শুক্রবার, ৩১ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

ছয় তারকার মজার গল্প...

ছয় তারকার মজার গল্প...

আজ তারা তারকা, যখন ছোট ছিলেন তখন তারাও নানা মজার কর্মকাণ্ড করতেন। তারকা হওয়ার পর সেসব কথা মনে করে এখনো হাসেন তারা। ছয় তারকার এমন কিছু মজার গল্প তুলে ধরেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ

 

মেহজাবীন

গল্পটা ঈদের দিনের। দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ি। প্রথম সালোয়ার-কামিজ পরব। খুব উত্তেজনা। ঈদের দিন ভোরে দর্জি পোশাক দিলেন। সকালে গোসল করে নাশতা খেয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে বেড়িয়ে বাড়িতে ফিরে দুুপুরের দিকে মা-বাবাসহ ঘুমিয়ে পড়লাম। হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল। নিজের দিকে তাকাতেই কান্না পেল। আমার এত শখের ঈদের জামা ভাঁজ হয়ে গেছে। এখন কী করব। বিকালে কীভাবে এই জামা পরে বাইরে যাব। নিজে কাপড় আয়রন করতে পারি না। ভাবলাম, চেষ্টা করে দেখলে ক্ষতি কী? যেই ভাবা সেই কাজ। আয়রন গরম করে যেই না কামিজের ওপর রাখলাম, সঙ্গে সঙ্গে পুড়ে গেল। খুব খারাপ লেগেছিল।

 

অনন্ত জলিল

তখন ঢাকার ধানমন্ডি বয়েস স্কুলে পড়তাম। দুষ্টু ছিলাম। ঠিকমতো লেখাপড়া করতাম না বলে বাবা আমার জন্য একজন গৃহশিক্ষক রেখে দিলেন। সেই শিক্ষকের নাম ছিল এম এ জলিল। স্যারের ব্যক্তিত্ব বাবাকে এতটাই মুগ্ধ করে যে আমার সঞ্জু নাম বদলে বাবা স্যারের নামটাই রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন। নামটা পছন্দ না হওয়ায় আমি খুব কান্নাকাটি করেছিলাম। কিন্তু বাবা ওসব পাত্তা না দিয়ে আকিকা করে রাখলেন নাম। আমার মন খারাপ দেখে বড় ভাই আমার নতুন একটা ডাকনাম দিলেন অনন্ত। তিনি বলেন, এই নামে একদিন আমাকে সবাই চিনবে, ভালোবাসবে। ভাইয়ের কথায় আমি আশ্বস্ত হই। সেই থেকে আমি এম এ জলিল অনন্ত নামে বেড়ে উঠেছি। আর বড় ভাইয়ের কথাও আজ সত্যি হয়েছে।

 

মৌসুমী

ছোটবেলা কেটেছে খুলনায়। বয়স তখন পাঁচ কি ছয় বছর হবে। প্রায় সময় বাড়ির পাশে কোথাও খেলতে গেলে সেখানে ঘুমিয়ে পড়তাম। আবার কখনো কখনো দুষ্টুমি করে বাড়ির পাশে কোথাও লুকিয়ে থাকতাম। আমার খোঁজে বাড়ির সবাই অস্থির হয়ে যেত। সন্ধ্যা গড়িয়ে যখন রাত হতো, তখন বাড়ি ফিরে আসতাম। বাবা কিছু না বললেও মা খুব বকা দিতেন, চড়থাপ্পড়ও দিতেন। এরপরও একই ঘটনা ঘটিয়ে যেতাম।

 

তাহসান

ঢাকার সেন্ট যোসেফ স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি। ছায়ানটেও গান শিখি। ইচ্ছা ছিল একদিন বড় গায়ক হব। স্কুলে পড়া অবস্থায় আমি আমার এক বন্ধু শাকিবের কাছ থেকে খাতা টেনে নিয়ে একটা অটোগ্রাফ দিই। অটোগ্রাফ দেওয়ার পর শাকিবকে বলি, যত্ন করে খাতাটা তুলে রাখিস। একদিন না একদিন আমি অনেক বড় শিল্পী হব। তখন অটোগ্রাফের এই খাতা কাজে দেবে। বিষয়টি মনে পড়লে এখনো আমার খুব হাসি পায়।

 

নোবেল

আমি তখন নবম শ্রেণিতে পড়ি। সাইফুল নামে আমার একজন বন্ধু ছিল। তার বাসায় মেয়েবন্ধুদের যাওয়া-আসা ছিল। একদিন শিল্পী নামে এক বন্ধু সাইফুলকে বলে, আমরা প্রায়ই তোমার বাসায় যাই, এবার কিন্তু নোবেলের বাসায় যাব। এতে আমার কলিজা শুকিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। আমার পরিবার রক্ষণশীল ছিল। একদিন সাইফুল জানাল, শিল্পীসহ তারা আমার বাসায় আসছে। শুনে আমি বাসা থেকে উধাও হয়ে যাই।

 

আরিফিন শুভ

ছোটবেলায় খুব বই পড়ার অভ্যাস ছিল আমার। তখন পঞ্চম শ্রেণিতে মাত্র উঠেছি। নতুন পাঠ্যবই পড়া শুরু করেছি। কিন্তু এত বই কেন? বই পড়ে শেষ করতে পারছি না। মায়ের কাছে গেলাম। বললাম, এ বছর আমার এত বই। পড়েই শেষ করতে পারছি না। মা অবাক হয়ে আমার ঘরে এসে দেখলেন, আমি নিজের বই তো পড়েছিই। এমনকি আমার বড় ভাইয়ের ক্লাসের বইগুলোও পড়ে ফেলেছি। সবাই এটা নিয়ে মজা করেছিল।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর