ঢাকাই চলচ্চিত্রের অন্যতম নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। প্রতিনিয়ত বড় পর্দা ও ওটিটিতে নিজেকে নতুন করে হাজির করছেন। দেশের সীমানা পেরিয়ে ওপারেও নিজের অভিনয় দ্যুতি ছড়াচ্ছেন। তার সঙ্গে সাম্প্রতিক কাজ ও ব্যস্ততা নিয়ে আলাপন-
সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন কবে?
সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছি ১৬ এপ্রিল।
এ গরমের মধ্যে কি শুটিং করেছেন?
এখনো তেমন করে করা হয়নি। তবে কাজ তো করতেই হবে। দেশে এসেই ইউনিসেফের একটি কর্মশালায় অংশ নিয়েছি। প্রতিষ্ঠানটির শুভেচ্ছাদূত আমি। আসলে এ গরমে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো খুবই কষ্টকর একটা বিষয়। তবুও রয়েসয়ে করছি।
নতুন কোন কাজ করছেন?
তিনটি নতুন ছবি করার প্রস্তুতি চলছে। একটার শুটিং জুন থেকে, বাকি দুটির শুটিং জুলাই-আগস্টে। ছবি তিনটি কারা পরিচালনা করবেন সেটা আপাতত বলতে চাই না, তবে তিনজনই জনপ্রিয়। আসলে চুক্তিতে নিষেধ আছে বলে বলতে পারছি না নামগুলো।
‘দিগন্তে ফুলের আগুন’-এ কাজ করে কেমন লেগেছে?
দারুণ একটি জার্নি ওয়াহিদ তারিকের ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’। আসলে আমি সব সময় ভালো গল্প ও ভালো চরিত্রের সঙ্গে থাকতে চাই। যা দর্শকদের ভাবাবে এবং ভালো লাগা দেবে। সেই সঙ্গে একজন অভিনেত্রী হিসেবে আমাকেও তৃপ্তি দেবে। সব মিলিয়ে আমি আনন্দিত।
জনপ্রিয় অভিনেত্রী শমী কায়সার এ ছবির প্রযোজক। তার প্রযোজিত ছবিতে অভিনয় করতে পেরে কেমন লাগছে?
এটা সত্যিই আমার জন্য বিশাল ব্যাপার! আসলে শমী আপুর অভিনয় ছোটবেলা থেকে দেখেই তো বড় হয়েছি। তার অসাধারণ ব্যক্তিত্ব আমাকে অনুপ্রাণিত করে সবসময়। সেই শমী কায়সারের মায়ের চরিত্র করছি-এটা সত্যিই আমার কাছে স্বপ্নের মতো।
ওপার বাংলায় আর কোনো কাজের কথা রয়েছে?
কিছু কাজের কথাবার্তা চলছে। ব্যাটে-বলে মিলে গেলে কাজ হবে। দেখা যাক সামনে কী হয়।
আপনি তো অনেক ব্র্যান্ডের শুভেচ্ছাদূত...
হুমম, প্রায় ১২টির মতো। আসলে নিজের ব্যক্তিগত জীবনে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পেরেছি বলেই বড় ব্র্যান্ডগুলো আমার সঙ্গে কাজ করে। কেউ চাইলেই কিন্তু ইউনিসেফ বা লাক্সের শুভেচ্ছাদূত হতে পারবেন না। তাঁকে অবশ্যই মর্যাদাশীল অবস্থানে থাকতে হবে। সেই অবস্থানটা তৈরি করতে পেরেছি, এটা নিয়ে আমি গর্বিত।
মিমকে এখনো নাটকে অভিনয় করতে দেখা যায়। এ নিয়ে কী বলবেন?
আসলে কোনো বিশেষ দিবস হলে নাটকে কিছু কাজ করে থাকি। তবে আমার শুরু সিনেমা দিয়েই। তাই সিনেমাটাই বেশি করতে চাই।
কোন মাধ্যমে অভিনয় করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন?
আসলে অ্যাকটিং করতে বেশি পছন্দ করি, তা যে মাধ্যমেই হোক। তবে আমার বড় পর্দায় অভিনয় করতে বেশি ভালো লাগে।
অভিনয় ছাড়া আর কী করতে বেশি পছন্দ করেন?
আমি ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। টিভিতে মুভি দেখতে, বই পড়তে ও শপিং করতে ভালো লাগে। ইদানীং কী যেন হয়েছে, কিছু দিন পরপর দেশের বাইরে ঘুরতে ইচ্ছা করে।
শিল্পী সমিতির নির্বাচনে তো ভোট দিতে যাননি...
এবার ভোট দিতে যেতে পারিনি। সেদিন গাজীপুরের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলাম সকালে। ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় আর এফডিসিতে যেতে পারিনি।
গরমে সবার উদ্দেশে পরামর্শ কী থাকবে?
এ গরমে সবাই অতিষ্ঠ। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাই যেহেতু হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। দরকার না পড়লে অযথা ঘর থেকে বের হওয়া উচিত নয় সবার।