বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

টার্গেট যখন দুই খান

টার্গেট যখন দুই খান

কেন সালমানের ওপর হামলা

সালমান খানের বাড়িতে গুলি ছোড়ার ঘটনায় পুলিশি তদন্তে নতুন মোড় মিলেছে। কারাগারে থাকা গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ছোটভাই আনমোল বিষ্ণোই যুক্তরাষ্ট্রে বসে হামলার পরিকল্পনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের আরেক গ্যাংস্টার রোহিত গোদারাকে দায়িত্ব দেন আনমোল। ভারতজুড়ে রোহিতের দলের প্রশিক্ষিত শুটার রয়েছে। সেখান থেকে দুজনকে নির্বাচন করা হয়। সালমান খানের সঙ্গে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের বিবাদ পুরনো। এর আগেও একাধিকবার সালমান খানকে হত্যার হুমকি দিয়েছে লরেন্সের দল। এই দফায় তার বাড়িতে হামলার ঘটনার দায়ভার এক ফেসবুক পোস্টে স্বীকার করেছে আনমোল লরেন্স। শুধু দায় স্বীকারই করেনি, সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে রীতিমতো হুমকি দিয়েছে অভিনেতাকে। গত বছর থেকেই ক্রমাগত প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন সালমান খান। লরেন্স বিষ্ণোই এর আগে হুমকি দিয়েছেন সালমানকে প্রাণে মেরে ফেলার। এ মুহূর্তে জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। ১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারকান্ডে সালমানের নাম জড়িয়েছিল। এর ‘বদলা নিতে’ সালমানকে খুনের হুমকি দেয় লরেন্স বিষ্ণোই গোষ্ঠী।

গত বছর জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) জানিয়েছিল, জেলবন্দি গ্যাংস্টার বিষ্ণোই যে ১০ জনকে ‘খতম তালিকা’য় রেখেছেন, তাদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে সালমানের নাম। তারপর থেকেই সালমানকে নানাভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছেন এই গ্যাংস্টার।

এদিকে, ছোটা শাকিলের বন্ধুত্বের হাত ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বলে মৃত্যুর হুমকি পেয়েছিলেন বলিউডের ভাইজান।

 

শাহরুখ-সালেম কানেকশন

শাহরুখ খান, ১৯৯৭ সালের একটি ঘটনা সব এলোমেলো করে দেয়। এরপর শাহরুখের ওপরও চোখ যায় আন্ডারওয়ার্ল্ডের। ১৯৯৭ সালের জানুয়ারি মাসে পরিচালক ও প্রোডিউসার মহেশ ভাটের কাছে একটা ফোন আসে। ফোনের অপর প্রান্তে ছিলেন সিনিয়র পুলিশ অফিসার রাকেশ মারিয়া। মহেশ ভাট আর শাহরুখ তখন একসঙ্গে ‘চাহাত’ আর ‘ডুপ্লিকেট’ সিনেমা করছিলেন। রাকেশ মারিয়া ফোন করেই বলেন- আবু সালিমের নেক্সট টার্গেট হচ্ছে আপনার সুপারস্টার, যার সঙ্গে আপনি এ মুহূর্তে কাজ করছেন। তাকে খুবই সাবধানে থাকতে বলবেন, এ মুহূর্তে তার বাড়ির বাইরে যাওয়াই রিস্কি। আর সম্ভব হলে এ মুহূর্তে শাহরুখকে নিয়ে কোনো ধরনের আউটডোর শুটিং করবেন না। মহেশ ভাট সঙ্গে সঙ্গেই শাহরুখকে ফোন করে সবকিছু জানান। ভয় পেয়ে যাওয়া শাহরুখ সঙ্গে সঙ্গেই রাকেশ মারিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। শাহরুখ কখনো ধারণাই করতে পারেননি যে, তিনি মাফিয়াদের রাডারের আন্ডারে আসবেন। শাহরুখের জীবনযাত্রায় অন্য রকমের পরিবর্তন এলো। বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া তিনি কমিয়ে আর বন্ধ করে দিলেন। শুটিং আর বাসা ছাড়া পারতপক্ষে কোথাও যেতেন না। সবমিলিয়ে যাকে বলে একটা দমবন্ধকর পরিস্থিতি। আবু সালেম প্রায়ই শাহরুখকে কল করতেন। বলতেন, আমি তোর সমস্ত কিছুর ওপর নজর রাখি। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে শাহরুখ খান বলেছেন, আবু সালেম একা না, অন্য অনেক গ্যাংস্টারের ফোন আসত শাহরুখের কাছে। মাঝেমধ্যে অদ্ভুত সব আবদারও আসত।

সর্বশেষ খবর