শিরোনাম
শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

মহানায়িকার যত গল্প ...

মহানায়িকার যত গল্প ...

‘জীবনও মরণও মাঝে এসো গো বধূরও সাজে এই তো মোর সাধনা...চাই না তো কিছু আর...’ বিখ্যাত ‘হারানো সুর’ ছবিতে এমনই আবেগ ছিল মহানায়িকার ঠোঁটে। সবার ভালোবাসার  এই নায়িকার জীবন ছিল ঘটনাবহুল। এপার বাংলার রমা দাশ টালিগঞ্জে গিয়ে হলেন সুচিত্রা সেন। আজ জন্মদিনে তাঁর জীবনের নানা গল্প তুলে ধরেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ

 

 অসাধারণ ব্যক্তিত্ব

পরিবারের বাইরে যখন কারও সঙ্গে দেখা করতেন না সুচিত্রা সেন তখন রাতে মাঝে মাঝে হাঁটতে বের হতেন। হাঁটার সময় একবার এক পুলিশ অফিসার সুচিত্রাকে জানান, রাতে জায়গাটা নিরাপদ নয়। সেই থেকে রাতে হাঁটতে বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। বাইরে বের হলে মানুষ তাঁকে চিনে ফেলবে, সে কারণে দিনেও বের হতেন না। তবে তার সঙ্গে পরিচিতজনরা বাসায় দেখা করতে আসতেন। বাসায় তিনি যেভাবে থাকতেন, অনেকটা সেভাবেই দেখা করতেন। বাড়তি সাজগোজ তাঁর থাকত না। সুচিত্রা সেন আড্ডাপ্রিয় ছিলেন। পছন্দের মানুষের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলতেন। তাঁর মেয়ে মুনমুন সেন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘একবার মা হাসপাতাল থেকে ফেরার সময় বলছিলেন, এবার বাসায় গেলে ভালো লোক নিয়ে আসিস, যাঁদের সঙ্গে কথা বলে কিছু শেখা যায়।’ নিজের চেষ্টায় সব কিছু অর্জন করেছিলেন সুচিত্রা। এ জন্য তিনি নিজেকে নিয়ে অহংকার করতেন। মেয়েকে বলতেন, ‘নিজের পায়ে দাঁড়াও, কারও ওপর নির্ভর কর না। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন আশাবাদী মানুষ। কখনই ভেঙে পড়তেন না। ছিলেন অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। একবার রাজকাপুর একটি ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব নিয়ে তাঁর বাসায় আসেন। সঙ্গে এনেছিলেন ফুলের তোড়া। পরে আচমকা ফুলগুলো রেখে সুচিত্রার পায়ের কাছে বসে পড়েন রাজকাপুর। এমন কান্ডে  হতবাক হয়ে যান সুচিত্রা। এমন ব্যক্তিত্ব তাঁর পছন্দ না হওয়ায় ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। এককথায় অসাধারণ ব্যক্তিত্বের আঁধার ছিলেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন।

 

খামখেয়ালিপনা

পর্দার বাইরেও একই সঙ্গে তাঁর দাপুটে ও মোহময়ী ব্যক্তিত্বের জন্য জনপ্রিয় ছিলেন ‘মিসেস সেন’। সুবিদিত ছিল তাঁর খামখেয়ালি মেজাজের কথাও। ২০১৪ সালে একটি পোর্টালে প্রকাশিত লেখা থেকে জানা যায় এমনই মজার এক ঘটনার কথা, যা কোনো এক সময় বলেছিলেন ‘মহানায়িকা’র জীবনীকার প্রাক্তন সাংবাদিক গোপাল কৃষ্ণ রায়। ফোনের ওপর থেকে একবার সরাসরি এই সাংবাদিককে সুচিত্রা বলে উঠেছিলেন, ‘আপনাকে তো অত সহজে চুমু দেব না।’ শোনামাত্রই হতভম্ব হয়ে গেছিলেন গোপালবাবু। সত্তর দশকে অন-স্ক্রিন চুম্বন দৃশ্য কতটা গ্রহণযোগ্য তা নিয়ে উত্তাল হয়েছিল দেশ। অন-স্ক্রিন চুম্বন দৃশ্য দেখানো ঠিক না ভুল তাই নিয়ে শুরু হয়েছিল গন্ডগোল। বিতর্কের আঁচ পৌঁছেছিল সংসদ পর্যন্ত। সেই সময়ে ইউএনআইয়ের অন্যতম নামকরা সাংবাদিক গোপালবাবু এ বিষয়টির ওপর বিনোদন জগতের নামকরা ব্যক্তিত্বদের মতামত জানার জন্য একগোছা প্রশ্ন সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়দের পাঠিয়েছিলেন। ওই তালিকায় ছিলেন ‘মহানায়িকা’ও। সবাই সে সব প্রশ্নের জবাব দেওয়ার মাধ্যমে নিজেদের সুচিন্তিত মতামত জানিয়েছিলেন গোপালবাবুকে। একমাত্র জানাননি ‘মিসেস সেন’। শেষমেশ দেরি হয়ে যাচ্ছে দেখে সুচিত্রা সেনকে ফোন করেন গোপালবাবু। ফোন তুলে কোনো ভূমিকা না করে সাংবাদিককে ‘মহানায়িকা’ বলে ওঠেন, ‘এত সহজে তো আপনাকে চুমু দিতে পারব না আমি!’ মজার ছলে একথা বলা হলেও বুঝতে পারেননি গোপালবাবু। অভিনেত্রীর কথায় রীতিমতো চমকে ওঠেন তিনি। পরে বিষয়টি তাঁর বোধগম্য হলেও পাল্টা তিনিও জবাব দিয়েছিলেন, সে ক্ষেত্রে আপনার মতামত ছাড়াই আমার এই প্রতিবেদন ছাপা হবে এবং তাই-ই হয়েছিল।

