সোমবার, ১০ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

গুণী মানুষগুলোর অনেকেই হারিয়ে যাচ্ছেন

গুণী মানুষগুলোর অনেকেই হারিয়ে যাচ্ছেন

গুণী অভিনেতা, নির্মাতা ও নাট্যকার সালাহউদ্দিন লাভলু। ক্যামেরার কবি হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয় তাকে। অভিনয়ের বাইরে প্রায় ২৬ বছর ধরে নাটক পরিচালনা করছেন তিনি।  সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রতিদিনের নিয়মিত তারকাআড্ডা আয়োজন ‘প্রতিদিনের প্রিয়জন’-এর অতিথি হয়ে এসেছিলেন। সে সময় তার সঙ্গে সাম্প্রতিক ব্যস্ততা ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল

 

শুনেছি আপনি অসুস্থ। ঈদের কাজের শুটিং করবেন না?

কিছুদিন আগে শুটিংয়ে পা স্লিপ করে পড়ে গিয়ে পিঠের একটা হাড় সরে গেছে। এটা নিয়ে একটু কষ্টে আছি দীর্ঘদিন। তবে চিকিৎসা নিচ্ছি। তারপরও শারীরিক এ অবস্থা নিয়েই ঈদের কাজের শুটিং করতে হবে। ঈদের জন্য নাটক তো বানাতেই হয়। এবারও বানাচ্ছি। ঈদের পর সিরিয়াল শুরু করব। ঘরে বসে থাকলে তো আরও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যাব। চেষ্টা করছি একটু বুঝেশুনে চলতে। কাজটা তো করতেই হবে। এটাই তো আমার পেশা। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

 

এখন তো নাটকের শুটিং করতে অনেক ক্রাইসিসের মুখোমুখি হতে হয়। এরপরও কি সিরিয়াল করার ইচ্ছা?

ইচ্ছা তো আছে। দেখা যাক। এই তো কয়েক বছর আগেও অনেক গুণী ও জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পীকে নিয়ে ১০০ থেকে ১২০ পর্বের সিরিয়াল করেছি। যেগুলো এখনো মানুষের কাছে অসম্ভব রকমের ভালোলাগার। এখন ৫০ এপিসোড যেতে না যেতেই শেষ করতে হয়। আসলেই অনেক ক্রাইসিস। স্ক্রিপ্ট, আর্টিস্ট শিডিউল, অস্বাভাবিক আর্টিস্ট রিমুনারেশন, কম বাজেট। অন্যদিকে নাটকের অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা, দায়িত্বশীলতা ও প্রতিশ্রুতির খুবই অভাব এখন। ভয় লাগে প্ল্যান করতে। তবুও সিরিয়াল ছাড়া তো উপায় নেই!

 

আপনার অসংখ্য দর্শকনন্দিত কাজে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে আজ অনেকেই পৃথিবীতে নেই...

মাসুম আজিজ ভাই নেই, এ টি এম ভাই নেই, এরকম অনেক। ফরীদি ভাই নেই। ‘ভবের হাট’-এ ফরীদি ভাই-এ টি এম ভাই কী দুর্দান্ত অভিনয় করেছিলেন! এরকম অনেকেই নাই, অনেকে আবার বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত। যেমন আমিরুল ভাই। তিনি খুবই কম কাজ করেন। এক সময় প্রচুর কাজ করেছেন আমিরুল ভাই। এরকমই হচ্ছে আসলে। একটা সিনিয়র জেনারেশন, যারা বাংলাদেশের প্রথিতযশা অভিনেতা-অভিনেত্রী, যাদের নাটক দেখার জন্যই মানুষ হা করে টিভি সেটের সামনে বসে থাকত। গুণী মানুষগুলোর অনেকেই হারিয়ে যাচ্ছেন; কারও বয়স বেশি হয়েছে। এটা আমাদের জন্য আসলেই অশনিসংকেত।

 

এ পালাবদলকে কীভাবে দেখছেন?

সব পরিবর্তনই যে খুব ভালো সেটা বলা যাবে না। কিছু কিছু পরিবর্তন ভালো, কিছু খারাপ। আগে নাটকের কাহিনি ছিল অনেক বেশি ফ্যামিলিনির্ভর। এখন তো সে বিষয়টি অনুপস্থিত। সবার হাতে হাতে মোবাইল। এখন যে ধরনের কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে একা একা দেখা ছাড়া তো উপায় নেই।

সর্বশেষ খবর