বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

এত সাফল্য কখনোই আশা করিনি

এত সাফল্য কখনোই আশা করিনি

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়ক শরিফুল রাজ।  নিজস্ব অভিনয় বৈচিত্র্যতায় ইতোমধ্যে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন তিনি। ঈদে একই সঙ্গে তিনটি সিনেমা নিয়ে রাজকীয়ভাবে পর্দায় ফিরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রাজ। মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

একই নায়কের একই সঙ্গে তিনটি সিনেমা ঈদে মুক্তি বিরল ঘটনা, তাই নয় কি?

মনে হয়। তাই তো এটা আমার জন্য খুবই স্পেশাল একটা বিষয়। কারণ, এটা কখনো আগে এক্সপেরিয়েন্সই করিনি। অনেকে বলেছিল, একসঙ্গে তিনটি সিনেমা মুক্তি চাপ কি না! যেহেতু এ ডিসিশনটা আমার না। সিনেমা করে আসার পরে রিলিজ হওয়া অবদি প্ল্যান করেন সিনেমাগুলোর প্রডিউসার, ডিরেক্টর বা টিমরা। প্রথম প্রথম ভাবনাও এসেছে, তিনটি সিনেমা একসঙ্গে মুক্তিতে মানুষ কীভাবে রিয়েক্ট করবে। মানুষ সিনেমা হলে আসবে তো? এ নিয়ে একটু শঙ্কিতও ছিলাম। বাট ফাইনালি যখন দেখছি সিনেমাগুলো নিয়ে সবাই কথা বলছে, লিখছে-তখন মনে হয়েছে সব ঠিকঠাক; সিনেমা অনেক দিন হলে চলবে। সিনেমাগুলো নিয়ে ভীষণ আশাবাদী ছিলাম, এখনো আছি।

 

আপনার মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলোর মধ্যে কোনটির প্রতি ভালোবাসা বেশি কাজ করছে?

এটা তো কখনো ভাবিনি। কারণ, তিনটি সিনেমা তিন ধরনের। ধরন হিসেবে যদি বলি তাহলে সেলিম ভাই ‘কাজলরেখা’তে বাংলার লোকগল্প বলার ট্রাই করেছেন। অন্যদিকে মোস্তফা কামাল রাজ ভাইয়ের ‘ওমর’ একদম থ্রিলার আর সাসপেন্সে ভরপুর। আর মিশুক মনির সিনেমা ‘দেয়ালের দেশ’ আসলে একদম অন্য ধরনের সিনেমা, সাইকোলোজিক্যাল থ্রিলার টাইপের। আমার কাছে মনে হয় তিনটি সিনেমা নিয়েই মানুষ কথা বলছে। সবকটিই হলে এসে দেখছে মানুষ। সো, তিনটি সিনেমার ফিউচার খুবই ভালো।

 

তিনজন ডিরেক্টরের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

প্রতিটি ডিরেক্টরেরই মেধা ভিন্ন ভিন্ন রকমের। সবার মেধাতেই সমান রেসপেক্ট আছে আমার। আসলে আমি যখন শুটিং করতে যাই তখন খুবই ফান-ফুর্তিতে শুটিং করি। নরমালি সব কাজেই খুব ইনজয় করি। ফাইনালি যখন হলে সিনেমা রিলিজ পায় তখন হলে গিয়ে বসে থাকি কখন মানুষ হলে আসবে, সিনেমা দেখবে, সিনেমা নিয়ে কথা বলবে। আলোচনা-সমালোচনা করবে এটলিস্ট। এখন অনেক স্বস্তির জায়গাতে আছি, কারণ মানুষ হলে গিয়ে সিনেমা দেখছে।

 

ফিল্ম জার্নি নিয়ে সন্তুষ্টি কেমন?

প্রচুর! কারণ, আমার এ অল্প ক্যারিয়ারে এত সাফল্য কখনোই আশা করিনি। সিনেমা করা যখন শুরু করি তখন থেকেই মনস্থির করেছি যে আমি ঠিকঠাক সিনেমাটাই করব। আমি লাকি যে এই জেনারেশনে নতুন কিছু মানুষের এনগেজমেন্ট হয়েছে সিনেমা দেখার।

 

শাকিব-শুভ-সিয়ামদের সময়ে দর্শকদের কাছে বাড়তি আকর্ষণ রাজ। এ নিয়ে কোনো চাপ অনুভব করছেন?

না, আমি ওরকম কোনো চাপই অনুভব করিনি, এখনো করছি না। সিয়াম আমার বন্ধু। ও খুব ভালো কাজ করছে। ওর কয়েকটি সিনেমা খুবই ভালো গেল। সামনে ওর একটা ভালো সিনেমা আসছে, জংলি। এটির জন্য ওয়েট করছি। আর শাকিব ভাই! হি ইজ এ একচুয়াল ফিল্মস্টার। ওনার তো দীর্ঘদিনের জার্নি ফিল্মে। দারুণ একটি ক্যারিয়ার। সবাই সবার জায়গা থেকে ভালো করার ট্রাই করছেন। শাকিব ভাই বা শুভ-সিয়ামসহ আরও ভালো ভালো যারা রয়েছেন ইন্ডাস্ট্রিতে যেরকম কাজ করছেন, আমিও সেইম কাজটিই করছি।

 

রাজের লাইফে পর্দা আর পর্দার বাইরের নায়িকারা কতখানি প্রাধান্য পেয়ে থাকে?

প্রাধান্য তো পাই-ই! কারণ আমি যাদের সঙ্গে কাজ করি, তাদের সবার সঙ্গেই ভালো ফ্রেন্ডশিপ হয়। সবার সঙ্গে আমার ভালো একটা বন্ডিং। তাদের আমি সবসময় রেসপেক্ট করি। দে অল আর বিউটিফুল লেডিস।

 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজের কোনটি বেশি- হেটারস্ নাকি লাভারস্?

আমি হেটারসদের কখনো দেখতে চাই না। আমি মনে করি, আমাকে হেট করার কোনো কারণ নেই। আমি সাধারণ একজন অভিনেতা। আমি কাজ করি সিনেমাতে আর এটাই আমার কাজ। তাই আমার কাজ নিয়ে মানুষের কথা বলা উচিত। কে হেট করল কে করল না, আই ডোন্ট কেয়ার!  যারা আমাকে পছন্দ করে, অনেক ভালোবাসে, তাদেরকে আমি আসলেই অনেক ভালোবাসি।

 

রাজের সাম্রাজ্যের রাজা...

আমার রাজকীয় সাম্রাজ্যের একজন রাজা আছে অলরেডি। ‘হি ইজ মাই সান’। সো, আমার আলাদা করে কিছুর দরকার নেই।

সর্বশেষ খবর