 

‘আমি হেরে গেলাম উত্তম’

উত্তম-সুচিত্রা বাঙালির চিরন্তন রোমান্টিক জুটি। তাঁদের ঘিরে আজও কৌতূহল অন্ত নেই। সুচিত্রা সেন মানেই উত্তম কুমার, আর উত্তম কুমার মানেই সুচিত্রা সেন-এ কথা বললে বোধহয় অত্যুক্তি হবে না। ১৯৮০ সালে ২৪ জুলাই যখন মহানায়কের প্রয়াণে শোকে পাথর হয়ে গিয়েছিল গোটা বাংলা, সে সময় উত্তমের ভিটেয় তাঁর প্রিয় রমার আগমনের কাহিনি যে কোনো সিনেমার ক্ল্যাইম্যাক্সকে হার মানাবে। উত্তম কুমারকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে ভোররাতে হাজির হয়েছিলেন মহানায়িকা। বন্ধু বিদায়ের সময় শোকাহত কণ্ঠে কী বলেছিলেন মহানায়িকা? উত্তম-ভ্রাতা অভিনেতা তরুণ কুমারের স্ত্রী তথা অভিনেত্রী সুব্রতা চট্টোপাধ্যায় এক সাক্ষাৎকারে সেই কাহিনি তুলে ধরেছিলেন। ওই সাক্ষাৎকারে মহানায়কের ভ্রাতৃবধূ বলেছিলেন, ‘যখন দাদা চলে যান, আমি তখন ওঁকে (মহানায়িকা) ফোন করেছিলাম। রাত তখন ২টা। বাড়িটা তখন নিস্তব্ধ হয়ে এসেছে। কিন্তু, আমার খালি মনে হতো, উনি তো এলেন না। তা হলে একটু ফোন করি না, দাদার কথা বলি...তখন দুটো-আড়াইটে হবে। ফোন করি ওঁকে। উনিই ফোন ধরেন। কী সুন্দর সেই সাড়া। আমি বললাম, কে দিদিভাই? উত্তরে বললেন, হ্যাঁ আমি। আমি বললাম, দিদিভাই তুমি এসো না গো। সবাই তো এলো তুমি এলে না। আমার একটা মেয়ে, তার বিয়েতেও ডাকব না। আজকের দিনটায় তুমি এসো না গো। বললেন, হুম, আচ্ছা দেখছি।’ সুব্রতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ঠিক আধঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যে উনি এলেন। হাতে একটা বড় মালা, একগোছা রজনীগন্ধা। এসে ফুলের তোড়াগুলো পায়ের কাছে রাখলেন। মালা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। মুখে একটাই কথা, আমি হেরে গেলাম উত্তম। মালাটা দিতে যাবে এই সময় আমার বড় জা বললেন, রমা অনেক ছবিতে তো গলায় মালা পরিয়েছ, আজ কেন পায়ে দিচ্ছ, গলাতেই দাও। সেই কথা শুনে আস্তে আস্তে গলায় পরিয়ে দিলেন। আমার মনে হচ্ছিল, স্টার্ট ক্যামেরা, অ্যাকশন শট শুরু, মালা পরানো শেষ, শট শেষ।

