সোমবার, ২০ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

দর্শকের কাছে অনেক দেনা আছে

দর্শকের কাছে অনেক দেনা আছে

শোবিজের জনপ্রিয় অভিনেতা ও মডেল মনির খান শিমুল। ক্যারিয়ারে অসংখ্য টেলিফিল্ম, নাটক ও সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। যদিও অভিনয়ে আগের মতো দেখা যায় না তাকে। তবে ভালো গল্প ও চরিত্র পেলে কাজ করছেন। সিনেমা বানানোরও প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।  এ তারকার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল

 

কী নিয়ে ব্যস্ততা এখন?

দেনা-পাওনা!

 

কার কাছে দেনা আর কার কাছে পাওনা?

দেনা আছে আমার দর্শকের কাছে, আর দর্শকের আমার কাছে অনেক পাওনা জমে গেছে গত ১২-১৪ বছরে অথবা আমার পুরো ক্যারিয়ারে।

 

অভিনয়ে অনিয়মিত কেন?

আমি আসলে কন্টিনিউয়াসলি কাজ করি না। এটা আমার থার্ড ইনিংস। আমি তো বাইরে কাজ করি। আর কাজ তো করতে চাই, তবে পরিবেশটা লাগে। একটা কাজ করার জন্য অনেক বেশি টাকার দরকার নেই। আমরা হচ্ছি স্বশিক্ষিত। আমরা বাইরে যে অন্যান্য সাবজেক্টে পড়াশোনা করেছি সেটার অ্যাপ্লিকেশন এখানে করার চেষ্টা করেছি কমনসেন্স দিয়ে। আমরা পরম্পরায় শিখেছি। আমি থিয়েটার যখন করেছি তখন আমার সামনে ছিলেন কেরামত মাওলা। অ্যাকটিংয়ে আমার কাছে ভালো লাগত আলী যাকেরকে। ওইপাশে শম্ভু মিত্র, গিরিশ কার্নাট, স্যার লরেন্স অলিভিয়ার- তারা আমাদের সামনে ছিলেন। সো আমরা তাদের কাছ থেকে পরম্পরায় শিখেছি। তখন আধুনিকতা ও অভিজ্ঞতার সম্মিলন ঘটানোর প্রচেষ্টা ছিল। এটা একটু ভেঙে যাওয়ার কারণে আমাদের জেনারেশনের অনেকেই কাজ করে না।

 

সেই সোনালি সময়ের সঙ্গে বর্তমান সময়ের পার্থক্যকে কীভাবে দেখেন?

তখন তো প্রযুক্তি ছিল না। এখন তো প্লাটিনামের সময়, হীরার সময় হওয়া উচিত এবং বিশ্বাস করি হবে। আমি একবার বলেছিলাম যে এরা হলিউডে যাবে। তখন অনেক হাসাহাসি হয়েছিল। আমি ছোটবেলা থেকে ব্যবসা করি। ১৯ বছর বয়স থেকে। এখনো করি। পার্টটাইম জব  করেও আমি সারা পৃথিবীতে ঘুরেছি। এখানে-সেখানে গেছি একজন ব্যবসায়ীর চোখ দিয়ে দেখেছি, শিল্পীর চোখ দিয়ে দেখেছি, একজন অভিনেতার চোখ দিয়ে দেখেছি, দেখেছি প্রডিউসার নতুবা দর্শকের চোখ দিয়ে। তো পৃথিবীর ধনী লোকেরা শো বিজনেসে ইনভেস্ট করে। আমার বাবা সেই পাকিস্তান আমলে ছবির জন্য ডোনেশন করেছেন। আমি যখন অভিনয় করতে এলাম তখন বাবা বললেন, তুমি কেন অভিনয়ে যাচ্ছ? আমি বললাম, আপনি তো আনন্দমোহন কলেজে সেই সিরাজউদদৌলার পার্ট করেছেন। অঞ্জনা আপার শ্বশুর ঢালী চাচা আপনার বন্ধু ও বিজনেস পার্টনার ছিলেন। দিলারা আপা খুব ভালো করে চেনেন আব্বাকে। তো, আমাকে কেন আপনি বাধা দিচ্ছেন? তিনি তখন বলতেন, আমাদের ওই সময়টা ছিল কমিটমেন্ট। আমরা না করলে প্রেসটিজ ছিল না। যারা এলিট বা শিক্ষিত লোকজন তারা যদি শিল্প-সংস্কৃতির মধ্যে ইনভলব না হয় তাহলে তো অনেকে মেনে নেবে না। বিকজ, দ্যাট ওয়াজ লর্ডস গেম। আর তোদের এখন হচ্ছে বেগারস ওয়ার্ক। তো, লর্ডও হাঁটে আবার ফকিরও হাঁটে।  আমি ভেবেছি, যা কিছু এখন করি বা সামনে যদি পাওয়ার হয় তাহলে সেই লর্ডস গেমটা ফিরিয়ে আনতে চাই। গ্লোবালাইজেশন হয়ে গেছে বলে এখন হলিউডে যাওয়া কোনো ব্যাপার না। আগে অবশ্য ব্যাপার ছিল। খুবই  ছ্যাঁচড়া সময়ের মধ্য দিয়ে গেছি আমরা। খুবই অন্ধকার একটা সময়ের মধ্য দিয়ে গেছি সিনেমা ও নাটকে। সেই সময়টা এখন পার করে ফেলেছি।

 

বিজ্ঞাপনের সেই প্রিয় মুখদের কতখানি মিস করেন?

অনেক। সে সময় একদম সিনিয়র মোস্ট হচ্ছে ফ্যাশনে মৌ ছিল, তুপা ছিল। তুপার বড় বোন ছিল মৌ। নোবেল, শাহরিয়ার আর মৌ সিনিয়র ছিল ফ্যাশনে। আর প্রোডাক্ট মডেলে আমি, নোবেল, পল্লব, তারপর ফয়সাল, সাব্বির। এদিকে মৌ, সবার সিনিয়র। স্ক্রিনে আমারও সিনিয়র।  সুইটি-তানিয়া একসঙ্গে এলো। তারপর সুমি এলো।

 

 বার্জারের সেই বিজ্ঞাপন, মডেল চৈতী...

ও হচ্ছে মৌ-এর কাজিন। ও অনেক ছোট ছিল। খুবই প্রমিনেন্ট। আমরা যখন ৯২-তে মৌ-এর বাসায় যেতাম তখন তো ও ছিল একদম পিচ্চি। ও যখন বার্জার করে তখন ক্লাস নাইনে পড়ে।

সর্বশেষ খবর