‘তুফান’ সিনেমাটি দেখার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

এটার টিজার, গান দেখার পরই সিনেমাটির প্রতি আগ্রহ জন্মায়। এরপর নিজে টিকিট কেটে সিনেমাটি দেখেছি। খুবই অসাধারণ লেগেছে, পুরো এন্টারটেইনিং সিনেমা। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাল্লা দেওয়ার মতো একটি সিনেমা। রায়হান রাফি নিজেকে নিজেই ছাড়িয়ে গেছেন আর শাকিব খানের কথা নতুন করে কী বলব! দুটো চরিত্রেই এত চমৎকার পারফরম্যান্স করেছেন, সত্যি দুর্দান্ত।

শাকিব খানের সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছেন, কথাটি কতটুকু সত্যি?

এ বিষয়ে এখনো কোনোকিছুই বলতে চাই না। এটুকু বলতে পারি, কথা হচ্ছে। এর বাইরেও একাধিক সিনেমা নিয়েই কথা হচ্ছে আমার, যেগুলো এখনো বলার মতো অবস্থায় নেই। অনেক সময় দেখা যায়, সবকিছু চূড়ান্ত হওয়ার পরও অনেক কিছু পাল্টে যায়, তাই শুটিং শুরু না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না। এর আগে একবার একটি সিনেমা শুটিং পর্যন্ত গিয়েও আগ মুহূর্তে ক্যান্সেল হয়ে যায়। তাই শুটিংয়ে যাওয়ার আগে এখন আর কিছুই বলতে চাই না। আমি এর আগেও অনেকবার বলেছি, শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করতে বরাবরই ইচ্ছুক আমি। আমি সত্যিই চাই তার সঙ্গে কাজ করতে। আগেও চেয়েছি, এখনো চাই।

শিহাব শাহীনের ‘গোলাম মামুন’-এ অভিনয় করা চ্যালেঞ্জিং ছিল?

অভিনয়ের আগে আমরা খুব লম্বা সময় ট্রেনিং করেছি। এটি আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। কারণ এর আগে কখনো এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করিনি। পুরো সিরিজটিই খুব সিরিয়াস। আমরা শুটিংও করেছি সিরিয়াসভাবে। আমরা সবাই শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

‘রাহী’ চরিত্রটি সুন্দরভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে কী কী করেছেন?

চরিত্রটি নিয়ে খুবই এক্সসাইটেড ছিলাম। রাহী চরিত্রটার জন্য আমাকে বেশ পরিশ্রম করতে হয়েছে। এখানে এমন কিছু অ্যাকশন দৃশ্য আছে যেগুলো আগে কখনো করিনি। দর্শক সিরিজটি দেখলে সেটা আন্দাজ করতে পারবে বলে আশা করছি।

এ সিরিজে আপনার সহঅভিনেতা অপূর্বকে নিয়ে কী বলবেন?

তাকে নিয়ে নতুন করে আর কী বলব! অপূর্ব ভাইয়ের কথা যদি বলি তার সঙ্গে আমার অসংখ্য কাজ হয়েছে। ওটিটিতে আমাদের প্রথম কাজ ‘গোলাম মামুন’। অপূর্ব ভাইয়া অনেক পুশ করে এবং চেষ্টা করে যেন তার প্রতিটি আর্টিস্ট বেস্টটা দেয়। তবে পুরো সিরিজটি দেখলে বুঝতে পারবেন আমরা কতটুকু কষ্ট করে কাজটি করেছি। স্টোরি ও চরিত্রটা নিজের মধ্যে ধারণ করা খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। আশা করছি পুরো গল্পটা দর্শকদের ভালো লাগবে এবং আমাদের চ্যালেঞ্জটা সার্থক হবে।

শিহাব শাহীনের সঙ্গে আগেও ছোট পর্দায় কাজ করেছেন। এবারের সিরিজে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

শিহাব শাহীনের সঙ্গে কাজ করাটা যে কোনো জনেরই হোক না কেন খুবই চ্যালেঞ্জিং। প্রত্যেকটা অ্যাকশন সিকোয়েন্স ছিল যেগুলোর জন্য প্রিপারেশন নেওয়া পার্টিকুলারভাবে আমার জন্য খুবই ডিফিকাল্ট ছিল। কারণ, এটা আমার প্রথম অ্যাকশন সিকোয়েন্স করা। এবং এত বড় একটা সিরিজে এ কাজটা করা, সেই সঙ্গে অপূর্ব ভাইয়ের সঙ্গে করা- যে জার্নিটা আমার জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। কিন্তু আমি হান্ড্রেড পার্সেন্ট চেষ্টা করেছি। ট্রেনিংয়ের প্রথম প্রথম নার্ভাস ছিলাম, তবে এরপর ফাইনাল যে আউটপুটটা এসেছে আমি তা নিয়ে খুবই খুশি। আশা করি, সবার ভালো লাগবে।

অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করেছিলেন?

প্রথমে যেহেতু আমরা অ্যাকশন সিকোয়েন্সের ট্রেনিংগুলো দিয়ে শুটিং শুরু করেছিলাম, তাই সেটা আমাদের অনেকখানি হেল্প করেছিল ক্যারেক্টারের মধ্যে ইনভলব হতে। আর আমি আমার হাজব্যান্ডের সঙ্গে ফাইট সিকোয়েন্সগুলোর প্র্যাকটিস করতাম। কারণ, আমি চাচ্ছিলাম আমার হান্ড্রেড পার্সেন্ট ইফোর্ট দিতে। আমি সাধারণত খুবই হাসিখুশি থাকি। তো রাহী চরিত্রটির জন্য আমি খুবই সিরিয়াস ছিলাম। অবশ্যই ডিরেক্টর ও পুরো কাস্ট সাপোর্ট করেছে।