শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
বিশেষ সাক্ষাৎকার

সিনেমা হলে দর্শক ফেরানো এখন চ্যালেঞ্জিং

সিনেমা হলে দর্শক ফেরানো এখন চ্যালেঞ্জিং

ঈদে মুক্তি পাচ্ছে মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘ডার্ক ওয়ার্ল্ড’ ছবিটি। এতে অভিনয় করেছেন কলকাতার জনপ্রিয় নায়িকা কৌশানী মুখার্জি। ছবিটি নিয়ে এবং অন্যান্য বিষয়ে তার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ

 

আবার ঢাকার ছবিতে অভিনয়, কেমন লাগছে?

হ্যাঁ, ২০২১ সালে ঢাকায় ‘প্রিয়ারে’ নামে একটি ছবিতে কাজ করেছিলাম। এরপর ঢাকা থেকে প্রচুর ফোনকল পাচ্ছিলাম এখানে কাজ করার জন্য। যা হোক এবার আবার ‘ডার্ক ওয়ার্ল্ড’ ছবিটিতে কাজ করলাম, আমি বলব এমন একটি আলাদা ধরনের গল্পের ছবিতে কাজ করার আগ্রহ সবার থাকে, আমারও তাই, খুব ভালো লাগছে।

 

তাহলে বলছেন ছবিটি দর্শক গ্রহণ করবে?

দেখুন, আমাকে এখন যে বিষয়টি খুব অ্যাট্রেক্ট করে সেটি হলো দর্শকদের সিনেমা হলমুখী করা। আমার মনে হয় আজকের দিনে এটা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এখন কেউ বিশ্বাস করতে চায় না যে গল্পে নতুনত্ব লুকিয়ে আছে। সো আমার মনে হয়েছে ‘ডার্ক ওয়ার্ল্ড’ ছবির গল্পটা খুবই ভালো, আমরা যেটা বলি সেরকমই গল্প, মানে একটা জোশ গল্প। তাই দর্শক যে ছবিটি গ্রহণ করবে তাতে আমার কোনো সন্দেহ নেই।

 

এ ছবিতে আপনার রূপায়িত চরিত্রটি কেমন?

হুম, আসলেই এ ছবিতে আমার প্লে করা ক্যারেক্টরটি খুবই ইন্টারেস্টিং এবং চ্যালেঞ্জিং। আমার ক্যারেক্টরের দুটো শেড আছে, অভিনয়ের যথেষ্ট স্কোপ ছিল, ভিন্নমাত্রায় ছবিতে নিজেকে প্রেজেন্ট করার সুযোগ পেয়েছি। এ ছবিতে আমার দুটো আলাদা লুক আছে। মানে দুই নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। দুটো ক্যারেক্টার একদম আলাদা। এর একটিতে আমি খুব স্ট্রং যে কিনা বস টাইপের লেডি, আরেকটি একদম চুপচাপ, শান্ত, যাকে কেউ ডমিনেট করে চলে গেলেও সে কিছু বলে না। ব্যস এটুকুই থাক, বাকি গল্পটা টুইস্ট হয়েই থাকুক।

 

কী ধরনের গল্প ও চরিত্রে আপনার স্বাচ্ছন্দ্য?

এ ব্যাপারে আমি ভীষণ চুজি, গল্পে আমি প্রপ কিনা সেটি আমার কাছে খুব ইমপর্ট্যান্ট, আমি কলকাতার সব সুপারস্টারের সঙ্গে কাজ করেছি; কিন্তু কাজের আগে আমি মেক শিওর করেছি যে আমি এতে প্রপ কি না, জাস্ট গানের জন্য রয়েছি কি না। এটি আমার জন্য বড় পর্দায় ক্যালিবার প্রমাণ করবে না, এর রকম ছবিতে কাজ করতে আমি প্রেফার করি না।

 

নির্মাতা মানিক ও নায়ক মুন্না খান সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কেমন?

হ্যাঁ, এ কথাটা স্বীকার করতেই হয় যে, ডিরেক্টর মানিক দাদার কাজ আমার খুব ভালো লেগেছে, কারণ উনি কোনো কাজ চাপিয়ে দেন না। বরং যখনই বলেছি দাদা, এটা মনে হয় এমন হলে ভালো হয়, ওটা অমন হলে পারফেক্ট হয়, সঙ্গে সঙ্গেই তিনি তা গ্রহণ করেছেন এবং কখনো না করেননি। তার নির্দেশনায় দক্ষতার যথেষ্ট ছাপ রয়েছে। আর নায়ক হিসেবে মুন্না খানের কাজ দেখে আমার মনে হয়েছে ও শিখতে চায়, এটিই খুব ইমপোর্টেন্ট। ওর যে জিনিসটা খুব ভালো লেগেছে সেটা হলো- ও বলত আমার কোথাও ভুল হলে তা ধরিয়ে দেবেন, ঠিকটা কীভাবে করতে হবে তাও বলে দেবেন। আমি মনে করি যার মধ্যে এ বোধটা কাজ করে সে লম্বা রেসের ঘোড়া হতেই পারে।

 

এখন ভিন্ন প্রসঙ্গ, বাংলাদেশ কেমন লেগেছে?

উফ, সেই ভালোলাগার কথা আর কী বলব, বাংলাদেশের মানুষের আন্তরিকতাটা একেবারেই অন্য লেভেলের। এখানে কাজ করতে এলে মনে হয় সবাই একটা পরিবার হয়ে যাই। কারও মধ্যে কোনো প্রফেশনাল অ্যাটিচিউড থাকে না, সে যত বড়ই সিনিয়র আর্টিস্ট হোক না কেন। আরেকটি কথা না বললেই নয়, বাংলাদেশের মানুষ খুবই অতিথিপরায়ণ, তারা খাওয়াতে খুব ভালোবাসে, এই যেমন বাংলাদেশে এলে খাবারই খাবার, সকালে ওঠলে খাবার, দুপুরে রেস্ট নিচ্ছি মুখের সামনে খাবার, রাতে শুতে গেলেও বলছে খাবার, আবার রাত দুটোর সময়ও বলছে গুড মর্নিং খাবার, এ আন্তরিকতায় সত্যিই আমি মুগ্ধ। এবার আমার প্রিয় খাবার খেয়ে এসেছি, সেটি হলো কাচ্চি বিরিয়ানি। খুব ভালো লেগেছে, এমন অতিথিপরায়ণ দেশে আমি বারবার আসতে চাই... (হা... হা... হা...)। সবার প্রতি ঈদের শুভেচ্ছা এবং সিনেমা হলে এসে ‘ডার্ক ওয়ার্ল্ড’ দেখার আমন্ত্রণ রইল।

সর্বশেষ খবর