শিরোনাম
বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

৩০ বছর ধরে মানুষের ভিতরে আছি

৩০ বছর ধরে মানুষের ভিতরে আছি

কিংবদন্তি গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক প্রিন্স মাহমুদ। নব্বই দশক থেকে বর্তমান সময়ের কথা-সুরের সেতুবন্ধনে এ সুরের রাজপুত্রের রয়েছে অসামান্য ভূমিকা। সম্প্রতি ঢাকাই সিনেমায় তার ‘ঈশ্বর’, ‘বরবাদ’ ও ‘মা’ গানটি সুপার-ডুপার হিটের তকমা পেয়েছে। এদিকে ঈদুল আজহায় মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘জংলি’র চারটি গানেরই সুর-সংগীতায়োজন করেছেন তিনি। এ তারকার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথোপকথন-

 

গত তিন বছরেই বেশ কয়েকটি হিট গান উপহার দিয়েছেন। এসব সাফল্যে ভালোলাগা কেমন?

আসলে আমার তো প্রতিবছরই অ্যালবাম থাকে। এরমধ্যে সিনেমার বেশ কয়েকটি গানের কাজ করেছি। যে গানগুলো আলোচনায় রয়েছে তবে ভিউয়ে আগানো না হয়তো। আমি গান করার সময় খুবই কেয়ারফুল থাকি সময় অনুযায়ী গান করার, শ্রোতাদের কাছাকাছি পৌঁছানোর। চেষ্টা করি সময়োপযোগী করে গান তৈরি করার। এখানে একটু দায়িত্ব থাকে গানে মনঃসংযোগ করার। আমি মনে করি, সব গানই যে হিট হবে বা ভিউ হবে সেটা নয়; সেটা যেন আলোচনায় থাকে, দর্শকদের পছন্দের শীর্ষে থাকে-সেটাই সর্বদা চাই। আমার আগের গানগুলোও কিন্তু দর্শকদের ভালোলাগায় ছিল বলেই এখনো সবাই গানগুলো নিয়ে বলে, লেখে। আমি চাই, আমার গানগুলো যেন শ্রোতাদের পছন্দে থাকে, ভালো লাগায় থাকে। গত ৩০ বছর ধরে মানুষের ভিতরে আছি। এভাবে ভালো লাগাতেই থাকতে চাই।

 

লাগাতার হিট গান উপহারের পর এবার জংলির চারটি গানেরই সুর-সংগীতায়োজন আপনার...

এর আগে সিয়াম অভিনীত ‘শান’ সিনেমায় গান করার কথা ছিল। কিন্তু করা হয়ে ওঠেনি। এরমধ্যে এক দিন সিয়াম আমার কাছে এলো। বলল, ‘প্রিন্স মাহমুদের সুরে হবে ‘জংলি’ সিনেমার সব গান। ‘এ্যা প্রিন্স মাহমুদ মিউজিক্যাল’ হবে যা আপনার পুরনো দিনের মিক্সড অ্যালবামগুলোর মতো।’ আসলে এরা হচ্ছে ৯০ দশকের বাচ্চা। ওদের মনের জায়গাজুড়ে রয়ে গেছি আমি। এ জন্য ওদের ডাকে সাড়া দেওয়া। খুবই স্বল্প সময়ের মধ্যেই গানগুলো প্রস্তুত করেছি। সব গানকে ভালো লাগার মতো করেই তৈরি করা এবং হয়েছেও। আমি হিট নিয়ে চিন্তা করছি না; কিন্তু গানগুলো দিয়ে মানুষের ভালোলাগায় থাকতে চাই। নিশ্চিত করে বলতে পারি, চারটি গানই চার রকমের। সবার ভালো লাগবে।

 

এ সিনেমায় নতুন-পুরনো কণ্ঠশিল্পীরা কেমন করেছেন?

গানগুলো যারা গেয়েছেন তারাও দারুণ এফোর্ট দিয়ে ভালো করার তাড়না থেকে চেষ্টা করেছে। আমিও আমার জায়গায় ভালো করার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস ঈদের সিনেমা জংলির এ গানগুলোও দর্শক-শ্রোতারা দারুণভাবে গ্রহণ করবেন।

 

জংলির গান ছাড়া সামনে নতুন কোন গান প্রস্তুত হচ্ছে?

আসবে। তবে আপাতত জংলি নিয়েই থাকতে চাই।

 

অন্য প্রসঙ্গ, এত পেশা থাকতে সংগীতকে কেন বেছে নিলেন?

গান ছাড়া তো আর কিছু পারি না। তাই গানকেই বেছে নিয়েছি। গানেই বাঁচি, গানেই বাঁচতে চাই।

 

নিজের জন্মদিনে আপনার সৃষ্টি আজ জন্মদিন তোমার গানটি বাজানো হয়েছে কখনো?

আমার জন্মদিনে আমার গান কোনোদিনও বাজেনি। কারণ একটু অস্বস্তি লাগে। আসলে আমি গান করার পর নিজের গান নিজেই শুনি না। মাস্টার করার পরে মনে হয় না কোনোদিন আমি নিজের গান শুনছি। আমার নিজের গানের কোনো কালেকশন আমার সংগ্রহে নেই। মনে করি, আমার গান যদি শোনার হয়, মানুষ এমনিই শুনবে।

 

এ সময়ের গানগুলো মানুষের কতটা মনের খোরাক জোগায়?

গান যেটা ভালো হবে সেটা থাকবে। থাকছে তো অনেকে আমি বর্তমান। গান যেটা থাকার নয়, সেটা থাকবে না। গান ভালো করতে হলে সেখানে একটু ধ্যানের প্রয়োজন আছে। সবকিছু বাদ দিয়ে গানেই একটু মনোনিবেশ করার দরকার আমার মনে হয়। তাহলেই গান ভালো হবে। এখনো গান ভালো হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর