শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

চলচ্চিত্রই আমার ধ্যান-জ্ঞান

চলচ্চিত্রই আমার ধ্যান-জ্ঞান

ঢাকাই ছবির গ্ল্যামার গার্লখ্যাত নায়িকা ইয়ামিন হক ববি। অভিনেত্রী হিসেবে সুনাম অর্জনের পর তাকে প্রযোজক হিসেবেও দেখা গেছে। এবার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ববি অভিনীত ‘ময়ূরাক্ষী’। ঈদের ছবি, বর্তমান ব্যস্ততা ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ববির সঙ্গে কথা বলেছেন- শামছুল হক রাসেল

 

ময়ূরাক্ষী নিয়ে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি...

দর্শকের যতটুকু সাড়া পাচ্ছি, তাতে মনে হচ্ছে- এ ছবিতে নিজেকে ভিন্নভাবে তুলে ধরার প্রচেষ্টা বিফলে যায়নি। যারাই ছবিটি দেখেছেন, পজিটিভ রিভিউ দিয়েছেন। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ফারাকটা খুব একটা বেশি নয় বললেই চলে। এ ছাড়া শিগগিরই নতুন ছবির কাজের পরিকল্পনা হচ্ছে, যেটার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে। এখন হাতে কিছু স্ক্রিপ্ট আছে। যার মধ্যে নতুনত্ব আছে এমন গল্পে নিজেকে মেলে ধরব। এ ছাড়া মুখোশ সিনেমার কাজ নিয়ে শিগগিরই ব্যস্ত হয়ে পড়ব।

 

সিনেমার দৃশ্যে ধূমপান করতে দেখা গেছে, বাস্তবেও ধূমপান করা হয় নাকি?

মোটেও না। আই ডোন্ট লাইক স্মোক। সিনেমার দৃশ্যে যা দেখানো হয়েছে, তা শুধু চরিত্রের প্রয়োজনেই করা। সত্যি কথা বলতে ধূমপানের দৃশ্য করতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। কিন্তু চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে কোনো ছাড় দেয়নি। আমি অভিনয়ের জন্য যে কোনো কিছু করতে রাজি।

 

ঈদে সিনেমা মুক্তি নিয়ে কখনো চাপ অনুভব করেন কি?

ঈদে এবারই যে প্রথম তা নয়। এর আগেও ঈদে আমার ছবি মুক্তি পেয়েছে। আগে আরও বেশি প্রতিযোগিতা ছিল। তবে আমার ব্যক্তিগত অভিমত, সব সময়ই সিনেমার ভিন্ন ভিন্ন টেস্টের অডিয়েন্স থাকে। তারা অ্যাকশন দেখবে, রোমান্স দেখবে আবার ভিন্ন ধারার ছবিও দেখবে। সব ঘরানার ছবিই হওয়া দরকার। প্রত্যেক ছবিরই নিজস্ব দর্শক থাকে। যে ছবির মেরিট ভালো, সেটা দর্শক টানবেই। তাই ছবি মুক্তিতে চাপের কিছু নেই। আমি বিশ্বাস করি- নো রিস্ক নো গেইন।

 

মাঝখানে ফিল্মের কাজে আপনার একটা গ্যাপ গেছে, এর পেছনে কি কোনো পলিটিক্স ছিল?

নট অ্যাট অল। আমি মূলত ২০১০ সালে ফিল্মে আসি। টানা দুই বছর পরিবার থেকে সিনেমা করতে দেওয়া হয়নি। এরপর চড়াই-উতরায় পেরিয়ে ‘দেহরক্ষী’র পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। টানা ২০১৯ সাল পর্যন্ত কাজ করেছি। এরপর করোনায় ২০২০-২১ সালে কাজ করিনি এবং বাবার মৃত্যুতে পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিলাম। তখন পরিবারও চাইছিল দেশে না থাকি, যেহেতু আমি ও আব্বু বাদে সবাই বাইরে থাকেন। এরপরও কাজে ফিরেছি। নতুন রূপে নিজেকে প্রেজেন্ট করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, আমার যতটুকু সামর্থ্য, তার সম্ভবত ২০-৩০% দর্শক দেখেছে।

 

ওটিটি নিয়ে পরিকল্পনা

এরই মধ্যে ওটিটিতে দু-একটা কাজ হয়েছে। তবে ফিল্মটা আমার সব সময়ই ফার্স্ট প্রায়োরিটি, যা আগেও ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। এক কথায় চলচ্চিত্রই আমার ধ্যান-জ্ঞান। তবে এর বাইরে যদি ব্যাটে-বলে মেলে, নিজেকে নতুনভাবে প্রেজেন্ট করার সুযোগ থাকে- তাহলে মাঝে-মধ্যে বাছাই করা কয়েকটা ওটিটির কাজে দেখা গেলেও যেতে পারে।

 

ফিল্ম নিয়ে ভবিষ্যৎ ভাবনা...

এখনো অনেক কিছু শেখার বাকি। অনেক অনেক চরিত্রে কাজ করা বাকি। আমি রক্ষণশীল পরিবার থেকে অনেক স্ট্রাগল করে এ পর্যায়ে এসেছি। যে জায়গা থেকে আমি ববি হয়ে উঠেছি, তা যদি সম্ভব হয় তবে যে কোনা কিছুই সম্ভব। এটা আমার পয়েন্ট অব ভিউ। আমি এমনই কনজারভেটিভ ফ্যামিলি বিলং করি- সেখান থেকে চিত্রনায়িকা ববি হওয়া এটা অদ্ভুত একটা ব্যাপার। যা কোনো শব্দেই এক্সপ্লেইন হয় না। তাই চলচ্চিত্রই আমার ধ্যান-জ্ঞান থাকবে।

 

সর্বশেষ খবর