বন্দি। এটা সংগীত প্রসারে কার্যকরী?

যেহেতু কপিরাইট ইস্যুটা থাকে এবং গানের প্রোডাকটিভিটি বাড়াতে গানের গায়ক তার গানটা নিজের কাছে রাখতে চায়। কপিরাইট নীতিমালা এখনো তেমন করে স্ট্রং হয়নি, কেউ যদি চেষ্টা করে তার পারসোনাল ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে কাজ করবে তবে সে করতে পারে। এখন তো মার্কেট সবার জন্য খোলা। হরেকরকমের গান সৃষ্টি হচ্ছে।

 

জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর আর কিছু অর্জনের বাকি রয়েছে?

অবশ্যই। জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর সবচেয়ে বড় যে ভূমিকাটা থাকে তা হলো- দায়িত্ববোধ। এখন গান করার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়ার বিষয়টি আর থাকছে না। গান গাওয়া ও গান সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে যেন কোনো অবহেলা না হয়, এ সতর্কতা আরও বেশি করে খেয়াল করতে হচ্ছে আমার। এটা দায়িত্বশীল হওয়ার মতো একটা জায়গা।

 

প্লেব্যাক শিল্পী কম তৈরি হওয়ার কারণ কী?

সিনেমা হলের সংখ্যা কম। রিলিজ হচ্ছে কম। সেক্ষেত্রে গানের সংখ্যাও কম। সব মিলিয়ে সিনেমা মার্কেট তো কদিন আগেও তেমন করে ছিল না। অবশ্য এখন একটু চাঙা হচ্ছে। ভালো ভালো কিছু গান আসছে।

 

যারা বিভিন্ন ট্যালেন্ট হান্ট থেকে এসেছিল তারা কি নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে পেরেছে, নাকি হারিয়ে গেছে?

সত্যি বলতে আমি নিজেই এখনো পারিনি। ইন্ডাস্ট্রিরটা অনেক ছোট। এ জায়গায় কাজ করতে গেলে যে তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সক্ষম হবে সে-ই তো নিয়মিত কাজ করতে পারবে। তবে আমার কাছে মনে হয় না কেউ হারিয়ে গেছে। কেউ কম কাজ করছে অথবা কেউ বেশি করছে। এ পার্থক্য, এর বাইরে কিছু নেই।

 

অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ভিন্ন বাণিজ্যিক চিন্তায় শিল্পীরা গান সৃষ্টিতে অনাগ্রহী হচ্ছে বলে মনে করেন?

অবশ্যই হচ্ছে। অনেকে গান গাইতে গিয়ে দেখছে যে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিক পর্যালোচনা করছে না। সেক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে যাচ্ছে সবাই। অনাগ্রহী হচ্ছে গান গাওয়ায়। এখন তো অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নাটকের গান কিংবা অন্য জায়গায় অধিক লাভের আশায় এক ঢিলে দুই পাখি মারার জন্য ব্যতিব্যস্ত।

 

এখনকার শিল্পীরা আত্মকেন্দ্রিক কেন?

আত্মকেন্দ্রিক সবাই। আমি আপনি সবাই। তবে আত্মকেন্দ্রিক হতে হবে তার শিল্পী সত্তার ওপর। আত্মকেন্দ্রিকতা যেন দর্শকদের ওপরে না হয়। আত্মকেন্দ্রিকতা নিজের মধ্যে থাকাটা ভালো।

সর্বশেষ খবর