মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

ছবি মুক্তি নিয়ে চাপ অনুভব করি না

ছবি মুক্তি নিয়ে চাপ অনুভব করি না

নতুন প্রজন্মের আলোচিত নায়ক জিয়াউল রোশান। গেল রোজার ঈদে তার ‘মায়া : দ্য লাভ’ নামের সিনেমাটি মুক্তি পায়। এবারও ঈদুল আজহায় মুক্তি পাচ্ছে জিয়াউল রোশান অভিনীত ‘রিভেঞ্জ’। ঈদের সিনেমা ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে রোশানের সঙ্গে কথা বলেছেন - শামছুল হক রাসেল

 

বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?

এ মুহূর্তে বেশ’কটি ছবির শুটিং ও ডাবিং নিয়েই ব্যস্ততা যাচ্ছে। এর সঙ্গে ঈদকে সামনে রেখে যুক্ত হয়েছে ‘রিভেঞ্জ’ নিয়ে ব্যস্ততা। সব শ্রেণির দর্শকের মাঝে ছবিটি পৌঁছে দিতে চাই। এটি আমার খুবই কাক্সিক্ষত একটি ছবি। আমি অনেক দিন থেকে চাচ্ছিলাম- ঈদে এমন একটি ছবি আসুক। অবশেষে সেটি সম্ভব হচ্ছে।

 

এ ছবিতে বুবলীর সঙ্গে কেমেস্ট্রি কেমন?

বুবলীর সঙ্গে বেশ ভালো একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ইতোমধ্যে কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছি তার সঙ্গে। তাই কেমেস্ট্রিটা আসলে নতুন কিছু না। আগের ছবিগুলোতে আমাদের অনস্ক্রিন রসায়ন দারুণ ছিল। দর্শকরাও তা সাদরে গ্রহণ করেছেন। এবার ‘রিভেঞ্জ’ ছবিতে আমরা বেটার কিছু দেওয়ার চেষ্টা করেছি। বাকিটা দর্শক পর্দায়ই দেখবেন।

 

ঈদে দর্শকদের সঙ্গে ছবি দেখার পরিকল্পনা রয়েছে কি?

অবশ্যই এবার ঈদে হল ভিজিটে যাব। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের দর্শকদের সঙ্গে ছবিটি দেখার ইচ্ছা রয়েছে। আমার ছবি মুক্তি পেলে বরাবরই হলে গিয়ে খুব কাছে থেকে দর্শকদের চাওয়া-পাওয়া বোঝার চেষ্টা করি। এবারও সে ধারাবাহিকতা থাকবে।

 

ঈদে শাকিব খানের ‘তুফান’ও মুক্তি পাচ্ছে, বাড়তি কোনো চাপ অনুভূত হচ্ছে কি?

আমি কখনো ছবি মুক্তির বিষয়ে কোনো চাপ অনুভব করি না। একটা জিনিস বিশ্বাস করি, ভালো ছবি দর্শকদের জন্যই বানানো হয়। দর্শক যখন বিলিভ করে ছবিটি ভালো হয়েছে, তখন সেটা তারা দেখবেনই। ঈদে রায়হান রাফির তুফানসহ বেশ কয়েকটি ছবি মুক্তি পাচ্ছে। রায়হান রাফি অলরেডি পরীক্ষিত, তার নির্মাণ ভালো। তিনি বারবার নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তবে আমাদের রিভেঞ্জও কম নয়। বেশ স্ট্রং গল্প রয়েছে। মেকিংও ভালো হয়েছে, দর্শক নিরাশ হবেন না।

 

অনেকেই বলছেন চলচ্চিত্র এখন ঈদকেন্দ্রিক হয়ে গেছে, আপনারও কি তাই মনে হয়?

বিগত কয়েক বছর ধরে চলচ্চিত্র ঈদকেন্দ্রিক হয়ে গেছে। সবারই প্রতিযোগিতা থাকে ভালো ছবি ঈদে আনার। আমি অস্বীকার করব না, আমিও চাই আমার ভালো ছবিটি ঈদের মতো উৎসবেই মুক্তি পাক। কারণ ঈদে মানুষের মধ্যে ছবি দেখার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। যা অন্যান্য সময় তুলনামূলক কম। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, এই চর্চাটা চলচ্চিত্রের জন্য নেতিবাচক। আমাদের উচিত সারা বছরই সিনেমা হলে দর্শক ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা নেওয়া। ঈদ ছাড়াও অন্যান্য উৎসব উপলক্ষে যেন বেশি বেশি ছবি হয়। সেই ইনিশিয়েটিভগুলো আমাদের এখনই নেওয়া উচিত। যত দ্রুত চেষ্টার বাস্তবায়ন হবে, ততই ভালো।

 

সামনে নতুন কী কী কাজ নিয়ে আসছেন

আমার ‘পুলসিরাত’, ‘জামদানি’ ও ‘প্রেমপরাণ’ নামের তিনটি ছবি রেডি হয়ে আছে। আর ১৫ জুলাই থেকে ফ্রান্সে ‘অপারেশন জ্যাকপট’ ছবির শুটিংয়ে অংশ নেব। এগুলো পর্যায়ক্রমে মুক্তি পাবে। এরপর যুক্তরাজ্যে আমার নতুন ছবি ‘লন্ডন লাভ’-এর কাজ শুরু হবে। সেখানে টানা দুই মাস পুরো টিম নিয়ে বিভিন্ন লোকেশনে ছবিটির শুটিং হবে। এর বাইরে আরও দুটি কাজ রিসেন্টলি সাইন করার কথা রয়েছে। তবে এখনই কিছু বলতে চাই না, এটা চমক হিসেবেই থাক।

 

দর্শকদের উদ্দেশে যে কথা বলতে চান

আসলে দর্শকদের ভালোবাসা আমাকে এতদূর পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। সব সময়ই তাদের সাপোর্ট রয়েছে। তাদের ইন্সপিরেশনেই আমি ভালো ভালো কাজ করতে আগ্রহী হই। আমি চাইব, সবাই যেন সপরিবারে ‘রিভেঞ্জ’ দেখতে সিনেমা হলে যান, বেশি বেশি বাংলা ছবি দেখেন। তাদের হাত ধরেই বাংলা চলচ্চিত্র এগিয়ে যাবে।

সর্বশেষ খবর