শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

যেন ঠিকঠাক অভিনয়টাই করতে পারি

যেন ঠিকঠাক অভিনয়টাই করতে পারি

ছোট পর্দার আলোচিত ও সুপরিচিত মুখ এফ এস নাঈম। ওটিটির কল্যাণে যে কয়েকজন শিল্পীর পুনর্জন্ম হয়েছে, তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ তিনি। দুর্দান্ত অভিনয়গুণে সর্বমহলে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাকে নিয়ে আলোচনা চলছে। যে কারণে তার কাজের পরিধি বাড়ছে। সেই সঙ্গে নতুন নতুন কাজ নিয়ে হাজির হচ্ছেন এ অভিনেতা। এ অভিনেতার সঙ্গে কাজ ও ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

প্রসুণ রহমানের চলচ্চিত্র শেকড়-এর শুটিং করছেন। কেমন হচ্ছে শুটিং?

অনেক ভালো হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক ও পরিকল্পনামাফিক হচ্ছে। আমরা কয়েক দিন ধরে পুবাইলে শুটিং করছি। এখানকার পরিবেশ চমৎকার। প্রথম দিন শুটিংয়ে ঝড়-বৃষ্টির কবলে পড়ার কারণে কিছুটা বিপদে পড়েছিলাম। কিন্তু এরপর সুন্দরভাবে সবকিছু হচ্ছে। সবাই খুব যত্নের সঙ্গে কাজটি করছে। আশা করছি ভালো একটি কাজ হবে।

 

শেকড়ে কীভাবে যুক্ত হলেন?

প্রসুণদার সঙ্গে তো অনেক আগে থেকেই কথা হয়। কাজও হয়েছে তার গল্পে। এরপর তার সঙ্গে কথা হচ্ছিল যখন আমি ওটিটিতে কাজ করা শুরু করলাম। প্রায়ই আমাদের ইনবক্সে কথা হতো। আমি বলতাম, দাদা আপনার সঙ্গে কবে কাজ হবে? তিনি বললেন, আমার মতো একটা চরিত্র পেয়ে নিই, তারপর তোমাকে জানাব। ঠিক তিন মাস আগে তিনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে বললেন, ব্যস্ততা কেমন? আমি তোমাকে একটা পান্ডুলিপি পাঠাই, তারপর তুমি জানাও। আমি তো পান্ডুলিপি পেয়েই জানালাম, আমার তো অবশ্যই এ গল্পের একটি চরিত্রে থাকা উচিত। যে গল্প অনেক মানুষের ভিতরের কথা বলে সেই গল্পে আমার থাকা উচিত। তারপর তো শুরু করলাম কাজ।

 

এটি মাইগ্রেশন ও ভালোবাসার গল্প। দুটোকে সামনে নিয়ে এগোনো কতটা চ্যালেঞ্জিং?

আমার জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং। কারণ গল্পটা মা-ছেলের গল্প, প্রেমিক-প্রেমিকার গল্প, বন্ধুর গল্প, সেই সঙ্গে দেশের গল্প, নিজের মাতৃভূমির গল্প, নিজের শেকড়ের গল্প। আসলে আমি যেন ঠিকঠাক অভিনয়টাই করতে পারি সব সময় সেটা চাই সবার কাছে।

 

জ্বলে জ্বলে তারা আসবে কবে?

শিগগিরই সুখবর পাবেন আশা করছি। অরুণদার সামনে যে কোনো সময় হলে মুক্তি দেবেন বলে প্ল্যান করছেন। খুবই সুন্দর একটা গল্পের সিনেমা। আমার চরিত্রটাও খুবই চমৎকার।

 

জীবনে যাকে চেয়েছিলেন তাকে পেয়েছেন। সংসার কেমন চলছে?

আলহামদুলিল্লাহ। খুবই ভালো চলছে। আমাদের দুটো ম্যাচিউরড মানুষের একসঙ্গে পথচলা, সেটা খুবই মিষ্টি। তবে সংসারটা টক-ঝাল-মিষ্টির। তিনটা ফ্লেভারই আছে আমাদের সংসারে।

 

নাঈম-নাদিয়া দুজনই শোবিজের মানুষ। বাড়ি ফিরে নিজেদের কাজ নিয়ে আলোচনা হয়?

সমালোচনা হয়। আমরা আমাদের সমালোচনা করি। আমি নাদিয়ার কাজ বা শো দেখে বলি, মঞ্চের পেছনে এত লাইট, তোমার ফেসলাইট নেই কেন! তখন নাদিয়া বলে, তুমি এত পরিশ্রম করেছ এখানে, পোস্টারে তোমার ছবি নেই কেন? অন্যজনের ছবি কেন? তার মানে আমরা নিজেদের স্বার্থে নিজেরা আলোচনা-সমালোচনায় বসি। এটা অন্যরকম।

 

ওটিটি ও সিনেমায় সমানতালে কাজ করছেন...

একজন অ্যাক্টর হিসেবে তো আমার অ্যাক্টিংয়ের রেঞ্জটা বাড়াতে হবে। এবং সেটা না বুঝে না। দেখুন ৪০ এর আগে একজন আর্টিস্ট অনেকগুলো ফেস টাচ করতে পারে না। সে অভিনয় করার চেষ্টা করে। রিয়েলিটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করে।

 

৪০ কি হয়েছে?

অবশ্যই। লুকানোর তো কিছুই নেই। আমি ডিসিপ্লিন মেইনটেইন করে চলি। যতই উন্মাদ, মজার বা ডিফারেন্ট টাইপের অভিনয় করি না কেন, আমি সবসময় ডিসিপ্লিন মেনে চলি।

 

গান আসবে কবে?

অনেকগুলো প্রস্তুত রয়েছে। এরমধ্যে দারুণ একটি গান রয়েছে, নাম ‘মায়া’, যেটি স্পটিফাইসহ বেশ কিছু প্ল্যাটফরমে রিলিজ হবে। আশা করছি গানটি সবার মন ছুঁয়ে যাবে।

সর্বশেষ খবর