বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

আমি সব সময় উপবাসেই থাকি

আমি সব সময় উপবাসেই থাকি

এই প্রজন্মের অন্যতম আলোচিত এবং প্রশংসিত অভিনেতা সোহেল মন্ডল। ‘মুসাফির’ চলচ্চিত্র দিয়ে শোবিজে পদার্পণ করলেও  তাকদীর ওয়েব সিরিজের ‘মন্টু’ চরিত্রটি দিয়ে মিডিয়ায় হইচই ফেলে দেন। এরপর তিনি অসংখ্য ওটিটির কাজ, নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

নতুন বছরটা কেমন যাচ্ছে?

ভালোই যাচ্ছে। সামনেও ভালো যাবে আশা করছি। আসলে কাজ করতে পারছি, এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় ব্লেসিং।

 

কলকাতা ফিল্মফেয়ারে মনোনয়ন পেয়েও যেতে পারছেন না। খারাপ লাগছে না?

এরকম আয়োজনে না  যেতে পারায় খুবই খারাপ লাগছে। কিছু তো করারও নেই, ভিসা তো এত কম সময়ে পাওয়া যাবে না। তবে আমি আনন্দিত। এই ছোট অর্জনগুলো একটু হলেও তো ভাবায়, তাই না? এই স্বীকৃতিগুলো কোন পথে আছি সেটার দিকনির্দেশনা করে।

 

তাকদীরের পর সোহেল মন্ডলের অবস্থান...

আসলে এখনো ভালো ভালো কাজ উপহার দেওয়ার মতো সময় ও সুযোগ পড়ে আছে। এখনই যদি সব শেষ হয়ে যায় তাহলে সামনে আরও ভালো কাজ কী দেব? আমি প্রতিনিয়ত ভালো কাজ করে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি। অডিয়েন্সের ভালোবাসায় ও ভালো ফিল্মমেকারের চেষ্টায় কিছু ভালো কাজের সঙ্গে আমার সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ হয়েছে। সামনে আশা করছি আরও কিছু ভালো কাজ আসবে। সো, প্রতিনিয়ত ভালো কিছু করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই চেষ্টাটা জারি থাকবে আর কি।

 

ওপারে ভক্তের মুখোমুখি হওয়ার পর অভিজ্ঞতা কেমন?

আসলে আমি কলকাতার সঙ্গে জাস্ট একটা কোলাবোরেশন করেছিলাম। ‘মায়ার জঞ্জাল’ নামে একটি ছবি করেছিলাম। আর হইচই ও চরকির কারণে আমার অভিনীত নানারকম কনটেন্ট তারা দেখছেন। সেই জায়গা থেকে একটা তো পরিচিতি তৈরি হয়েছে। তাই জানি ওখানকার অডিয়েন্সের ভাইব। তবে ওইভাবে তো রাস্তাঘাটে দেখা হয় না। তবে ওইখানে গেলে একটা গুড ভাইব পাই দর্শকের কাছ থেকে। সেখানকার সাংবাদিক ও ভক্তদের কাছ থেকেও অনেক প্রশংসাসূচক কথা শুনি। তারা প্রশ্ন করেন, কথা বলেন। ভালো লাগে যে অন্তত নামটা জানেন আমার। কাজটা দেখেন এটা বোঝা যায়। এটা তো একজন অ্যাক্টরের জন্য ব্লেসিং, একটা বড় অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছানোটা। তাই তারা যেন হতাশ না হন, চেষ্টা করে যাচ্ছি ভালো কিছু কাজ উপহার দেওয়ার।

 

‘মায়ার জঞ্জাল’ কাটিয়ে সামনে আর কী কাজ আসছে?

সামনে মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের ‘বনলতা সেন’ আসছে। বদরুল আনাম সৌদের ‘শ্যামাকাব্য’ আসছে। একটা ইন্ডিফিল্ম করছি। নামটা এখনো ঠিক হয়নি। তো ওটাও একটা ভালো কাজ হবে। টেলিভিশনে এবার অনেক কাজ করেছি। ঈদে অনেক কাজ আসবে বলে আশা করছি। এইতো! আর ওটিটিতে দীপ্তপ্লের জন্য একটা ওয়েব ফিল্ম করেছি। আরও অনেক কাজ আসবে। অডিয়েন্সে কানেকটেড থাকলে এক এক করে সবকিছুই জানতে পারবেন।

 

ফিট থাকার রহস্য কী?

আমি সব সময় উপবাসেই থাকি। সারা বছর আমার ফাস্টিং চলে। এক-দুইটা মিল সারা দিন খাই। আর ক্যারেক্টারের প্রয়োজনে তো আমাদের নানা রকম শারীরিক গঠনে থাকতে হয়। সেটাও একটা কারণ।

 

এবারের ঈদ প্ল্যান?

আমি সব সময় হোমটাউনে ঈদ করি। সেখানে আমার বাবা-মা-দিদা থাকেন। তাই সবার সঙ্গে ঈদ করাটা আমার জন্য জরুরি হয়ে যায়। ফ্যামিলির সঙ্গে ঈদ করতে পারলে ভালো লাগে। সো, আমি সব সময় ফ্যামিলির সঙ্গেই ঈদ কাটাই।

সর্বশেষ খবর