বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

মানুষের প্রত্যাশার জায়গাতেই আছি

মানুষের প্রত্যাশার জায়গাতেই আছি

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌস। তিনি এখন সংসদ সদস্য। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমা দুই বাংলার দর্শকদের উপহার দিয়েছেন এ চিত্রনায়ক। অভিনয়ের পাশাপাশি উপস্থাপনাতেও দারুণ সিদ্ধহস্ত তিনি। বর্তমানে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তার বেশ কয়েকটি সিনেমা। এ তারকার সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

নায়ক থেকে সংসদ সদস্য। কেমন লাগছে এই নতুন জীবন?

ভালোই লাগছে। মানুষের কাছাকাছি গিয়ে মানুষের সেবা করার সুযোগ পাচ্ছি, এটা একটা বিরাট পাওয়া আমার কাছে মনে হয়।

 

মানুষ আপনার কাছ থেকে যতটুকু আশা করেছিল তা পূরণ করতে পারছেন বলে মনে হচ্ছে?

আমি চেষ্টা করছি। চেষ্টা করে যাব। যদিও তাদের প্রত্যাশা কম। তারা যতটুকু প্রত্যাশা করেছে তার চেয়ে অনেক বেশি করার ইচ্ছা আমার। তারা তো আমার কাছে কিছু চায়নি। তারা শুধু ভালোবাসা চেয়েছে। আমাকে পাশে চেয়েছে, কাছে চেয়েছে। কিন্তু আমি নিজে থেকেই তাদের জন্য, তাদের জীবনমান যেন সুন্দর হয় সবকিছু করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

 

একজন ফিল্মের মানুষ হিসেবে শিল্পীদের জন্য কী করণীয় রয়েছে?

আসলে মাত্র তো শুরু হলো। বেশি দিন তো হয়নি আমি এখানে এসেছি। আমি আপাতত যেটা করছি যে, শিল্পীদের পক্ষ হয়ে শিল্পীদের যা প্রয়োজন, যেসব সমস্যা তা মহান সংসদে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আর এভাবেই একটার পর একটা সমাধান করে যাব। আর শিল্পীদের কিন্তু স্পেসিফিক কোনো সমস্যা নেই। শিল্পী-কলাকুশলী যারা, তারা কাজ করতে চান। তারা ভালো ভালো সিনেমাতে অভিনয় করতে চান। ভালো ভালো ওটিটির কাজ করতে চান। নাটক, গানসহ কাজ করতে চান তারা। তারা কাজ করে নিজের যোগ্যতাকে সসম্মানে আরও স্টাবলিশ করতে চান। সেজন্য কাজের পরিধি বাড়াতে হবে। এখানে একক কোনো সমস্যা নেই, যে সমস্যাটা সমাধান করলে শিল্পীদের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কাজেই সেই গুণগত মান, পরিবেশ তৈরি করতে পারে। তাই আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

 

রাজনীতিতে সময় দেওয়ায় একজন ফিল্মস্টার হিসেবে অভিনয়ে ব্যাঘাত ঘটছে কি?

না সেরকম কোনো বিষয় না। আমি এমনিতেই অনেক কম কাজ করছিলাম। আমি গত কয়েক বছর একটা-দুটা কাজ করছিলাম। কারণ, অনেক লম্বা সময় তো কাজ করেছি। আর আমি যেহেতু নায়ক ছাড়া অন্য কোনো চরিত্রে কাজ করব না, আর যেহেতু আজীবন নায়ক হয়েই থাকতে চাই তাই কাজের পরিধিটা কমে আসছে। সংকুচিত হয়ে এসেছে। তো আমাকে বেজড করে, আমাকে নিয়ে সেরকম গল্প যারা করবে সেরকম দু-একটা সিনেমায় আমি কাজ করব। আর বাকি তো অনেক করেছি। সেগুলো চলেছে, চলবে। সারাক্ষণ তো সামনেই আসি। এতদিন পর্দার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল, এখন তো বাস্তবের যোগাযোগ। সেক্ষেত্রে আমার কাছে মনে হয় মানুষের প্রত্যাশার জায়গাতেই আছি।

 

সাংবাদিকবান্ধব আপনি। কিন্তু মাঝে সাংবাদিকের সঙ্গে চলচ্চিত্রের নেতা-শিল্পীদের দুর্ব্যবহারে কতটা কষ্ট পেয়েছেন?

এটা ভীষণ অবিবেচকের মতো কাজ হয়েছে। যেটা আমাদের শিল্পীদের সঙ্গে যায় না, সাংবাদিক বন্ধুদের সঙ্গেও যায় না। দুটোই আমার কাছে মনে হয়েছে, যারা যারা এ আচরণবিধির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তা ঠিক কাজ হয়নি। পুরো ব্যাপারটা ডেফিনেটলি বড় ধরনের অন্যায় হয়েছে। সেরকম যেন সামনে আর কিছু না হয়।

 

রাজনীতিবিদ হিসেবে সামনে আর কী কী কাজ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে?

এগুলো বলব। সামনে আস্তে আস্তে বলব। সময় তো আছে। এখনই সব বলে দিলে কী হবে? সামনে কী বলব।

সর্বশেষ খবর