সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

ছোটবেলা থেকেই প্লেব্যাক সিঙ্গার হতে চেয়েছি

ছোটবেলা থেকেই প্লেব্যাক সিঙ্গার হতে চেয়েছি

দেশের জনপ্রিয় সংগীত তারকা দিলশাদ নাহার কণা। সিনেমায় প্লেব্যাক, নাটকের গান, অডিও গান রেকর্ডিং, ভয়েস ওভার ও বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। এই ঈদেও তার গাওয়া দুটি গান থাকবে ‘ওমর’ ছবিতে।  তার সঙ্গে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল

 

রমজান শেষের দিকে, সামনে ঈদ। কেমন চলছে আপনার দিনকাল?

আলহামদুলিল্লাহ ভালো যাচ্ছে। অনেক বছর ধরে আমার কাজের ব্যস্ততাটা একই রকম যায়। তো কাজের মধ্যেই আছি। আর শো’স আছে, কাজ আছে, রেকর্ডিং আর ভিডিও- সবকিছু মিলিয়ে ভালোই যাচ্ছে। আসলে ব্যস্ততার মধ্যে থাকলে আমি ভালো থাকি। ব্যস্ত আছি, তাই ভালো আছি।

 

কণার গাওয়া সিনেমার গান ছাড়া ঈদ আনন্দ ভাবাই যায় না...

ছোটবেলা থেকেই আমি প্লেব্যাক সিঙ্গার হতে চেয়েছি। তো দেখা যাচ্ছে যে, ঈদে বা যেকোনো উৎসবে যদি পাঁচটি মুভি থাকে তাহলে তিনটিতেই আমার গান থাকে, আলহামদুলিল্লাহ। আমি বলব এজ এ শিল্পী হিসেবে আমার যে চাওয়াটা ছিল প্লেব্যাক শিল্পী হওয়ার আমি আলহামদুলিল্লাহ সেই জায়গাতেই আছি।

 

রাজের ‘ওমর’-এ কয়টি গান করেছেন?

ওমর-এ আমার একটা ইটস লাইক এ আইটেম সং বলব না, ইটস এ রিদমিক ড্যান্স সং একটা আছে আর একটা ডিফারেন্ট ঘারানার গান আছে। মোট দুটি গান।

 

প্লেব্যাকে সিন্ডিকেট রয়েছে, কী মত?

আমি তো ফেস করি নাই কখনো। আমি অনেক ছোটবেলা থেকেই প্লেব্যাক করি তো। তো আমি যেভাবে জানি যে, মিউজিক ডিরেক্টর ফোন করবেন আজকে ফ্রি আছো কি না একটি সিনেমার গান গাইতে হবে! সেটা আস্তে আস্তে ঘুরতে ঘুরতে একটু প্রোডাকশন হাউজ বা ডিরেক্টর-প্রডিউসরের দিকে থেকে আসবে। তাই যেহেতু আমি নিজে সিন্ডিকেট ফেস করি নাই সেহেতু আমি আসলে জানি না।

 

বিজ্ঞাপনের জিংগেলের কণ্ঠে কণা সুপরিচিত নাম। বিজ্ঞাপনের এই সেক্টরের অবস্থাটা এখন কেমন অবস্থায় আছে?

জিংগেল তো আমি অনেক ছোটবেলা থেকেই করি। যখন সুমনা আপারা ভয়েস দিতেন, আমি তখন রাফ জিংগেল করতাম অনেক বছর। যদিও ইদানীং জিংগেলটা একটু কম হচ্ছে। কারণ জিংগেল বেইজড বিজ্ঞাপনটা একটু কম। সো দ্যাট ভয়েস ওভারের কাজটা একটু বেশি হচ্ছে। আমি বলব যে, জিংগেলটা একদিকে একটু টাফ। গান তো পুরো একটা গান থাকে আর জিংগেলের মধ্যে কিছু প্রোডাক্ট ইনডোরসমেন্ট থাকে। ওখানে এক্সপ্রেশনগুলো ডিফরেন্ট থাকে। আর দর্শকরা ভয়েসটা এক্সসেপ্ট করেছে কি না, সেটাও কিন্তু একটা বিষয়। যেমন আমরা ছোটবেলা থাকতে শাকিলা আপা, অনিমা ডি কস্টা, সুমনা হকের ভয়েসে জিংগেল শুনলে খুবই আনন্দ আনন্দ একটা বিষয় থাকত। এখন জিংগেল বেইজড বিজ্ঞাপন কম হচ্ছে, ভয়েস ওভার বেশি হচ্ছে। সেসময় কিন্তু জিংগেল বেইজড বিজ্ঞাপনগুলো খুবই জনপ্রিয় ছিল সবার কাছে। 

 

ছোটবেলার ঈদ নাকি বড়বেলার ঈদ বেশি আনন্দের?

ছোটবেলার ঈদ বেশি ভালো ছিল, আনন্দের ছিল। এখন ঈদ তো আসলে কাজকে ঘিরেই। ঈদের দিনটা চলে আসলে মনে হয় ফ্রি হয়ে গেছি, আজকে সারা দিন কী করব!  সো, অবশ্যই ছোটবেলার ঈদটা অনেক সুন্দর ছিল।

 

ঈদ কোথায় করবেন, কেমন যাবে?

আশা করছি ভালো যাবে এবারের ঈদটা। আর আমার তো ঢাকায় জন্ম, ঢাকায় সবাই থাকে। তাই ঢাকাতেই থাকব।  ঈদের দিন ফ্যামিলি-ফ্রেন্ডস মিলিত হব। আর আমি তো বাসাতেই থাকব সারা দিন।

সর্বশেষ খবর