 

কেন ৩৬ বছরের হোম কোয়ারেন্টাইন

দর্শক হৃদয়ে নিজেকে গভীরভাবে গেঁথে দিয়ে হঠাৎ করেই চলে গিয়েছিলেন লোকচক্ষুর আড়ালে। নীরবে-নির্জনে, এক স্বেচ্ছানির্বাসনে ৩৬ বছর কেটেছে তাঁর। সেই মানুষটি পরিবারের কাছে ছিলেন কৃষ্ণা, সমাজে ছিলেন রমা দাশগুপ্ত এবং চলচ্চিত্র জগতে এসে হয়ে উঠেছিলেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। অভিনয় জীবনের ২৫ বছর পর তাঁর রূপ-সৌন্দর্য ও জনপ্রিয়তা তুঙ্গে রেখেই নিজেকে পর্দার আড়ালে গুটিয়ে নেন নায়িকা। ফলে তাকে ঘিরে তৈরি হয় তুমুল আকর্ষণ, আবেগ, রহস্য ও কৌতূহল। তাঁর সর্বশেষ চলচ্চিত্রের নাম ‘প্রণয় পাশা’। ১৯৭৮ সালে এই চলচ্চিত্র মুক্তি পাওয়ার পর তিনি আর কোনো সিনেমাতে অভিনয় করেননি। অনেকের মতে, ছবিটি ফ্লপ হওয়ায় তিনি ধরে নিয়েছিলেন তার ফিল্মি ক্যারিয়ারের অবসান ঘটেছে। এরপরই তিনি সবার সামনে আসতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং স্বেচ্ছানির্বাসন বেছে নেন। সাড়ে তিন দশক ধরে তিনি তার মেয়ে মুনমুন, নাতনি রাইমা ও রিয়া, নিকটাত্মীয় এবং পারিবারিক ডাক্তার ছাড়া কারও সামনে আসেননি। এমনকি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি যখন হাসপাতালে ভর্তি হন তখনো সাংবাদিকরা সেখানে অষ্টপ্রহর জেগে তার সাক্ষাৎকার কিংবা ছবি কিছুই পাননি। শেষ পর্যন্ত সব কিছু থেকে নির্বাসন নেওয়া মানুষটি যখন ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি পৃথিবী থেকেও নির্বাসন নেন, তখন তার ইচ্ছেমতোই কালো কাচে ঢাকা ভ্যানে কফিনবন্দি হয়ে তার দেহ পৌঁছে শ্মশানে। সফলতার তুঙ্গে থাকা, সব পুরুষের স্বপ্নের নারী এবং সব নারীর ফ্যাশন আইডলের কোনো ঘোষণা ছাড়া নির্বাসনে যাওয়ার কারণ আসলে কী? এ নিয়ে সত্য-মিথ্যা মিশিয়ে নানান তত্ত্ব প্রকাশ হয়েছে। নিজেদের মতো করে তাঁর চারপাশের রহস্যের প্রাচীরটাকে ভাঙতে চেয়েছেন অনেকেই। তবে এককথা বলাই যায়, তিনি নিজেকে নিয়ে নানা মিথ্যার জন্ম দিয়েছিলেন। সুচিত্রা সেনের নির্বাসন নিয়ে সবচেয়ে বড় মিথ্যাটি উত্তম কুমার সম্পর্কিত। বাংলা চলচ্চিত্রের উজ্জ্বল জুটি উত্তম-সুচিত্রা। সমস্যা বাধে সেখানেই। যখন চলচ্চিত্র জগৎ ছাপিয়ে উত্তম-সুচিত্রা জুটির আভাস ব্যক্তিগত জীবনে ঢুকে পড়ে তখন সেই রেশ ধরে দুজনেরই পারিবারিক জীবনে ঝড় নেমে আসে। তাদের প্রেমের সম্পর্ক রুপালি পর্দা ছেড়ে বাস্তবে রূপ নিয়েছে, এমনটি কেউ কখনই স্বীকার করেননি। কিন্তু ‘অগ্নিপরীক্ষা’ চলচ্চিত্রের পোস্টারের নিচে লেখা ‘আমাদের প্রণয়ের সাক্ষী হলো অগ্নিপরীক্ষা’ এবং তার নিচে সুচিত্রা সেনের স্বাক্ষর উত্তম-সুচিত্রাকে নিয়ে আলোচনার এক তুমুল ঝড় উঠিয়েছিল। তবে সেই লেখার ব্যাপারে কেউই কোনো দিন মুখ খোলেননি। ভক্তদের অনেকেই মনে করেন, অসুখী দাম্পত্য জীবন, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ও ১৯৬৯ সালে স্বামীর অকাল মৃত্যু ও আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝোঁক সুচিত্রার ব্যক্তিজীবনে প্রভাব ফেলে। তাই তিনি রুপালি পর্দাকে এক ঝলকে টেনে ফেলে নিজের জীবনের পর্দা যখন টেনে দেন তখন সবাই তাঁকে নিয়ে নানান জল্পনা-কল্পনার জন্ম দেন। এছাড়াও ভক্তদের মনোজগতের মহানায়িকা হয়ে নানা আলোচনার ঝড় তুলে তিনি যখন অন্তরালে চলে যান, তখন অনেকেই বলেন যে তাঁর যৌবনের জোয়ার এবং সৌন্দর্য বিদায় নেওয়ার আগেই তিনি সবার থেকে বিদায় নিয়েছেন। এতে করে তাঁর ভক্তদের মণিকোঠায় যুগ যুগ ধরে থাকবে তাঁর একই চিত্র। যেই চিত্রে সুচিত্রার বয়স বাড়ে না, রূপ কমে না, তিনি থেকে যান পরমাসুন্দরী এক নারী। তাই সুচিত্রা সেন নিজেকে অমর যৌবন দান করে অন্তরালে নিজের মরণশীল দেহ ও আত্মাকে গুটিয়ে নিয়েছেন।

