বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

কখনো অন্ধের চরিত্রে অভিনয় করিনি

কখনো অন্ধের চরিত্রে অভিনয় করিনি

দুই বাংলার জনপ্রিয় তারকা চঞ্চল চৌধুরীর ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। দুই বাংলার সিনেমা, ওটিটি ও ছোটপর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে মুগ্ধতা কাড়ছেন দর্শকের। ঈদে আসছে তাঁর কিছু কাজ। সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

এবার ওটিটিতে অন্ধ গোয়েন্দা চঞ্চল হিসেবে চমক নিয়ে এসেছেন। কেমন হবে চরিত্রটি?

এটি হইচইয়ের সিরিজ ‘রুমি’। ভিকি জাহেদের নির্মাণ। আসলে আমি আগে বিভিন্ন সিরিজে যেসব চরিত্রে হাজির হয়েছি, রুমি তার চেয়ে একেবারে আলাদা। এ কারণে আমি অনেক বেশি উচ্ছ্বসিত। আমি তো কখনো অন্ধের চরিত্রে সেভাবে অভিনয় করিনি। প্রায় ১৫ বছর আগে টিভি নাটকে করেছিলাম। তবে সে সময়ের অভিজ্ঞতা ছিল ভিন্ন। এখন নিশ্চয়ই আরও বেশি ম্যাচিওর হয়েছি। তার ওপর ভিকির মতো নির্মাতার সঙ্গে কাজ করলাম। সেটার সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতার সমন্বয়ের চেষ্টা করেছি। ঈদ উপলক্ষে ১৩ এপ্রিল হইচইতে মুক্তি পাবে ‘রুমি’। আশা করছি ভালো লাগবে দর্শকের।

 

আর ফারুকীর ‘মনোগামী’ নিয়ে অভিমত কী?

মনোগামীর চিত্রনাট্য পড়ার পর রাত একটা-দেড়টার দিকে আমি ফারুকী ভাইকে একটা মেসেজ দিয়েছিলাম যে, আপনার জীবনের সমস্ত ঘটনা এভাবে লিখে দিলেন! আর সেখানে আমাকে দাঁড় করিয়ে দিলেন! এই গল্পের মধ্যে জীবন, বাস্তবতা, লুকোচুরি, যাই বলেন না কেন; যে কথাগুলো আমরা আসলে স্বীকার করি না, সেই সব বিষয় আছে। আবার এর সঙ্গে আনন্দ, টুইস্টও আছে।

 

এ ছবিতে বাবার সঙ্গে ছেলে শুদ্ধ অভিনয় করেছে। তার অভিনয়ে বাবা চঞ্চল কতখানি খুশি?

শুদ্ধর যথেষ্ট ইচ্ছা আছে অভিনয়ের। শুধু ইচ্ছায় তো আর কাজ হবে না। আগে তো শুটিং দেখতে হবে, এরপর অভিনয়টা শিখতে হবে, তারপর তো অভিনয়। আমি মনে করি, চঞ্চল চৌধুরীর ছেলে বলেই যে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েই খুব সহজে অভিনেতা হয়ে যাবে, ব্যাপারটা এ রকম নয়। তবে যতটুকু ও চেষ্টা করেছে আমি খুব খুশি।

 

বড় বাজেটের সিনেমায় প্রমোশন তেমন করে চোখে পড়ে না...

যাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয় সে যদি তার দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করতে পারে তাহলে খুব ভালো। না পারলে তার জন্য সে সমালোচিত হবে। এ বিষয় সম্পর্কে আমার আসলে বলার কিছুই নেই।

 

মনপুরার সেই সোনাই চরিত্রের পর আয়না, মিসির আলী, চান মাঝি রূপে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন। এরপর তো মৃণাল সেনে একাকার চঞ্চল...

আসলে যখন যে চরিত্রে অভিনয় করি সে চরিত্রের সঙ্গে ব্যাপারটা এরকম নয় যে, শুধু ক্যামেরা রোল দিল, অ্যাকশন বলল আর সঙ্গে সঙ্গে অ্যাক্টিং শুরু হয়ে গেল। ওইভাবে আসলে চরিত্র হয়ে ওঠা যায় না। সে চরিত্রটাকে নিয়ে জীবনযাপন করতে হয়। নিজের মধ্যে ধারণ করতে হয়। শুধু মৃণাল সেন নয়, এর আগেও আমি যে চরিত্রগুলো করেছি সবগুলোর কথা বলব না। স্পেশাল যে চরিত্রগুলো আছে বা যে কাজগুলো দর্শকনন্দিত বা দর্শক পছন্দ করেছে, ওই চরিত্রগুলোর সঙ্গে আসলে অনেক দিনের বসবাস। এ চরিত্রগুলো হয়ে ওঠার জন্য একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়ে যেতে হয়। রিহার্সেল করতে হয়। চরিত্রগুলোকে প্রথমে নিজে বিশ্বাস করা, তারপর বিশ্বাসের জায়গা থেকে নিজেকে ভুলে ওই চরিত্র হয়ে ওঠা। এটা একটা অভিনেতার অভিনয় প্রক্রিয়া বা প্রস্তুতি। যেটা সে নিজের মতো করে নেয়। এটা একেক অভিনেতা একেকভাবে নেন,  আমি একভাবে নিই।

 

অন্যান্য কাজ নিয়ে জানতে চাই।

নতুন প্রজেক্ট নিয়ে কিছু কথাবার্তা চলছে।

 

নতুন কোনো গান আসছে?

গান নিয়ে আমার প্ল্যান থাকে না। কারণ আমি তো সিঙ্গার নই।

সর্বশেষ খবর