বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

এখন নাটকটাই বেশি ফোকাস করছি

এখন নাটকটাই বেশি ফোকাস করছি

ছোট পর্দায় দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী-মডেল সামিরা খান মাহি। ইদানীং তাঁর ব্যস্ততা তুঙ্গে। একের পর এক কাজের সুবাদে দম ফেলার সুযোগ পাচ্ছেন না। এর মধ্যে আবার ওটিটি ভুবনেও নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। নানামাত্রিক চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তুলে দর্শক সাড়াও পাচ্ছেন। গতকাল নাটকের শুটিং সেটে এ অভিনেত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি আড্ডায়- পান্থ আফজাল

 

নতুন এই নাটকটি কী ধরনের গল্পের?

নাটকের নাম হচ্ছে ‘আই ডোন্ট কেয়ার’। যেহেতু আই ডোন্ট কেয়ার টাইপের নাম সো একটু ড্যাম কেয়ার টাইপের নাটকটা। একটু ট্রেন্ডি বলতে পারেন। আমার কো-আর্টিস্ট হচ্ছেন খায়রুল বাসার আর ডিরেক্টর মাহমুদ মাহিন। লাস্ট সিজনে কাজ হয়েছিল, এটা ঈদের পরে এ সিজনের প্রথম কাজ। তাই এক্সাইটেড, ভালো লাগছে।

 

 

এটা কি কমেডি ঘরানার?

না, একটু ওয়েস্টার্ন কালচারের এখনকার জেনারেশনের ছেলে-মেয়েদের গল্প। তাদের বেজ করে কাহিনি এগিয়েছে। বলা যায় ডেইলি বেজড স্টোরি।

 

এই যে দুই-তিনজনকে নিয়ে নাটক, এর থেকে বের হওয়া আমাদের জন্য জটিল হয়ে যাচ্ছে কি?

আমি তো এখন একটু সিলেকটিভ কাজ করছি। মানে হলো অনেক পারিবারিক গল্প স্পেশালি রিয়েল লাইফ বেজড স্টোরিতে কাজ করছি। এর বাইরে আসলে আমার লাস্ট পাঁচ মাসেও কোনো প্রোডাকশন করা হয়নি। একটু সিরিয়াস ছাড়া কমই এখন করা হচ্ছে। সো, আমারটা তো আমার মতোই চলছে।

 

বাজেট বাড়লে নাটকের মান কি বেড়েছে?

ভালো ভালো কাজ তো হচ্ছে এখন। সাম্প্রতিক সময়ে ঈদ বাদেও যতগুলো নাটক বের হয়েছে, সবই কিন্তু ট্রেন্ড্রিংয়ে ছিল মোটামুটি। সব অ্যাক্টরের কাজও কিন্তু ভালো ছিল। ভিন্ন লোকেশনে শুটিংও হয়েছে। আগে যেমন আমাদের ম্যাক্সিমাম শুট উত্তরাকেন্দ্রিক হতো। কিন্তু লাস্ট ইয়ার থেকে সবাই এখন মোটামুটি ঢাকার বাইরে বিভিন্ন লোকেশনে কাজ করার চেষ্টা করছেন। প্রগ্রেস হচ্ছে অফকোর্স।

 

ভিউ নাকি জনপ্রিয়তা?

ভিউ এর ব্যাপারে কী আর বলব! যখন প্রথম কাজ স্টার্ট করি তখন মানুষের এক্সেপটেন্স ভালো ছিল, ভিউজও ভালো ছিল। তখন ভিউ হলে খুবই খুশি হতাম কিন্তু এখন ভিউ থেকেও জনপ্রিয়তা নিয়ে বেশি ভাবি। কারণ, জনপ্রিয়তা তো আমাদের অনেকদিন পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখে। ভিউজ তো আসবে যাবে। একটা টাইমে ভালো হবে, আবার খারাপও। কিন্তু ভালো কাজ করতে পারলাম কি না, মানুষ মনে রাখল কি না- সেটাই এখন মূল।

 

মাহির দুই সত্তা- র‌্যাম্প মডেলিং আর অভিনয়। এ দুটো মিলিয়ে কাজ করাটা কতখানি জটিল হচ্ছে?

দুটো মিলিয়েই তো ওভাবে আর হয় না। কারণ, এখন তো ওভাবে কোনো মডেলিং করা হয় না। আমি এখন নাটকটাই বেশি ফোকাস করছি। ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যস্ততা কিছুটা বেশি। আর আগে আরেকটু শুকনা ছিলাম, এখন মোটা হয়েছি। সো, সেই জায়গা থেকে মডেলিং করতে গেলে মনে হয়, ‘নাহ্, পারফেক্ট না’। সো, ওইসব অনেককিছু চিন্তা করে নাটকটাতেই বেশি ফোকাস করা হচ্ছে। তবে মডেলিংটা আমার জন্য অন্য আশীর্বাদে থাকবে কারণ ওই জায়গা থেকেই আজ এখানে এসেছি।

 

অভিনয়ে আসাটা কোন অনুপ্রেরণা থেকে?

যেহেতু আগে মডেলিং করতাম, তাই এর ফাঁকে ফাঁকে কিছু কাজ করা হয়েছিল। ইমরাউল রাফাত ভাইসহ আরও অনেকের সঙ্গে কাজ করা হয়েছিল। তখন আমাকে ওনারা ফিডব্যাক দিয়েছিলেন যে, ‘তুমি ভালো করবা, তুমি নিয়মিত কর’। তখন ছোট ছোট ক্যারেক্টার করতাম। এরপর আফটার কভিডে একটা ব্রেক ছিল, সে জায়গা থেকে মনে হলো নতুন কিছু ট্রাই করা উচিত। আসলে একই জিনিস নিয়ে পড়ে থাকতে আমার ভালো লাগে না।

 

সিনেমায় দেখা যাবে কবে?

ভালো স্ক্রিপ্ট আর প্রোডাকশন হলে কাজ হবে। প্ল্যান এলে আমাদের ওপর ডিপেন্ড করে না, ডিপেন্ড করে যারা বেসিক্যালি প্রডিউজ করেন বা ডিরেক্টরদের ওপর। আমি বললেই তো আমাকে কাজ দেবে না। তাই, আমার কাছে কাজ আসতে হবে এবং অবশ্যই গল্প-চরিত্র মিলে ভালো লাগতে হবে। তাহলেই কাজ হবে।

 

সম্পর্কে আছেন জেনেছি, বিয়ের প্ল্যান কতদূর?

বিয়ে! এখনো জানি না। আল্লাহ চাইলে হবে, না হলে হবে না। দেখা যাক।

সর্বশেষ খবর