বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

আমি গান খুব ভালোবাসি

আমি গান খুব ভালোবাসি

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। সিনেজগতে তিনি পরিচিত মুখ। এপার-ওপার দাপিয়ে বলিউডেও প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। প্রযোজক হয়েও একটি সিনেমার ঘোষণা দিয়েছিলেন।  সাম্প্রতিক ব্যস্ততা ও বিভিন্ন বিষয়ে এ অভিনেত্রীর সঙ্গে শোবিজ প্রতিবেদকের কথোপকথন-

 

জয়া আহসানের এই চিরতরুণ থাকার রহস্য কী?

কোথায়! মানে তরুণ কীভাবে রয়েছি কী রয়েছি জানি না। আমি তো আমার মতোই আছি। আর সময়টাকে এনজয় করাটাই আমার কাছে মনে হয় সবচেয়ে বড় বিষয়।

 

সবচেয়ে ইউনিক গুণ কোনটি- যার কারণে সবাই ভালোবাসে?

সেটা আসলে আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। আপনারাই বলবেন যদি কোনো গুণ থেকে থাকে। তবে আমি খুব বেশি কিছু ভাবি না যে, আমি এক্সটা অর্ডিনারি কোনো কিছু বা কোনো গুণ আছে আমার ভিতরে। তবে ভালো গুণ যদি থাকে সেটা ধীরস্থির থাকা। আর কোনো গুণকে আমি বিশেষ নম্বর দিতে পারছি না।

 

সম্প্রতি একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন...

‘কোক স্টুডিও বাংলা’র তৃতীয় সিজনে ‘তাঁতী’ গানে কণ্ঠ দিয়েছি। আমি সবসময় দেশের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় চেষ্টা করি বাংলাদেশের মসলিন এবং জামদানিকে রিপ্রেজেন্ট করার। আসলে গানটিতে আমি অভিনেত্রী জয়া আহসান হিসেবে না, মিউজিক টিমের একজন হয়ে গেয়েছি।

 

ছোটবেলায় গান শিখেছেন বলে জেনেছি, এরপর প্লেব্যাকে...

হ্যাঁ, ছেলেবেলায় রবীন্দ্রসংগীত শেখা হতো। ছেলেবেলায় হয় না গানের স্কুলে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য বাবা-মা গান শেখায়, ওরকমই শিখেছিলাম। তবে আমি গান খুব ভালোবাসি। বিশেষ করে উচ্চাঙ্গসংগীত নিয়ে আমার ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। প্লেব্যাক করেছি যেগুলোতে সেগুলো আমার সিনেমার জন্য। ‘ডুবসাঁতার’ সিনেমায় গান করেছি রবীন্দ্রসংগীত ‘তোমার খোলা হাওয়া’। এ ছাড়া ‘জঙ্গলের ডাক’ গানটি গেয়েছিলাম ‘পারলে ঠেকা’ সিনেমায়। অতনু ঘোষ পরিচালিত ‘বিনি সুতোয়’ সিনেমার জন্য একটি গানও করেছিলাম।

 

পূর্ণাঙ্গ প্লে-ব্যাক সিঙ্গার হিসেবে পাব?

আমি সেভাবে ভেবে দেখিনি। প্রয়োজন হলে অবশ্যই করব চলচ্চিত্রের জন্য, কাজের জন্য হলে গান গাইব।

 

বলিউডে একটি কাজের পর অন্য কোনো কাজের কথা হচ্ছে?

এখনই কিছু হচ্ছে না। তবে সামনে হবে হয়তো। এখন যে দু-তিনটা কাজ হাতে রয়েছে সেগুলো আগে শেষ করব।

 

ফিল্ম ফেয়ারে পরপর চারবার পুরস্কার পেয়েছেন। বাংলাদেশি হিসেবে কতটা গর্বিত?

বাংলাদেশের জন্য যখনই আমি কোনো পুরস্কার পাই সেটা যদি ভিনদেশি মাটিতে হয়, এটা আমার নিজের জন্য যতটা আনন্দের তার থেকে বেশি আনন্দিত বোধ করি আমি বাংলাদেশের হয়ে পুরস্কার হাতে নিতে পেরে। এবারের ফিল্ম ফেয়ারে বাংলাদেশের অনেকেই কিন্তু নমিনেশন পেয়েছিলেন, পুরস্কার পেয়েছে যেটা বড় বিষয় এবং খুবই গর্বের।

 

‘সি তে সিনেমা’ থেকে ‘রইদ’ করার কথা ছিল। অনুদানের টাকা ফিরিয়ে দিয়ে সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ কী?

প্রথম কারণ হলো অনেক দিন ধরে সিনেমার কাজটি আটকে ছিল। ডিরেক্টর মেজবাউর রহমান সুমন কাজটি শুরু করতে লম্বা সময় নিচ্ছিলেন। সরকারি অনুদানের তো কিছু নিয়মনীতি রয়েছে। সরকার আমাদের এই ছবির জন্য যে ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছিল সেটা তো শুধু সরকারের টাকা না, আমার টাকাও না, এটি জনগণের টাকা। এ বিষয়টি আমার কাছে একটা বড় দায়। যেহেতু সময় লাগছে তাই আমি মনে করলাম এটি ফেরত দিয়ে দেওয়া যায়। হেলাফেলা করতে চাইনি। কারণ এটার সঙ্গে আমার নামের সম্মান রয়েছে, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সম্মান রয়েছে,  আমার ডিরেক্টরের সম্মান রয়েছে। হয়তো অন্য কখনো অন্য কোনোভাবে সিনেমাটির কথা ভাবা হবে।

 

আগামী কাজের ব্যস্ততা কেমন?

আশফাক নিপুণের একটি ওয়েব সিরিজ করছি। যেটি বাংলাদেশে আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ হবে।  তাছাড়া কলকাতায় ‘ডিয়ার মা’ নামে একটি সিনেমার কাজ শুরু করেছি। অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর। শিগগিরই কাজ শুরু করব।

সর্বশেষ খবর