রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

‘চালাক’ অসম্পূর্ণ রেখেই মধুবালার বিদায়

আলাউদ্দীন মাজিদ

‘চালাক’ অসম্পূর্ণ রেখেই মধুবালার বিদায়

বলিউডের অপরূপা অভিনেত্রী মধুবালা জন্ম নিয়েছিলেন হৃৎপিণ্ডে ছোট্ট একটি ছিদ্র নিয়ে। বয়স যখন ২৭ বছর, ডাক্তার জানিয়ে দেন আর মাত্র বছরদুয়েক বাঁচবেন তিনি। কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞানের তত্ত্ব ভুল প্রমাণ করে দৃঢ়চেতা মধুবালা বেঁচে ছিলেন আরও নয়টি বছর। ভারতীয় কিংবদন্তি এই অভিনেত্রী ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৩৬ বছর বয়সে চিরবিদায় নেন। মধুবালা জন্মেছিলেন ১৯৩৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি।

১৯৬৪ সাল, মধুবালা কিছুটা সুস্থ বোধ করে আবার অভিনয়ে ফিরে আসেন। তার হাতে থাকা কাজগুলো শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন। এসব ছবির মধ্যে একটি ছবির কাজ বেশ কিছুদিন ধরে আটকে ছিল, ছবির শিরোনাম ‘চালাক’। এই ছবিতে তিনি রাজকাপুরের বিপরীতে অভিনয় করছিলেন। ছবিটি প্রযোজনা ও পরিচালনা করছিলেন জে কে নন্দা। ভারতের স্ক্রিন পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মধুবালার অসুস্থতার কারণে ছবিটির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এতে কাজ করতে গিয়ে একদিন তিনি সেটে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাকে ডাক্তার কঠোরভাবে বেড রেস্টে থাকার পরামর্শ দেন। তার পরও এই ছবিটি শেষ করার জন্য তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। ১৯৬৬ সালের দিকে মধুবালা আবার ছবিটি সম্পূর্ণ করার জন্য সাহসী চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ভাগ্য তার পক্ষে ছিল না। ‘চালাক’ এর স্টিল ছবিগুলোতে দেখা যায় উনি কতটা অসুস্থ ছিলেন। তার সুন্দর মুখটির সঙ্গে সেই অপরূপা মধুবালার কোনো মিল ছিল না, তার সেই বিখ্যাত জ্বলজ্বল চোখে ছিল গভীর দুঃখের ছাপ। ১৯৬৯ সালে কিছুটা সুস্থ হয়ে আবারও ‘চালাক’ ছবিটি সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করলেও কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ছবিটির মাত্র কয়েকটি সিনের শুটিং বাকি রেখেই ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি চিরতরে না ফেরার দেশে চলে গেলেন মধুবালা। চলচ্চিত্রে পা রাখার আগে তার নাম ছিল মমতাজ জাহান বেগম দেহলভি। ১৯৪২ সালে ‘বসন্ত’ চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু। পরে আরও কয়েকটি ছবিতে শিশুশিল্পী। সে সময় অভিনেত্রী দেবিকা রানি শিশু মমতাজ জাহানের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে তার নাম পরিবর্তন করে রাখেন ‘মধুবালা’। পরবর্তীতে এ নামেই জনপ্রিয়তা শুরু।

সর্বশেষ খবর