অভিনেত্রী তানজিন তিশা। নাটকের গন্ডি পেরিয়ে পা রেখেছেন ওয়েব জগতে। নতুন এ প্ল্যাটফরমে ভালো কাজ দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত সঞ্জয় সমাদ্দারের ওয়েব ফিল্ম ‘পয়জন’। ঈদে বেশকিছু নাটকও প্রচারের অপেক্ষায়। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথোপকথন-
‘পয়জন’ ওয়েব ফিল্মে কেমন চরিত্রে অভিনয় করেছেন?
আমি নায়িকা রূপা মীর্জার চরিত্রটা রূপায়ণ করেছি। যেখানে একটা নায়িকার জীবনের গল্প উপস্থাপন করেছি।
রূপা মীর্জা চরিত্র করার আগে পূর্ব প্রস্তুতি কেমন ছিল?
এ চরিত্রে অভিনয় করার আগে আমি একজন নায়িকার জীবনযাপনও রপ্ত করেছি। আমাকে জানতে হয়েছে, একজন নায়িকাকে কাজ করতে গিয়ে কী ডিল করতে হয়! আমি অনেক সিনেমা দেখেছি। যেহেতু আমি সিনেমার নায়িকা না, তাই রূপা মীর্জা হতে গিয়ে একজন সিনেমার নায়িকাকে স্টাডি করতে হয়েছে। ১২ দিন যখন শুটিং করেছি তখন মনে হয়েছে আমি রূপা মীর্জা ছিলাম। আশা করছি দর্শক আমার কাজ দেখে হতাশ হবে না।
পয়জন-এর গল্পে কোনো মেসেজ রয়েছে কি?
আমরা যদি কাউকে অতিরিক্ত ভালোবাসি সেটাও পয়জন হতে পারে আবার কাউকে অতিরিক্ত ঘৃণা করি সেটাও পয়জন হতে পারে। সে বিষয়টি উঠে এসেছে এ ফিল্মে।
এ ওয়েবে যে নায়িকার চরিত্রটি দেখানো হয়েছে তা বাস্তব চরিত্রের সঙ্গে মিল কতটুকু?
এখানে বাস্তবের সঙ্গে মিল-অমিলের বিষয়টি বলতে পারব না, তবে পয়জনে একজন নায়িকার একটি জার্নি দেখানো হয়েছে। তাই বলব, গল্পটি সুন্দর। যেটি সুনিপুণভাবে পরিচালক ক্যামেরায় তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।
পূর্ণাঙ্গ সিনেমার নায়িকা হিসেবে কবে পাবে দর্শক?
সেটা অবশ্য খুব শিগগিরই দেখতে পাবেন। অনেক দিন ধরেই সিনেমার ভালো গল্পের জন্য অপেক্ষায় রয়েছি। প্রস্তাব পেয়েছি অনেক। তবে আমি চাই নাটক ও ওয়েবে আমি যে ধরনের চরিত্র বা গল্পে কাজ করি সে ধরনের গল্প সিনেমায় হোক তা চাই না। একটু আলাদা কিছু চেয়েছি। সে জন্য এত অপেক্ষা। আশা করছি শিগগিরই সিনেমায় কাজ করব।
নরসুন্দরী চরিত্রে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
শুটিংয়ের আগে মগবাজার, কারওয়ান বাজারে গিয়ে সেলুনে ও রাস্তার ধারের নাপিতের কাছে ২-৩ ঘণ্টা করে বসে থেকে কাজটি দেখেছি। কাঁচি ধরা থেকে শুরু করে দাড়ি কামানোর কৌশল রপ্ত করার চেষ্টা করেছি।
নারী নাপিত চরিত্রে কাজ সমাজে কতখানি প্রতিক্রিয়া ফেলবে?
নারীরা আমাদের সমাজে এখনো পুরোপুরি নিরাপদ নয়। কাজ তো কাজই। নারী-পুরুষ সমানভাবেই করতে পারে সেটা। কিন্তু কোনো কোনো কাজ এ সমাজে এখনো নারীদের জন্য বাধা, মেনে নিতে পারে না। এই যে নাপিতের কাজ নারীরা করতে গেলে সমস্যা। কাজটি করতে গিয়ে পদে পদে বাধা।
গল্প ও চরিত্রটি নিয়ে ভালোলাগা কেমন?
নাটকটির গল্প আমার কাছে নতুন, এখানে নিজের চরিত্রটিও নতুন। ভালো একটি কাজ। এ কাজটি আমার ক্যারিয়ারে নতুন কিছু যোগ করতে পারে। তা ছাড়া নারীদের অধিকার, নারীদের সংগ্রামের গল্প নিয়ে কাজ করতে আমারও খুব ভালো লাগে।