সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

অভিনয়ে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি

অভিনয়ে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি

শোবিজ অঙ্গনের জনপ্রিয় মুখ আদনান ফারুক হিল্লোল। একজন অভিনেতা হিসেবে পরিচিত হলেও ২০১৭ সাল থেকেই দেশ-বিদেশে বিভিন্ন ধরনের খাবারের ব্লগ করছেন, যা সবার কাছে হচ্ছে সমাদৃত।  নিউইয়র্ক প্রবাসী এ অভিনেতা সম্প্রতি দেশে এসেছেন। তার সঙ্গে সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল

 

এবারের বাংলাদেশ সফর কত দিনের?

বাংলাদেশে সফরে এলে আমার কোনো দিন ঝটিকা হয় না। অনেক লম্বা লম্বা সফর হয়। মানুষ আবেগে-আনমনে সবসময় দেশের বাইরে থাকে, কথাটা ভুল। আমি একটা সিগনিফিকেন্ট টাইম দেশে থাকি। এবারও তো প্রায় মাসদুয়েক থাকা হলো।

 

এরপর টার্গেট কোন দেশ কাভার করার?

টার্গেট ইস্তাম্বুল ফুড কাভার করা। আসলে টার্কিতে এত ফুড অপশন, এটা অনেকদিন করলেও শেষ হবে না। কিন্তু আমি পরে হয়তো আরও সিরিজ করব, এবার ইস্তাম্বুলে ৪-৫ দিন শুট করব। তারপর আমি চলে যাব।

 

বাংলাদেশে ফুড ব্লগিং কতখানি সম্ভাবনার?

দেখেন, এখন ডিজিটাল কনটেন্ট মেকিংয়ে একেকজনের কনটেন্ট ফিলোসফি একেক ধরনের। যেমন আমার কনটেন্ট ফিলোসফি বিভিন্ন দেশের কালচার এবং ফুডের একটা আর্কাইভ করব। আবার কারও কনটেন্ট ক্রিয়েশন এমন যে, কিছু নেগেটিভ কনটেন্ট করব যেটা অনেক মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ হবে। এটা ডিপেন্ড করে কার ফিলোসফি কী রকম। তবে সম্ভাবনা তো আছেই।

 

ফুডকার কোলাবোরেশন কেমন চলছে?

এটা তো নিয়মিত বিষয় নয়। একটা সিজন আমরা করেছিলাম। ওরা এখানে এসেছিল, আমরা ওদের ইনভাইটেশনে ওইখানে গিয়েছিলাম। তো ভবিষ্যতে এরকম আরও তো হতেই পারে।

 

অভিনয়টাকে মিস করছেন কি?

না, আসলে অভিনয়টাতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। আমি জানি না এখন কতটা চেঞ্জ হয়েছে। তবে আমি যখন অভিনয় থেকে দূরে সরে যাই তখন অভিনয় করাটা ভীষণ কষ্টসাধ্য কাজ ছিল। এক দিনে ২২টা সিন করা হতো। এই গরমে এটা একটা কঠিন বিষয়। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো- টেলিভিশন নাটকের খুব রেসপন্স ছিল না। আপনার নাটক গেল কি গেল না, কী করলেন কী করলেন না, এটার কোনো ইমপ্যাক্ট ছিল না। এটা করে একটা ডে পেমেন্ট পেয়ে জীবন চলবে, এটা আমার কাছে অস্বস্তিকর ছিল।

 

প্রথম অনলাইন স্টিমিং থার্ডবেল আপনার হাতে করা...

হুমম। আসলে এমন অনেক ইনিশিয়েটিভ আমার করা। ফুড কনটেন্ট ক্রিয়েশনসহ অনেক কিছু। তখন আমার কনটেন্ট ক্রিয়েশনগুলো পপুলার হয়েছে। এখন তো অনেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে গেছে।

 

ঘরের মানুষ হিল্লোহ-নওশীন পর্দাতে নায়ক-নায়িকা। যৌথভাবে কোনো সিনেমায় অভিনয় করবেন?

ওরকম কোনো প্ল্যান নেই। আর আমাদের দুজনের ফিলোসফি এক জায়গায় যে, আমরা আমাদের ড্রইং রুম-বেডরুম সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখাতে চাই না। এটা আমাদের নিজস্ব অভিমত।

 

ফুড ব্লগিং যারা করে তারা নাকি বেশি খায়?

তা নয়। তবে মানুষ ফুড ব্লগারদের একটু স্ট্রিম বডি দেখতে চায়। আমারও আরেকটু ফিট হতে হবে। কমাতে হবে।

 

কোন দেশের খাবার পছন্দের তালিকায়?

দেখেন, খাবার জিনিসটাই আমার প্রিয়। সব দেশের সব খাবারই প্রিয়। স্পেসিফিক জিজ্ঞেস করা হলে বাংলাদেশের কাচ্চি বিরানি আমার খুবই পছন্দের। থাইল্যান্ডের খাবারই ভালো লাগে আমার। মুঘল কিছু খাবার যেটা লাখনৈর, সেটাও ভালো লাগে। আবার এর আগে ভিয়েতনাম ঘুরে এসেছিলাম, সেখানকার খাবারও অনেক পছন্দ হয়েছে।

সর্বশেষ খবর