শিরোনাম
সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

১২ দিনের নোটিসে বিয়ে করেছি

১২ দিনের নোটিসে বিয়ে করেছি

নন্দিত অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ। লাক্স সুপারস্টার হিসেবে শোবিজে যাত্রা শুরুর পর একের পর এক বিজ্ঞাপন, নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করে যাচ্ছেন। ওটিটির কনটেন্টেও তার উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য।  গতানুগতিকতার বাইরে বরাবরই ভিন্নধর্মী চরিত্রে অভিনয় করতে পছন্দ করেন এ অভিনেত্রী। তার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে - পান্থ আফজাল

 

ঘর-সংসার-জামাই কেমন লাগছে?

বেশ ভালো (মুচকি হেসে)! ভালোই কাটছে সময়টা।

 

প্রেম করার আগে প্রেমিক পুরুষ একরকম আর বিয়ের পর অন্যরকম হয়। কী মনে হচ্ছে?

ওর অনেক কিছুই চেঞ্জ হয়েছে। বেশকিছু হয়েছে পরিবর্তন। যেমন আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের জায়গাটা, কনসিডারেশনের জায়গাটা আমাদের মধ্যে মনে হয় আগের থেকে বেড়েছে। আমরা তো কেউ-ই আসলে কোনো ছাড় দিতে চাই না, সবসময় একটা প্রতিযোগিতা আমাদের সবার মধ্যেই থাকে। সো আমাদের ওই জায়গাটা বা বোঝাপড়ার জায়গাটা আরও মজবুত হয়েছে।

 

বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে মনে হয় একটু সময় নেওয়া হয়েছে...

বিয়েটা আসলে হওয়ার বিষয়, করার বিষয় না। কারণ, আমি জীবনে বেশ কয়েকবার বিয়ে করার চেষ্টা করেছি (মৃদু হেসে)। আমি মনে করি, বিয়েটা খুবই সুন্দর বিষয়। এইটা হলো সেই বন্ডিং যেটা আসলে ঘটতে হয়। অনেক সময় তুমি চাইলে বা ফ্যামিলি চাইলেও হয় না। এটা হয়ে যায় একসময়। আমাদের দুজনেরও এ মুহূর্তে বিয়ের কোনো প্ল্যান ছিল না। কিন্তু এই যে, হয়ে গেল বিয়ে। আমরা ১২ দিনের নোটিসে বিয়ে করে ফেলেছি...হা হা হা। যেদিন গায়ে হলুদ ওইদিনও বিকালবেলা আমি হাতে মেহেদি দিয়ে কাঁদতেছি যে আমার কিছুই হয় নাই। আমি কী করব! একটু পরেই গেস্ট আসবে। এমন সিচুয়েশন ছিল সেসময়। থ্যাঙ্কস, শেষ পর্যন্ত সব ঠিকমতো হয়েছে।

 

মনে পড়ে ছোটবেলা?

অনেক মনে পড়ে। আমার আসলে লাইফের খুবই ইম্পরট্যান্ট কিছু টাইম মানে শৈশব থেকে কৈশোর, কৈশোর থেকে বয়ঃসন্ধিকালের পুরো সময়টা আমার কেটেছে গ্রামে। আমার আব্বু যেহেতু আর্মিতে ছিল তাই প্রতি বছরই কিন্তু কোয়ার্টার পেত না। একটা নিয়ম ছিল আর কি! তাই, আমার অনেকগুলো স্কুল। সাতক্ষীরা আমার গ্রাম আর ঢাকা-যশোর মিলে বেশ কয়েকটি স্কুল চেঞ্জ করতে হয়েছে। আমার ক্রুসিয়াল টাইমে কিন্তু গ্রামেই বেড়ে ওঠা। আমি মাটির খুব কাছে থেকে বড় হয়েছি। দাদার সঙ্গে মাছ ধরতে যাওয়া, দাদার সঙ্গে বিলে যাওয়া থেকে শুরু করে অনেক কিছুই করেছি। রাতের বেলা চাচারা-দাদুরা কোঁচ আর লাইট নিয়ে বিলে বা ঘেরে মাছ ধরতে যেতেন, সঙ্গে আমিও যেতাম। ঝড়ের সময় দৌড়ে কাজিনদের সঙ্গে ঠেলাঠেলি আম কুড়ানে-এমন অনেক মধুর স্মৃতি রয়েছে।

 

বিয়ের পর ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে, এমন ভয় ছিল?

ভয় পাইনি যে বিয়ে করলে ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। এমন কোনো বিষয় কাজ করেনি। আমার কাছে সবসময় একটা জিনিস মনে হয়েছে- তুমি যত ভান করতে থাকবে তত বেশি নিজের আত্মার ক্ষতি করতে থাকবে। মুখোশের কাজই তো একটা সময় খুলে পরা। সো, মুখোশ যখন খুলবে তখন তোমার আসল চেহারাটা লুকাবে কোন মুখোশের আড়ালে? সো, আমি কখনো ভান করে থাকতে পারি না। আমি সবসময় সৎ থাকার চেষ্টা করি। আমি সব সময় একজন ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করেছি। সুপার স্টার বা স্টার বা ভালো অভিনেত্রী বা সাকসেসফুল উইমেন যাই বলা হোক, আমি সবকিছুর ঊর্র্ধ্বে থাকার চেষ্টা করেছি। আমি চেষ্টা করেছি বেটার হিউম্যান বিং হওয়ার।

 

নয়া মানুষ ঈদে আসছে। আর কী কী সিনেমা সামনে আসবে?

সোহেল রানা বয়াতির ‘নয়া মানুষ’ আরও দুইটা ছবি রাশিদ পলাশের ‘রঙবাজার’ ও হাবিবুল ইসলাম হাবিবের ‘যাপিত জীবন’ মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

সর্বশেষ খবর