শনিবার, ৪ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

ধর্মেন্দ্র-হেমার ফের মালাবদল

শোবিজ ডেস্ক

ধর্মেন্দ্র-হেমার ফের মালাবদল

আবারও মালাবদল করলেন সফল বলিউড অভিনয়শিল্পী, সফল দম্পতি ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনী। কিন্তু কেন, তাঁরা কি নতুন করে কোনো প্রতিজ্ঞায় আবদ্ধ হলেন নাকি সম্পর্কটাকে আরও মজবুত করলেন। সেই কথাই জানানো হলো-

 

ধর্মেন্দ্রর কৃতজ্ঞতা

ফের নতুন করে মালাবদল করলেন বলিউড অভিনয়শিল্পী, সফল দম্পতি ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনী। ৪৪তম বিবাহবার্ষিকীতে বৃহস্পতিবার আবার তাঁরা মালা অদল-বদল করে যেন জীবনের বাকি দাম্পত্যটাকে আরও পোক্ত করার প্রতিজ্ঞা করে নিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, ধর্মেন্দ্র আর হেমার গলায় বড়সড় ফুলের মালা। দুজনে খুব কাছাকাছি, যেন সদ্য বিয়ে হয়েছে! শুধু মালা পরা ছবি নয়, ধর্মেন্দ্র যে হেমার গালে ভালোবাসার চুম্বন এঁকে দিচ্ছেন সেই ছবিও এখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভক্তরাও তাঁদের প্রিয় অভিনেতা দম্পতিকে মন থেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। হেমার প্রতি ধর্মেন্দ্র তাঁর ভালোবাসার একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন এবং বলেছেন- ‘আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ।’ হেমাকে বিয়ে করার জন্য পূর্ব বিবাহিত ধর্মেন্দ্র তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে পর্যন্ত সংঘর্ষে জড়ান। তারপর ১৯৮০ সালে দুজন ছাদনাতলায় গিয়ে মালাবদল করে ‘স্বামী-স্ত্রী’ হন। ১৯৮০ সালে হেমা মালিনী ও ধর্মেন্দ্র বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তার আগে প্রকাশ কৌরকে বিয়ে করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। সানি দেওল ও ববি দেওলের জন্ম তখনই। অন্যদিকে ধর্মেন্দ্র ও হেমার দুই মেয়ে এশা দেওল ও অহনা দেওল।

 

হেমার শুভেচ্ছা

ড্রিম গার্ল হেমা মালিনী তাঁদের ৪৪তম বিবাহবার্ষিকীতে একটি সুন্দর ভিডিও শেয়ার করেছেন এবং তাঁর স্বামী ধর্মেন্দ্রকে বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। হেমা মালিনীর শেয়ার করা ভিডিওটি একজন ভক্ত তৈরি করেছেন। এতে উভয় তারকার কম বয়সের অদেখা ছবি এবং স্মরণীয় মুহূর্ত ভাগ করেছেন। হেমা ইনস্টাগ্রামে ভিডিও শেয়ার করে ধর্মেন্দ্রকে লিখেছেন, ‘আজ আমাদের বিবাহবার্ষিকী। ৪৪ বছরের জীবন। দুই সুন্দরী কন্যা রয়েছে আমাদের এবং তাদের ভালোবাসা বর্ষণ করছে প্রতি মুহূর্তে। আমাদের ভক্ত আছে, যারা আমাদের প্রতি অনেক ভালোবাসা বর্ষণ করেছেন। জীবনে আর কী চাই? এই সুখের উপহারের জন্য আমরা ঈশ্বরের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। ভিডিওটি পোস্ট করে হেমা আরও লিখেছেন, ‘আজ আমাদের বিবাহবার্ষিকী। ৪৪ বছর একসঙ্গে থাকা, দুই কন্যা, নাতি-নাতনিরা আমাদের সব সময় ঘিরে রয়েছে এবং ভালোবাসায় ভরিয়ে তুলেছে।’ একই সঙ্গে ওই পোস্টে তাঁদের প্রতি অনুরাগীদের ভালোবাসার কথাও উল্লেখ করেছেন হেমা। তিনি লেখেন, ‘এর থেকে বেশি আর কী-ই বা চাইতে পারি আমি। ঈশ্বরের কাছে আমরা চিরকৃতজ্ঞ।’ সমাজমাধ্যমে হেমা নিজেই ছবি দিয়েছেন। লিখেছেন, ‘আমার বাড়ি থেকে।’ অন্যদিকে মেয়ে এশা দেওল মা-বাবার মালা পরা ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘কী মিষ্টি, আমি এরকম চেয়েছিলাম।’

