মনীষা কৈরালা
‘আমার জীবনে উপহার হিসেবে এসেছে ক্যান্সার। আমার দৃষ্টিভঙ্গি ধারাল হয়েছে, মন পরিষ্কার হয়েছে, চিন্তা-ভাবনা বদলে গেছে। আমি আবেগ, রাগ, উদ্বেগকে শান্তভাবে ব্যক্ত করতে পারছি।’ ক্যান্সারজয়ী অভিনেত্রী মণীষা কৈরালা বলেছেন এমন কথা।
সোনালি বেন্দ্রে‘কীভাবে অভিজ্ঞতা আমাদের বদলে দেয় সেটা এক কথায় বলা যাবে না। সব পরিবর্তন দেখা যায় না। আমি শিখেছি, কখনো ক্যান্সার যাতে আমাকে আটকে রাখতে না পারে সেটা দেখতে হবে। আমি সেজেগুজে থাকব।’ ক্যান্সার জয়ের গল্প বলতে গিয়ে এমনটাই বলেছেন ক্যান্সারজয়ী অভিনেত্রী সোনালি বেন্দ্রে।
মাহিমা চৌধুরী
অভিনেত্রী মাহিমা চৌধুরী ক্যান্সারের সঙ্গে তার লড়াইয়ের বৃত্তান্ত প্রকাশ করেন। তিনিও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু নিজের লড়াই থামাননি তিনি। একদিকে নিয়মিত চিকিৎসা আর অন্যদিকে মনের জোর কাজে লাগিয়ে মারণ রোগকে জয় করেন তিনি। এরপর বলেন, সৃষ্টিকর্তা আমাকে নতুন জীবন দিয়েছেন।
সঞ্জয় দত্ত
ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়েছিল অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের। দীর্ঘ চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন ৬১ বছর বয়সী এ অভিনেতা। এবং বলেন ঈশ্বর আমাকে সবার মাঝে ফিরিয়ে দিয়েছেন, যেন নতুন জীবন পেলাম।
অনুরাগ বসু
‘ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রথম পদক্ষেপ হলো- হাসিখুশি থাকতে হবে।
আমি অনুভব করেছি, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হতে গেলে ৫০ শতাংশ নির্ভর করতে হবে চিকিৎসা এবং বাকি ৫০ শতাংশ ইচ্ছাশক্তির ওপর।’ এমনই বার্তা দিলেন চলচ্চিত্রনির্মাতা অনুরাগ বসু।
মাইকেল ডগলাস
‘ক্যান্সার আমাকে দেখিয়ে দিয়েছে পরিবার কী। এর মাধ্যমে আমি ভালোবাসার কথা জানতে পেরেছি, যে বিষয়ে এর আগে আমার কোনো ধারণাই ছিল না।’ এমনটাই বলেছেন মার্কিন অভিনেতা মাইকেল ডগলাস
কিরণ খের
অভিনেত্রী কিরণ খের আক্রান্ত হয়েছিলেন ব্লাড ক্যান্সারে। জটিল রোগে আক্রান্ত হলেও কাজ থামাননি কিরণ। ক্যান্সার জয় করে তিনি জানান, নিয়ম মেনে চলা আর ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনাই তাকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছে।
তাহিরা কাশ্যপ
অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানার স্ত্রী তথা পরিচালক তাহিরা কাশ্যপের ২০১৮ সালে স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ে। নিজের লড়াইয়ের নানা অভিজ্ঞতা সমাজমাধ্যমে তুলে ধরেছেন তিনি। অভিনেত্রীর এ পদক্ষেপ বহু ক্যান্সার আক্রান্তকে সাহস জুগিয়েছিল।
লিসা রায়
অস্থিমজ্জার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিনেত্রী লিসা রায়। এ বিরল ক্যান্সার থেকে সেরে ওঠা সহজ ছিল না। তাই মারণরোগ অতিক্রম করার পরে বহু মানুষের কাছে প্রেরণা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি বইও লিখেছেন।
মুমতাজ
বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মুমতাজ ২৫ বছর আগে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। আক্রান্ত হওয়ার পরে বাঁ হাত থেকে লিম্ফ নোডগুলো বাদ দেওয়া হয়েছিল। তারপরও ক্যান্সার জয় করে এখন সাহসের প্রতীক বলছেন নিজেকে।
বারবারা মোরি
‘কাইট’ ছবিতে হৃত্বিক রোশনের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন অভিনেত্রী বারবারা মোরি। মাত্র ২৯ বছর বয়সে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন বারবারা। তবে সেরে উঠতে তার বেশি সময় লাগেনি। ক্যান্সার সচেতনতার বিষয়ে লক্ষণীয়ভাবে উদ্যোগী হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।