বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

ভালোভাবে কামব্যাক করতে চাচ্ছি

ভালোভাবে কামব্যাক করতে চাচ্ছি

লাক্স সুন্দরী মিম মানতাসা। মডেলিংয়ের পাশাপাশি অভিনয়েও সমান দক্ষ তিনি। ক্যারিয়ারের শুরুর পর থেকে একখণ্ডের নাটক, ধারাবাহিক ও ওয়েব সিরিজে কাজ করেছেন। মাঝে অভিনয়ে অনিয়মিত হলেও তাহসান খানের সঙ্গে ‘বাজি’ ধরে দর্শকের সামনে হাজির হয়েছেন। এ ওয়েব ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

বাজিতে তাহসান খানের স্ত্রী হিসেবে দেখা গেল। স্ত্রী হিসেবে এ চরিত্রটা কেমন উপভোগ করেছেন?

আমার কাছে মনে হয় এ চরিত্রটা একটু বেশি ম্যাচিউর! আমার বয়সের সঙ্গে এ ক্যারেক্টারটা একদম যায়নি মনে হয়। কিন্তু ডিরেক্টর ভরসা করেছিলেন যে, আমি ক্যারেক্টারটা সঠিকভাবে করতে পারব। এ চরিত্রটা করতে গিয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে যে, লাইফের এত স্টাগল এই মেয়েটা এত ঠান্ডা ব্রেনে হ্যান্ডেল করেছে যে তার থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।

 

চরিত্রটি করতে গিয়ে প্রস্তুতিটা কেমন ছিল?

ডিরেক্টর আমাকে ব্রিফ করেছেন। একবার আমরা রিহার্সেলও করেছি। তারপর আমি এ চরিত্রটি নিয়ে ভাবা স্টার্ট করি। আশেপাশের যারা অনেক সফল লাইফে, কীভাবে সবকিছু হ্যান্ডেল করে। আমি আসলে ওই ক্যারেক্টারের জন্যই সব ভেবেছি, তাদের দেখেছি। দেখেছি যে তারা প্রবলেমগুলো কীভাবে সলভ করে। সেগুলো কীভাবে মিডিয়াতে বা সবকিছুর আড়ালে নিয়ন্ত্রণ করে।

 

উইদাউট মেকাপে উপস্থাপন করা হয়েছে?

হ্যাঁ, কথাটি ঠিক। কিন্তু আমার ওজন বাড়াতে হয়নি। কোনো গ্লামার রাখা হয়নি। উইদাউট মেকাপ, উইদাউট আই মেকাপ, উইদাউট লিপস্টিক অর্থাৎ কোনো ভ্যাসলিনও নিতে দেয়নি। এভাবে আমি শুট করেছি। আর ডিরেক্টর আরিফ ভাই আমাকে দেখতে দেয়নি যে আমি কী করেছি, স্ক্রিনে আমাকে কেমন লাগছে। তবে তিনি আমাকে ভীষণভাবে অ্যাপ্রিসিয়েট করেছেন যতটুকু আমি শুট করেছি।

 

ক্রিকেট খেলা পছন্দ?

ক্রিকেট পছন্দ করে না বাংলাদেশে খুব কম মানুষই আছেন। আমরা তো ক্রিকেট দেখি মাঠে। আমি ট্রাই করি মাঝে মাঝে খেলার। পারি টুকটাক। এখন নিজেকে নিয়ে এত বেশি প্রশংসা করা যাবে না। হ্যাঁ, আমি ক্রিকেট পছন্দ করি। তাই ক্রিকেট নিয়ে এই বাজি ওয়েব সিরিজটি সবাইকে ভাবাবে।

 

আগের তুলনায় কাজ কমিয়ে দিয়েছেন, কেন?

আমি জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট। আমি যখন লাক্স উইনার হই তখন আমি অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে। যেহেতু আমি চারুকলা ডিপার্টমেন্টের। তাই আমাকে অনেক প্রাকটিক্যাল কাজ করতে হয়। সো, দুইটা ম্যানেজ করা আমার জন্য খুবই ডিফিকাল্ট। উপরন্তু আমার পরীক্ষার জন্য পড়ার পর বাইরে যতটুকু সময় পেয়েছি অতটুকুই কাজ করেছি। এজন্য অনেকে আমাকে মডেলিংয়ে বেশি দেখেছে। একদিনের নাটকে বেশি দেখেছে। আমি আসলে কোনো কমিটমেন্টেই যেতে পারিনি। যেহেতু আমার বিশাল কমিটমেন্ট ছিল পড়াশোনায়। এখন পড়াশোনা শেষ। তাই আমি চাচ্ছি ভালোভাবে কামব্যাক করতে। তবে কামব্যাক করার ক্ষেত্রে আমাদের মিডিয়ায় যে সমস্যায় পড়তে হয় আর্টিস্টকে সেটা হলো কামব্যাকের পর ভালো স্ক্রি প্ট, ভালো ডিরেক্টর। এ সবকিছু মিলিয়ে পথটা কঠিন হয়।

 

কামব্যাক করতে বয়সও হয়ে যায়...

 না, আমি এখনো ইয়াং! মাত্র তো মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। এখন তো আমার কাজের সময়। সো, এখন আমি ভালো ভালো আরও কাজ করতে পারব।

 

সিনেমায় কবে দেখা যাবে?

আমি তো চাচ্ছি কাজ করতে। সেটা যে প্ল্যাটফরমই হোক না। সেটা হোক টিভি, ওটিটি কিংবা বড়স্ক্রিনে। এখন আসলে সামনে যেটা আসছে সেটাই তো করে ফেলা যায় না। একটু ভেবেচিন্তে কাজ করতে হয়। আশা করছি, ভালো কোনো স্ক্রিপ্ট পেলে ডেফিনেটলি বড় পর্দায় কাজ করব।

 

সাংসারিক জীবন কেমন চলছে?

আমার সাংসারিক লাইফটা ওরকমভাবে স্টার্ট হয়নি এখনো। যেহেতু আমার হাজব্যান্ড দেশের বাইরে থাকে আর আমি এদেশে থাকি। সো, ওভাবে তো সাংসারিক কোনো লাইফ না। ম্যারিড, তবে ওইভাবে আসলে রেসপনসিবিলিটি নেওয়া হয়নি এখনো।

সর্বশেষ খবর