 

ধর্মেন্দ্র-হেমার গোপন প্রেম

ধর্মেন্দ্র বিবাহিত ছিলেন বলে হেমা মালিনীর মা ও বাবা এ বিয়ের বিরুদ্ধে ছিলেন। প্রকাশ কৌরের সঙ্গে অনেক আগেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ধর্মেন্দ্র এবং তাঁর দুই পুত্রও ছিল। সিনেমার শুটিংয়ের সময়ও দুজনে গোপনে দেখা করতেন।

 

জিতেন্দ্রকে বিয়ের সিদ্ধান্ত হেমার

হেমা মালিনীর মা যখন এই সম্পর্কের কথা জানতে পারেন, তখনই তিনি তার মেয়েকে অন্য কারও সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি অনেক কষ্টে হেমা মালিনীকে রাজি করান অভিনেতা জিতেন্দ্রকে বিয়ে করতে। তারপর হেমা তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং গোপনে সবাই চেন্নাই পৌঁছে যান। যেখানে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।

 

ধর্মেন্দ্রকে দেখে চিৎকার হেমার বাবার

রাম কমল মুখোপাধ্যায়ের লেখা বই ‘বিয়ন্ড দ্য ড্রিম গার্ল’ অনুসারে ধর্মেন্দ্র যখন হেমা মালিনীর বিয়ের খবর পান তখন তিনি ফ্লাইটে দ্রুত হেমা মালিনীর বাড়ি পৌঁছান। হেমার বাবা তাঁকে দরজায় থামিয়ে চিৎকার করে বললেন, তুমি আমার মেয়ের জীবন থেকে বের হচ্ছো না কেন? তুমি বিবাহিত তাই আমার মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না। তখন হেমা মালিনীর বাবার কাছে আকুতি জানিয়ে ধর্মেন্দ্র বলেছিলেন, ‘দয়া করুন, আমি ওকে ভালোবাসি...’। এরপর ধর্মেন্দ্র কোনোভাবে হেমা মালিনীর ঘরে ঢুকে তাঁকে অনুরোধ করতে লাগলেন, যেন তিনি জিতেন্দ্রকে বিয়ে করার ভুল না করেন এবং একবার ভাবেন। এরপর হেমা মালিনী জিতেন্দ্রর পরিবারের কাছে কিছুটা সময় চেয়েছিলেন। পরিবার হেমা মালিনীকে সময় দিয়ে বিয়ের প্ল্যান পরিবর্তন করে। সেদিন থেমে যায় হেমা মালিনী ও জিতেন্দ্রর বিয়ে। যদিও ওইদিন হেমা মালিনীকে বিয়ে করেননি ধর্মেন্দ্র। কয়েকদিন পর ২ মে ১৯৮০ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েন তাঁরা। হেমা মালিনী বলেছিলেন, তিনি ধর্মেন্দ্রকে বিয়ে করেছিলেন কারণ তিনি তাঁকে খুবই ভালোবাসতেন এবং সব সময় তাঁর ভালো চাইতেন।

 

বর্তমানে হেমা-ধর্মেন্দ্র

ধর্মেন্দ্রকে দর্শক সম্প্রতি ‘তেরি বাতোঁ মে অ্যায়সা উলঝা জিয়া’ ছবিতে দেখেছেন। অন্যদিকে হেমা এখন চলতি লোকসভা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত।

 

সর্বশেষ খবর