শুক্রবার, ৩১ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

গানের সঙ্গেই আনন্দে থাকি

গানের সঙ্গেই আনন্দে থাকি

জনপ্রিয় সংগীত তারকা পান্থ কানাই। নব্বইয়ের দশক থেকে বর্তমান পর্যন্ত দেশি সংগীত ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর সরব উপস্থিতি। গান গেয়ে যেমন নতুন প্রজন্মের কাছাকাছি পৌঁছেছেন তেমন অভিনয়েও মুগ্ধ করছেন ভক্তদের। প্রথমবারের মতো ধ্রুব হাসানের সিনেমা ‘ফাতিমা’র মাধ্যমে রুপালি পর্দায় দেখা গেছে তাকে। তাঁর সঙ্গে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

গান নিয়ে প্রস্তুতি কেমন চলছে?

গান তো চলছে। এটাই আমার কাজ ও পরিচয়ের জায়গা। গানের সঙ্গেই আমি আনন্দে থাকি। গেল বছর কোক স্টুডিওতে গান গাইলাম। সেটা সাড়া পেয়েছে। স্বাধীনতা দিবসে একটা গান করা হয়েছে। সামনেও নতুন কিছু গান আসবে।

 

প্রথমবার সিনেমায় অভিনয় করেছেন। কেমন লাগছে?

এটা একটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া হচ্ছে বলতে পারেন। আমি আপাদমস্তক গানের মানুষ। কখনো অভিনয় করব ভাবিনি। তা-ও আবার সিনেমায়। একটা চাপা উত্তেজনা আছে, দর্শক কীভাবে গ্রহণ করেন তা নিয়ে চাপ আছে।

 

নিজের অভিনয় আপনার কাছে কেমন লেগেছে?

খারাপ না। আমি এনজয় করেছি। যেহেতু এটা আমার কাজের আঙিনা নয়, তাই চেষ্টা ছিল সাবলীল কাজ যেন করতে পারি। ছবিটি দেখার পর সবাই আমার অভিনয়ের প্রশংসা করছেন। তাই মনে হচ্ছে মোটের ওপর অভিনয়টা খারাপ করিনি।

 

ফাতিমায় কীভাবে যুক্ত হয়েছিলেন?

ধ্রুব আমার ছোট ভাই। ওর সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। বছর তিনেক আগে হঠাৎ ও আমাকে কল দিয়ে সিনেমার কথা বলে। আমি মনে করেছি গানের জন্যই হয়তো ও আমাকে ডাকছে। কিন্তু ও অভিনয়ের প্রস্তাব দেয়, যা শুনে আমি রীতিমতো চমকে যাই। একে তো আমি সারা জীবন গানটাই করতে চেয়েছি, অভিনয় নিয়ে কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি। এরপর আমাকে স্ক্রিপ্ট দেওয়া হয়। কিন্তু সে সময় কোক স্টুডিও বাংলা নিয়ে আমার এতটাই ব্যস্ততা যে, স্ক্রিপটও খুলে দেখিনি। তারপর ধ্রুবর অনুরোধে কাজটি করতে সম্মত হলাম।

 

এ সিনেমায় আপনাকে নেগেটিভ চরিত্রে দেখা যায়...

হ্যাঁ, আমার চরিত্রটি নেগেটিভ। এজেন্সির মালিক। নাম আনোয়ার। রহস্যময় চরিত্র। অনেক চরিত্রের ভিড়েও এটি দর্শকের চোখে পড়বে বলে আশা করছি।

 

এ সময়ের প্রেক্ষাপটে ছবিটি কতটা প্রাসঙ্গিক?

খুব প্রাসঙ্গিক। এখানে দুটি গল্প প্যারালাল দেখানো হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের একটি, অন্যটি বর্তমান সময়ের। দুটি ভিন্ন সময় বাট সাম্প্রদায়িকতার জায়গাটি তো আজও অভিন্ন। একটা মেয়ে তখনো তার কাছের মানুষের দ্বারা প্রতারিত হতো, নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে টিকে থাকত, এখনো হচ্ছে। মুখোশের আড়ালে খারাপ মানুষ চারদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

 

দর্শকের দৃষ্টিতে এটি কতখানি সিনেমা হয়ে উঠতে পেরেছে?

এটা বলা তো মুশকিল। একেকজন দর্শকের একেক রকম ভাবনা ও রুচি। আমার সঙ্গে অনেকের না-ও মিলতে পারে। আমার কাছে এটি একটি উপভোগ্য সিনেমা। এতে ভালো গল্প আছে, গান আছে, অনেক জনপ্রিয় তারকা আছেন। দেখতে দেখতে মুগ্ধতা আসে, হাসি আসে, কান্না আসে। তাসনিয়া ফারিণ এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তার অভিনয় দারুণ হয়েছে।

 

অভিনয় নিয়মিত...

এটা বলা যাচ্ছে না। নানা রকম কাজের জন্য প্রস্তাব পাচ্ছি। সিনেমা থেকে ওটিটি। সমস্যা হলো আমি অভিনেতা নই। ভবিষ্যতে কাজ করব কি না ঠিক নেই।

সর্বশেষ খবর