শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

মূল লক্ষ্য হলো শিল্পীদের নিরাপত্তা

মূল লক্ষ্য হলো শিল্পীদের নিরাপত্তা

শোবিজ মিডিয়ার জনপ্রিয় অভিনেতা ও অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম। পুরোদস্তুর অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অন্যদিকে সফল সংগঠক হিসেবেও ইতোমধ্যে নিজের মেধা-মনন দিয়ে সাফল্য দেখিয়েছেন। এখন নিয়মিত কাজ করছেন নাটক, বিজ্ঞাপন, ওটিটি ও ফিল্মে। তার সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

শিল্পীদের সংগঠন হিসেবে প্রথম নিজেদের একটা জায়গা হলো। এ স্বপ্ন পূরণের অগ্রগতি কতদূর?

অভিনয়শিল্পীদের জন্য একটা জায়গা যেটা সরকার বরাদ্দ দিয়েছেন। তো সেই জায়গাটাতে আমরা আমাদের শিল্পীদের একটা সেন্টার করতে চাই যেখানে অফিশিয়াল কার্যক্রমসহ প্রশিক্ষণ, ক্যাফেটেরিয়া থাকবে। অর্থাৎ শিল্পীদের একটা মিলনমেলা যেন হয়। নিজেদের জায়গায় নিজেরা আসবে, গল্প করবে, আড্ডা দেবে, নিজেদের মতো করে সময় দেবে। সেরকম একটা জায়গা আমরা তৈরি করতে চাই। শিল্পীদের যারাই অবসরে থাকবেন সেখানে গিয়ে আড্ডা দেবেন সেরকম একটা কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমরা বাউন্ডারি ওয়াল ইতোমধ্যে দিয়েছি। এরপর বিভিন্ন প্রক্রিয়া আছে। সেই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে খুব অচিরেই হয়তোবা আমরা সেখানে সমাবেশ ঘটাতে পারব বলে আশা করছি।

 

অভিনয়শিল্পী সংঘের এটি একটি বড় সাফল্য বলে মনে করছেন কি?

এটাই যে অভিনয়শিল্পীদের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তা নয়। এটা অনেকগুলো বিষয়ের মধ্যে একটি। সেখানে চর্চা, ট্রেনিং, বিনোদন সব শিল্পীর জন্য থাকবে। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো শিল্পীদের নিরাপত্তা। সেটা সামাজিক নিরাপত্তা, শুটিং ইউনিটের নিরাপত্তা এবং সর্বোপরি সবাই যেন এ পেশার প্রতি আস্থাশীল থাকেন সেই জায়গাটা তৈরি করা। যেন পরবর্তী প্রজন্মের এ পেশাকে পেশা হিসেবে নিতে সহজ হয়; তারা যেন দ্বিধান্বিত না হয়। তারা যেন গৌরবের সঙ্গে এ পেশাকে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত হয়। সেই জায়গায় পৌঁছানোই আমাদের মূল লক্ষ্য। নিজস্ব জায়গা ছাড়াও আমরা চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পেরেছি। আমরা ছোট ছোট করে ওয়েলফেয়ারের কাজও করছি। তবে অভিনয়শিল্পীদের মর্যাদা, সামাজিক মর্যাদা ও নিরাপত্তা রক্ষায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

 

নেতা হিসেবে শিল্পীদের স্বার্থ দেখতে গিয়ে আপনার নিজ স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছেন। সে হিসেবে অভিনয় করা কম হচ্ছে কি?

সেটা তো হচ্ছে। আসলে কাজ করতে গিয়ে যেটা হয় সেটা হলো কমিটমেন্ট রাখতে গিয়ে ব্যক্তিগত কাজে তো ব্যাঘাত ঘটেই, পারিবারিক কাজেরও। অন্য সব কাজের ব্যাঘাত ঘটিয়েই এখানে কাজ করতে হয়। সেটা অবশ্য টাইম ম্যানেজ করে নিতে হয়। আসলে ভালো কিছু করতে গেলে ছাড় তো দিতেই হয়। সংগঠন মানেই তো স্বার্থহীনভাবে বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করে যাওয়ার চেষ্টা। এর মধ্যে একবার ঢুকে পড়লে মনে হয় যে আরও কতকিছু করা বাকি। সেই কাজগুলো করতে পারলে মানসিক একটা শান্তি আসে। সব কাজ সম্পন্ন হয়ে যদি সব শিল্পীর আস্থার জায়গা তৈরি হয় এবং শিল্পীদের প্রতি যদি রাষ্ট্রের আস্থার জায়গাটা সৃষ্টি হয় তখনই এ সাংগঠনিক প্রচেষ্টাটা সফল হবে বলে মনে করি।

 

নতুন কাজের খবর জানতে চাই...

কাজ করছি। এরমধ্যে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করছি। দুটি ধারাবাহিকে অভিনয় করছি। মাঝে মাঝে এক ঘণ্টার নাটক করছি, টেলিফিল্ম করছি। মাঝেমধ্যে কাজটা হচ্ছে, নিয়মিত অভিনয় করা হয়ে ওঠে না। নিজের ব্যক্তিগত এবং সাংগঠনিক কাজ মিলে ৩০ দিন শুটিং করার অবস্থায় আমি নেই। সে কারণে কাজের সংখ্যাটা আমার একটু কম।

 

শিল্পীদের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এবার জনগণের নেতা হিসেবে রাজনীতিতে আসার পরিকল্পনা রয়েছে কি?

সেরকম ইচ্ছা বা পরিকল্পনা এখনো নেই। এই ইচ্ছা হবে কি না তা-ও জানি না। ওইভাবে ভাবিনি। আসলে শিল্পীদের জন্য কাজ করতে গেলে শিল্পীদের সঙ্গে নিয়েই কাজ করা সম্ভব। যারা শিল্পীদের প্রতিনিধি হয়ে সামনে যাচ্ছেন তারাও আমাদেরই মানুষ। তারাও আমাদের সহযোগিতা করবেন সেই বিশ্বাস রয়েছে। কিন্তু এটার জন্য যে সংসদে যেতে হবে সেরকম মনে করি না আমি।

 

বিএফডিএ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান করেছে। অভিনয়শিল্পী সংঘ কবে উদ্যোগ নেবে?

বেশকিছু দিন ধরেই পরিকল্পনা করছি। কোন আঙ্গিকে বা পরিসরটা কেমন হবে সেটা নিয়ে আমাদের মধ্যে ভাবনা চলছে। অচিরেই সেইটার একটা রূপরেখা প্রকাশ করবো।

সর্বশেষ খবর