শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

ডেয়ারিং সিন দিলেও সমস্যা নেই

ডেয়ারিং সিন দিলেও সমস্যা নেই

জনপ্রিয় র‌্যাম্প কুইন শাবনাজ সাদিয়া ইমি। ফ্যাশন মডেল হিসেবে সুনামের সঙ্গে এখনো কাজ করছেন। ছোট পর্দায় এর আগে বেশকিছু কাজ করলেও এবার ওপার বাংলার পরমব্রতের সঙ্গে জুটি বেঁধে হাজির হচ্ছেন শবনম ফেরদৌসীর ‘আজব কারখানা’য়, যেটির প্রযোজনায় রয়েছেন সামিয়া জামান। ইমির এটি প্রথম চলচ্চিত্র। এ চলচ্চিত্র ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

আজব কারখানা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ১২ জুলাই। প্রথম চলচ্চিত্র মুক্তিতে কেমন লাগছে?

আমি যখন আগে সিনেমায় না বলতাম তখন সবাই বলত, ‘তুমি এত আজব কেন! সিনেমা ফিরিয়ে দাও।’ তো আজব কারখানা করার পরে বুঝতে পারলাম যে আমি আজব কারখানার জন্যই এতদিন ওয়েট করেছি। ফিল্ম লাইক দিজ শুড বি মাই ডেবিউ ফিল্ম। আমার শুরুটা এমন ভালো ভালো মানুষের সঙ্গে হয়েছে। যেমন আমার মডেলিংয়ের শুরু বিবি রাসেলের হাত ধরে। সো সেই জায়গাটাকে যদি আমি সম্মান করি, সেই মানুষগুলোকেও যদি আমি সম্মান করি তাহলে আমি পজিশন বা আপনারাও আমাকে যে স্থান দিয়েছেন, বাংলাদেশের অডিয়েন্স যে জায়গা দিয়েছে সেটার মেনটেইনেসটা রেখে যেকোনো কাজের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়া আমার কাছে মনে হয় যুক্তিসংগত ছিল না। তাই আমি ওয়েট করছিলাম যেটা আমি চরিত্রায়ণ করতে পারব ওরকম একটা ক্যারেক্টারের। আর এমন একজন বড় ডিরেক্টর যিনি আমার ওপর ভরসা করতে পারবেন যে, ‘হ্যাঁ তুমি এ ক্যারেক্টারটা করতে পারবে’। এমনকি আমাকে যেকোনো ডেয়ারিং সিন দিলেও আমার কোনো প্রবলেম নেই। করতে পারব কিন্তু আমার ওপর সেই ট্রাস্টটা করতে হবে। যিনি আমাকে শুধু মডেল হিসেবে ট্রিট করবেন না। সো শবনম ফেরদৌসী আপা সেরকমই একজন, যিনি আমাকে বিশ্বাস করেছেন।

 

পরমব্রতের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

আমি যখন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখাও করিনি শবনম আপা আমাকে বলেছেন যে, তুমি তার সঙ্গে অভিনয় করবে। আমার বিপরীতে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের মতো অভিনেতা! তার সঙ্গে আমার স্ক্রিন শেয়ার করতে হবে! আমি তখনই রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। খুব ভয় কাজ করছিল, এত বড় মাপের একজন অভিনেতা, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয়টা করতে পারব কি না। আসলে এত বড় একজন অভিনেতার সঙ্গে তো স্ক্রিন শেয়ার করাটা চাট্টিখানি কথা নয়। যেকোনো অভিনেত্রীই নার্ভাস হয়ে যাবে। তবে তিনি অনেক হেল্পফুল ছিলেন। আসলে আমি এমন একটি সিনেমা দিয়ে আত্মপ্রকাশ করতে চেয়েছিলাম যেটি নিয়ে সব সময় প্রাউড ফিল করতে পারি।

 

এ ছবির জন্য ডিরেক্টর আপনাকে কীভাবে খুঁজে পেলেন?

একটা চ্যানেলে শবনম আপা প্রোগ্রাম হোস্টিং করতেন। তো তখন আমাকে তিনি পেয়েই বলেছিলেন যে, ইমি আমি যখন ফার্স্ট সিনেমা বানাব তখন তোমাকে নায়িকা বানাব। আমি এরপর ভেবেছিলাম, সবার মতো তিনিও একইরকম কথা বলছেন। কিন্তু আমি সবসময় চেয়েছি এরকম কারও সঙ্গে কাজ শুরু করতে। এটলিস্ট আমার শুরুটা হলে পরবর্তী কাজগুলো কানেকশনটা থাকবে। সো, শবনম আপা কেপ্ট হার ওয়ার্ক। এরপর তিনি আমাকে ডাকলেন, যখন তিনি আজব কারখানার কাজটা শুরু করেন। তিনি জিজ্ঞেস করেন যে, তুমি কাজটা পারবা কি না? করবে কি না? এরপর সব গল্প ও চরিত্র শুনলাম। সব শুনে বললাম, ইয়েস, অফকোর্স।

 

চলছে শাকিবের সিনেমা। এর মধ্যে আপনার ছবি রিলিজ। এই শাকিব-পরমব্রত-ইমি চ্যালেঞ্জটাকে কীভাবে দেখছেন?

হা হা হা...এখানে টক্করটা! আসলে টক্করের কিছু নেই। শাকিব খানের রিসেন্ট যে কাজটা, সেখানে তার যে দুর্দান্ত পারফরমেন্স! আই গট ইন্সপায়ার্ড। তাকে দেখে মনে হতো যে ও আরও ভালো পারফর্ম করতে পারে। ও আরও ভালো ক্যারেক্টার ডিজার্ভ করে। ও আরও ভালো গ্লুমিং ডিজার্ভ করে। যদি সে সব ধরনের সাপোর্ট পায় তাহলে সে অনেক ভালো করবে। সে করেছে এখন। আমি খুবই খুশি এবং তাকে দেখে ভীষণ ইন্সপায়ার্ড। সে ছোটবেলা থেকে অভিনয় করে এখন সমস্ত জীবনের বেস্ট পারফরমেন্সটা যদি দিতে পারে তাহলে আমরা এখন কেন পারব না?

 

আপনাকে অনেকে বাংলাদেশি কঙ্গনা রানাওয়াত বলে থাকে...

আমি বাংলাদেশের কঙ্গনা রানাওয়াত না। কঙ্গনা রানাওয়াত হতে পারে ইন্ডিয়ার ইমি, এভাবেও বলতে পারি। কারণ আমার জার্নির অনেক পরে এসে মিডিয়ায় স্টার্ট করেছে কঙ্গনা। আমার পাঁচ-সাত বছর পর। সেক্ষেত্রে সে তো আমার কাজে জুনিয়র। হতে পারে তাদের প্রমোটিং, মার্কেটিং সিস্টেমটা অনেক বড় এবং তাদের ইন্ডাস্ট্রিটা অনেক বড়।

সর্বশেষ খবর