শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

সবাই আমাকে খুবই আদর করত

এই ঈদেই বড় পর্দায় অভিষেক হলো এ সময়ের ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মানের। ছবির নাম গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’। ৪০০ বছর আগের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে এ ছবি। এখানে মিষ্টি হাসির মেয়ে সাদিয়া অভিনয় করেছেন কিশোরী কাজলরেখা রূপে। এই ছবি ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তার সঙ্গে কথোপকথন-

সবাই আমাকে খুবই আদর করত

আমি আরও ছোট ছিলাম। ওই সময় আমাকে সেটের সবাই ছোট কাজলরেখা বলে ডাকত। সেলিম ভাই আমাকে ‘ছোটটা’ বলে ডাকত

কাজলরেখা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হলো। কেমন ভালোলাগা কাজ করছে?

আমার অভিনীত প্রথম সিনেমা হলে আসছে। এটি নিয়ে তো অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করছে। সো, খুব ভালো লাগছে। আসলে এর আগে আমি শুধু বিজ্ঞাপন করেছি। অভিনয় করিনি। ‘কাজলরেখা’ই আমার প্রথম কাজ। তারপর আমি ব্যস্ত হই নাটকে। সেদিক থেকে এ কাজটির প্রতি আলাদা একটা ভালোবাসা রয়েছে।

 

প্রথম সিনেমায় গিয়াস উদ্দিন সেলিমের মতো দর্শকপ্রিয় নির্মাতার সঙ্গে কাজ নিয়ে কতখানি এক্সাইটেড ছিলেন?

এর আগে আমার সিনেমার জন্য অফার আসেওনি। সো, শুরুতেই আসলে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের সিনেমার জন্য অডিশনে ডাকা। তো ওই জায়গা থেকে খুবই এক্সাইটেড ছিলাম যে,  ‘আচ্ছা সিনেমার অডিশন থেকে ডাকছে আমাকে। যাই, গিয়ে দেখি কীভাবে অডিশনটা হয়।’ এর আগে কোনো এক্সপেরিয়েন্স ছিল না। আর সেলিম ভাইয়ের সিনেমা বলে কথা! মনপুরা তো সবাই দেখেছে। সেটির কিছু গান আমার খুবই প্রিয়। আমি অলওয়েজ শুনি। ওই জায়গা থেকে যে এই মানুষটির সিনেমার অফার পেয়েছি, অডিশন দিতে পারব, এটাই আমার জন্য অনেক কিছু ছিল। আমি অডিশনে যাওয়ার পরে অনেকগুলো স্টেপ শেষ করে সিলেক্ট হই। লুক টেস্ট, রিহার্সেল, ডায়ালগ পড়া, অনেককিছু করার পর আমি সিনেমার সঙ্গে যুক্ত হই।

 

এই সিনেমার প্রমোশনাল প্ল্যান নিয়ে খুশি?

অবশ্যই খুশি। অনেক খুশি। আমি তো চাই আরও দৌড়াদৌড়ি হোক কাজলরেখা নিয়ে।

 

নিজেকে পর্দায় দেখে কান্না করেছেন?

কান্নাকাটি করিনি, তবে খুবই ইমোশনাল লেগেছে। আমি যখন দেখেছি একদম দম বন্ধ করে সিনেমাটি দেখেছি। এটা সত্যিই ইমোশনের জায়গা। 

 

ছোট কাজলরেখার চরিত্র করেছেন, বড় কাজলরেখা না করার আক্ষেপ রয়েছে?

না, আসলে আমার তো একদম শুরু। আমি তো প্রত্যাশাই করিনি যে সিনেমাতে অভিনয় করতে পারব।

 তো আমার জন্য অতটুকুই বেশি ছিল। মোর দ্যান এনাফ। আমি গ্রেটফুল ছিলাম সেলিম ভাইয়ের কাছে যে কাজলরেখায় আমাকে কাস্টিং করানোর জন্য। আর ছোট ছিলাম তো, সবাই আমাকে খুবই আদর করত। যদি সিনেমাটি দেখে থাকেন তাহলে বুঝবেন যে, আমি আরও ছোট ছিলাম। ওই সময় আমাকে সেটের সবাই ছোট কাজলরেখা বলে ডাকত। অন্যরকম লাগত। সেলিম ভাই আমাকে ছোটটা বলে ডাকত। বলত, ‘ওই ছোটটা এদিকে আয়।’

 

কাছের মানুষ, ভক্তদের কাছ থেকে রেসপন্স কেমন পেলেন?

ভালোই পেয়েছি। সবাই ছবিটি দেখে আমাকে নিয়ে ফেসবুকে অনেকে পোস্ট করেছে। অনেকে আমাকে ইনবক্স করে ভালোলাগার কথা বলেছে।

হলে যাওয়ার পর যাদের সঙ্গে দেখা হয়েছে তারাও আমাকে ভালো লেগেছে বলে জানিয়েছে। আমাকে নাকি তাদের খুব পছন্দ হয়েছে। এগুলো আসলে প্রাপ্তি। ভালো লাগছে। আমি বলছিলাম সবাইকে, কিছু গান দেখে ভাবছিলাম বারবার দেখি।

যদি পারতাম রিউইন্ড করে বারবার দেখতাম গানগুলো। আসলে এগুলোই প্রাপ্তি। সবার রিয়াকশন দেখে ভালো লাগছে। সবাই খুশি, আমরাও খুশি।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর