মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

ভালোবাসার অপর নামই মায়া

ভালোবাসার অপর নামই মায়া

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই একের পর এক চমক নিয়ে বড় পর্দায় হাজির হচ্ছেন ঢাকাই সিনেমার কুইন শবনম বুবলী। এবারের ঈদেও প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে এ নায়িকার দুই সিনেমা ‘মায়া’ ও ‘দেয়ালের দেশ’। পোস্টার-টিজার প্রকাশের পর থেকেই তার সিনেমা দুটি নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। এ তারকার সঙ্গে সাম্প্রতিক কাজ নিয়ে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল

 

মায়ায় জড়ালেন কীভাবে?

মায়ার সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা হয়েছে কয়েক বছর আগেই। তখন পুরোপুরি লকডাউনের একটা সিচুয়েশন ছিল। সেসময় গল্পটা আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হয়েছে, এরপর ফোন করা হয়েছিল। তখন তো আমাদের ফেস টু ফেস মিটিংটা আসলে কম হতো। সো ফোনে ফোনে আমরা মিটিংটা অনেকখানি এগিয়ে নিয়েছিলাম। এ সিনেমার পরিচালক জসীম উদ্দিন জাকির আমার সঙ্গে টিমের হয়ে যোগাযোগ করেছিলেন। তখন আমি বললাম ‘গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে’। আসলে অনেকদিন পর বাংলাদেশে একটি মাল্টিকাস্টিং ফিল্ম হতে যাচ্ছে। এখানে আমি আছি। আমার সঙ্গে রোশান, সাইমন ও আনিসুর রহমান মিলন ভাই আছেন। মানে প্রত্যেকেই প্রত্যেকের জায়গায় সেরা। সো এ মানুষগুলোর সঙ্গে যখন স্ক্রিন শেয়ার করছি তখন তো ভালোলাগার বিষয়ই। আসলে চমৎকার গল্পের একটি সিনেমা হচ্ছে ‘মায়া’। আমার মনে হয় দর্শকরা খুবই ইনজয় করবে।

 

এক সিনেমায় বুবলীর তিন নায়ক- এটা আগে কখনো দেখা যায়নি, তাই না?

এর আগে পর্যন্ত হয়নি। এই প্রথম তিনজন হিরোর বিপরীতে আসলে আমাকে স্ক্রিনে দেখা যাবে। তিনজন হিরোর মাঝেই আমাকে নিয়ে ভালোবাসা। সিনেমায় সাধারণত দেখা যায় দুই নায়কের সঙ্গে এক নায়িকা নিয়ে গল্প লেখা হয়। কিন্তু এ ‘মায়া’ সিনেমায় তিনজন নায়ককে পেয়েছি। এটা নায়িকা হিসেবে নিঃসন্দেহে দারুণ একটা ব্যাপার। আর আমার কাছে মনে হয় যে, ভালোবাসার অপর নামই হচ্ছে মায়া। ভালোবাসাটা যেমনই থাকুক, মায়াটা কিন্তু সবসময়ই থাকতে হয়। আমরা প্রেমটাকে ফোকাস করলেও পারিবারিক সব সম্পর্কেই থাকে মায়া। সবচেয়ে স্ট্রং শব্দই হচ্ছে মায়া। তা বাবা-মা, ভাই-বোন, প্রেমিক-প্রেমিকা, হাজব্যান্ড-ওয়াইফ, সন্তান-সবকিছু মিলিয়েই। সেখান থেকে আমি মনে করি, নামটা যেমন মিষ্টি তেমনি গল্পের কারণে দর্শক মায়ায় আটকে যাবেন।   

 

আপনার অভিনীত ‘দেয়ালের দেশ’ রয়েছে আলোচনায়...

এটা আমার খুবই সৌভাগ্য। অলমোস্ট নয় বছর ধরে প্রত্যেক ঈদেই আমার সিনেমা থাকছে। এটি সম্ভব হয়েছে আমার দর্শকদের ভালোবাসার কারণেই। আমি আন্তরিকভাবে আমার সব দর্শক, ডিরেক্টর, প্রডিউসার ও কো-অ্যাক্টর সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ, সবাই মিলেই তো একটা টিম। স্পেশাল ধন্যবাদ আপনাদের মতো সাংবাদিকদের। আপনারা তো আমাদের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সেখান থেকে বলব যে, ‘দেয়ালের দেশ’ ও ‘মায়া’ সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের সিনেমা। তবে হ্যাঁ, দেয়ালের দেশ নিয়ে খুবই ভালো রেসপন্স পাচ্ছি। যেখানে আমাকে পুরোই অন্যরকমভাবে দেখা যাবে। তাই দেয়ালের দেশের অভাবনীয় রেসপন্স আমাদের মুগ্ধ করছে। সবাই চমৎকার গল্পের একটি সিনেমা দেখবে। আমার সঙ্গে রাজ আছে। ও খুবই ভালো অভিনেতা। এ সিনেমার যিনি ডিরেক্টর মিশুক মুনীর প্রথম সিনেমা এটি। আর সিনেমাটোগ্রাফার সাহিল রনি এতটা যতœ সহকারে চিত্র ধারণ করেছেন যা কল্পনাতীত। আসলে আমি সবসময় চাই প্রত্যেকটি বাংলা সিনেমা সবাই দেখুক সিনেমা হলে গিয়ে। আসলে বাংলা চলচ্চিত্রের স্বার্থে, আমাদের সবার সঙ্গে বাংলা চলচ্চিত্রের পাশে থাকতে হবে। 

 

টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে যাত্রা শুরু হলো...

টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে আপনাদের দোয়ায় আমার যাত্রা শুরু হলো। রাশেদ রাহার ‘ফ্লাশব্যাক’ সিনেমার মাধ্যমে। কবে রিলিজ হবে সেটিও খুব তাড়াতাড়ি জানতে পারব। এ সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে মনে হয়েছে যে বাংলাদেশের মতো তারাও খুবই আন্তরিক। সেখানকার কলকাতার টিম, টেকনিশিয়ান, ইনফ্যাক্ট আমাদের ডিরেক্টর রাশেদ রাহা ভালো একটি কাজ করেছেন। আমার সঙ্গে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বড় অভিনেতা কৌশিক গাঙ্গুলী স্যার, সৌরভদা আছেন। বলা যায় সবমিলিয়ে দুর্দান্ত একটা টিম। তা দেখব সবাই অচিরেই।

 

শেহজাদকে নিয়ে কেমন দিন কাটছে? এবারের ঈদ কেমন কাটবে?

খুবই ভালো। আলহামদুলিল্লাহ ভাইয়া। পরিবার, আমার শেহজাদসহ খুবই ভালো যাচ্ছে আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায়। আর ঈদে তো সবসময় আমি পরিবারকে প্রায়োরিটিটা দেই। এর সঙ্গে আমার চলচ্চিত্র পরিবার। সো, ইনশা আল্লাহ খুবই ভালো যাবে।

সর্বশেষ খবর