 

বন্দিজীবনে যা করতেন...

 সুচিত্রা সেন যে সারা দিন পুজো করতেন ঠাকুরঘরে, এটা একটা মিথ। এমনটা মোটেই নয়, এ কথা বলেছেন তাঁর কন্যা মুনমুন সেনই। সুচিত্রার নিজের শোবার ঘরের পাশেই ছিল ঠাকুরঘর। স্নান সেরে পুজোয় বসতেন তিনি। তাছাড়া সুচিত্রার সময় কাটত ধর্মপুস্তক পড়ে। রীতিমতো ধর্মীয় সাহিত্য নিয়ে চর্চা করতেন। তার বাড়িতে আসতেন বেলুড় মঠের মহারাজরাও। চলত আধ্যাত্মিক আলোচনা। একবার দক্ষিণেশ্বরে ভিড়ের মধ্যেই ঘোমটা দিয়ে ভবতারিণী দর্শনে মন্দিরে চলে গিয়েছিলেন। প্রণাম করেন হাঁটু গেড়ে। রামকৃষ্ণ মন্দিরে গিয়ে একমনে ধ্যান করতেন, তার পরে ভরত মহারাজের সঙ্গে দেখা করে ফিরে আসতেন।

ভরত মহারাজ মারা গেলেন যখন সাদা ঢাকাইতে ঘোমটা দিয়ে মুখ ঢেকে, সানগ্লাস পরে, মেয়ে মুনমুনকে নিয়ে সুচিত্রা নিজে গিয়েছিলেন শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।

 

চিরসবুজ মহানায়িকার গল্প...

করুণাময় ও ইন্দিরা দাশগুপ্তের জমজমাট সংসারে ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল যোগ হলো আরেকটি ছোট্ট সদস্য, মেজো মেয়ে কৃষ্ণা। গায়ের রঙ একটু চাপা বলে প্রথমে মেয়ের নাম রাখা হলো কৃষ্ণা, কিন্তু কে জানত একদিন এই নামকে ছাড়িয়ে সে আরও নামের পর্দা চড়িয়ে সে নিজের সীমানাটুকুও অতিক্রম করবে? বাংলাদেশের পাবনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন সুচিত্রা। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের আগে পরিবারের সঙ্গে তাকে কলকাতায় চলে যেতে হয়। পরের বছর কলকাতার শিল্পপতি আদিনাথ সেন তনয় দিবানাথ সেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর তাদের ঘর আলো করেন একমাত্র মেয়ে মুনমুন সেন। সুচিত্রার দুই নাতনি রাইমা সেন ও রিয়া সেনকে সবাই চেনেন। ১৯৫২ সালে ‘সুচিত্রা সেন’ নামে চলচ্চিত্রাঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন রমা সেন। নিজস্ব স্টাইলে ভাস্বর সুচিত্রা হয়ে উঠেছিলেন এক সময়ের ট্রেন্ড।

সর্বশেষ খবর