মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

জুলি চরিত্রটি আমার পছন্দের

জুলি চরিত্রটি আমার পছন্দের

দীর্ঘ আট বছর পর বড় পর্দায় ফিরলেন মাসুমা রহমান নাবিলা। আয়নাবাজির পর ফিরলেন শাকিব খানের বিপরীতে ‘তুফান’ দিয়ে। সিনেমাটিতে তিনি জুলি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এ সিনেমায় যুক্ত হওয়া ও নানা বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথোপকথনে - পান্থ আফজাল

 

তুফানের সঙ্গী হলেন কীভাবে?

প্রথম যখন তুফান ছবির সংবাদ সম্মেলন করা হয় তখন একটা গেট-টুগেদার হয়। সেখানে পরিচালক রায়হান রাফির সঙ্গে আমার দেখা হয়। তখন রাফি আমাকে তাঁর অফিসে যেতে বলেন, জানান আমাকে নিয়ে তিনি ওই ছবির জন্য ভাবছেন। পরে রাফি আমাকে চিত্রনাট্য ধরিয়ে দিয়ে পড়তে বলেন। জুলি চরিত্রটি আমার পছন্দ হয়। আমিও রাজি হয়ে যাই।

 

সিনেমাটির মুক্তির পর থেকেই প্রেক্ষাগৃহে যাচ্ছেন। দর্শক রেসপন্স কেমন?

তুফান নিয়ে দর্শকদের রেসপন্স দেখে আমি অবাক। মাল্টিপ্লেক্সের বাইরে সিঙ্গেল স্ক্রিনে দেখলাম দর্শকরা মিছিল নিয়ে তুফান দেখতে আসছে। সিনেমাটিতে শাকিব খান নায়ক। তাই সিনেমাটি যখন শুরু করি, তখনই ভেবেছিলাম দর্শকদের রেসপন্স দারুণ হবে। তবে সেটা এ পরিমাণে হবে তা ভাবনায় ছিল না। আমরা হলে হলে ঘুরছি আর বিচিত্র রকম অভিজ্ঞতা হচ্ছে। এক মহিলা তো আমাকে পেয়ে জড়িয়ে ধরতে চাইলেন। দর্শকদের এমন আরও অনেক ভালোবাসা সরাসরি পেয়েছি, অনুভব করেছি।

 

দর্শকদের এত রেসপন্স, কার জন্য হচ্ছে বলে মনে হয়?

সেটা তো চোখ বন্ধ করেই বলা যায়- শাকিব খান। তাঁর বিশাল শ্রেণির একটা ফ্যানবেজ রয়েছে। তার ছবি মুক্তি পেলেই তারা সিনেমা হলে হুমড়ি খেয়ে পড়বে এটাই স্বাভাবিক। আগেও এ চিত্র দেখা গেছে। শাকিব খানের জন্যই দর্শকদের এতটা উপচে পড়া ভিড়। সঙ্গে সিনেমাটিও ভালো হয়েছে। এ সিনেমার প্রত্যেক শিল্পীই দারুণ পারফর্ম করেছেন।

 

আয়নাবাজির পর চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে কাজের নতুন কোনো অভিজ্ঞতা হয়েছে?

একই সিনেমায় দুজনে কাজ করার বিষয়টি আমার জন্য বেশ আনন্দের। তবে মজার বিষয় হচ্ছে, তুফান সিনেমায় চঞ্চল ভাই থাকলেও শুটিংয়ে তার সঙ্গে আমার কোনো সিকোয়েন্স ছিল না।

 

আর শাকিব খানের সঙ্গে?

তাঁর সঙ্গে আমার প্রথম সেটেই দেখা হয়েছিল। প্রথম দেখাতেই তাঁর ‘তুফান’-এর লুকটা ছিল। বাস্তবেও শাকিব খান বেশ সুন্দর। উনি আমাদের মতোই একজন সহজ মানুষ। তবে অনেকটা অন্তর্মুখী মানুষ তিনি। শুটিংয়ের প্রথম দিন খুব একটা কথা হয়নি। শুধু হাই-হ্যালোই হয়। পরে ধীরে ধীরে আমাদের মধ্যে কথা হতে থাকে। সিনেমার শেষ দৃশ্যটাই সবার আগে শুটিং হয়েছিল। তিনি আমাকে শুটিংয়ে বেশ সাহায্য করেছেন। শট ভালো হলে প্রশংসা করতেও কার্পণ্য করেননি। আর শাকিব খানের পাশে নাবিলা-এই জুটির কথা কিন্তু অনেকেই ভাবতে পারেন না। কারণ, শাকিব খান বেশির ভাগ সময়ই বাণিজ্যিক সিনেমার গ্ল্যামারাস নায়িকাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। সবাই তাঁর সঙ্গে এমন নায়িকা দেখে অভ্যস্ত। এ জুটির কথা যে সে চিন্তা করছে এবং বাস্তবায়ন করার সাহস করছে- এ জন্য রাফির বড় কৃতিত্ব প্রাপ্য। তবে কাজটি করার আগে কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। দর্শকেরা আমাকে কীভাবে নেবেন, সেটাও একটা ব্যাপার ছিল।

 

সিনেমা নিয়ে উন্মাদনার পেছনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভূমিকা কেমন মনে হয়?

তুফান নিয়ে এত উন্মাদনার পেছনে দর্শক আগ্রহের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেরও অবদান আছে বলে। কারণ, আট বছর আগে যখন আয়নাবাজি মুক্তি পায় তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এতটা প্রভাব ছিল না। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিনেমা নিয়ে তুমুল চর্চা হয়। তুফানের বেলায় সেটা মারাত্মকভাবে উপলব্ধি করলাম।

সর্বশেষ খবর