শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

শাকিব ভাইয়ের জন্য আমারও পেট চলছে

শাকিব ভাইয়ের জন্য আমারও পেট চলছে

চারদিকে চলছে ‘তুফান’ সিনেমার ‘দুষ্টু কোকিল’র জয়জয়কার। গানটির কারিগর দুই বাংলার শ্রোতাপ্রিয় গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও গায়ক আকাশ সেন। ‘দুষ্টু কোকিল’র সুর, কথা ও সংগীত করেছেন তিনি। গানটিতে কণার পাশাপাশি কণ্ঠ দিয়েছেন আকাশ নিজেও। এই গান ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল

 

বাংলাদেশে নাকি কলকাতায় আছেন?

এখন কলকাতায়। বাংলাদেশ থেকে ফিরলাম কিছুদিন আগে। আবার ১৭ তারিখে যাব। বাংলাদেশে গেলে ২-৩ দিনের বেশি থাকি না।

 

কোকিলের ডাক মিষ্টি হয় কিন্তু এই যে দুষ্টু কোকিল, সেটা কী?

কোকিলের ডাক সব থেকে পাওয়ারফুল, সে আমার জন্য সব থেকে পারফেক্ট। তো আমার বাড়ির পাশেই দুটি আম গাছ আছে। ওই গাছে কোকিলের বাসা রয়েছে। সিজন এলে ওরা যখন ডাক শুরু করে, তখন রাত থেকে ভোর পর্যন্ত চলে। মাঝেমধ্যে ঘুম ভেঙে যায়। তখনই কথা প্রসঙ্গে এসেছে, কোকিলগুলো নেহাত দুষ্টু হয়েছে। সেখান থেকেই দুষ্টু কোকিলের কনসেপ্ট।

 

সিনেমায় কীভাবে ‘দুষ্টু কোকিল’ বাসা বাঁধল?

এখানকার (ভারতের) এক সিনেমা নির্মাতা এ গানটার জন্য পাগল ছিলেন। এ গানটা তুফানে যাওয়ার মাঝেও একদিন আমার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেছিলেন। গানটা নেওয়ার কথা বলেছিলেন। তবে তখন এ সিনেমায় গানটা লক হয়ে যাওয়ার কারণে তাকে না করে দিই। নির্মাতা যে সিনেমার জন্য গানটি নিতে চেয়েছিলেন, সেই ছবির প্রযোজকও আমাকে কল দিয়ে প্রশংসা করেছিলেন যখন গানটি মুক্তি পেল। এরপর তো আমার গানটা অনেকের মনে বসবাস করছে। আমার একলা ঘরে বসে বানানো দুষ্টু কোকিল লক্ষ কোটি শ্রোতার ঘরে চলে গেছে।

 

শাকিব খানের সঙ্গে টানা তিনটি হিট গান উপহার, এ বিষয়ে কী বলবেন?

শাকিব খানের পরপর তিন সিনেমা ‘প্রিয়তমা’, ‘রাজকুমার’ ও ‘তুফান’র গান হিট। আসলে আমি মনে করি, একটা মানুষ যখন স্টার হয় তখন স্টারকে ধরে একটা ইন্ডাস্ট্রি এবং অনেক মানুষের পেট চলে। আমার বলতে দ্বিধা নেই, আজকে শাকিব ভাইয়ের জন্য আমারও পেট চলছে, আমারও কাজ হচ্ছে। কাজের পাশাপাশি মানুষও আমাকে চিনতে পারছে।

 

এদেশের সিনেমায় এক দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন। এদেশের শিল্পীদের সঙ্গে সখ্য কীভাবে হলো?

এটা আমার সৌভাগ্য। তবে বাংলাদেশের প্রথম কোনো আর্টিস্টের সঙ্গে যদি যোগাযোগ হয়, সে হলো কণা। কণার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন জুয়েল মোর্শেদ। কণা আমার ওপর বিশ্বাস করেছিল সেটা খুব ইন্সপায়ার করে। তার জন্য ‘রেশমী চুড়ির’ মতো জনপ্রিয় গান সৃষ্টি হয়। একটা গান একজন আর্টিস্টের সঙ্গে হিট হলে, আরও একসঙ্গে কাজ হয়। নাজির মাহমুদের সুরে ‘ইচ্ছেগুলো’ দ্বৈত গেয়েছিলাম। ‘তুই আমার জীবন তুই আমার আপন’ গেয়েছিলাম। এরপর কণার সঙ্গে আমার সিনেমার জার্নি শুরু হলো। ‘ও ডিজে’ সুপার হিট সং, ‘হেইলা দুইলা নাচ’সহ কয়েকটি গান আছে।

 

এবার এদেশের কয়টি গান করলেন?

এফ এ প্রীতমের সুরে দুটি গানে কণ্ঠ দিলাম। ‘বাংলাদেশি মাইয়া’ ও ‘ও বেবি’। অন্যদিকে কলকাতার স্টুডিওতে একটি গান রেকর্ড করেছি। নাম ‘লাল মরিচের গুঁড়া। গানটি লিখেছে আহসান আলমাস, সুর-মিউজিক আহমেদ সজীব। এ গানটি শিগগিরই আসছে লায়নিক মাল্টিমিডিয়ার ইউটিউব চ্যানেলে। সব গানই এ সময়ের। আশা করছি ভালো লাগবে।

 

এদেশের কনটেন্ট কেমন লাগে?

এখানে এত ভালো ভালো কনটেন্ট  তৈরি হচ্ছে যেগুলো আমার খুব ফেভারিট। আমার পছন্দের একজন পরিচালক কাজল আরেফিন অমি। ওর সিরিজের জন্য অপেক্ষা করি। সর্বশেষ দেখলাম, মা-ছেলের নাটক (শেষমেশ)। নাটকে মা-ছেলের যে ভালোবাসা ও তুলে ধরল, ওটা দেখে আমি কেঁদে দিয়েছি।

 

নতুন কোনো গান আসবে?

আগেভাগে বলে লাভ কী! নতুন গান এলে সবাই তখন জানতে পারবেন।

 

তুফানের পর বাংলাদেশি প্রজেক্ট...

তুফান তো শেষ প্রজেক্ট নয়। সামনে তো আরও চলতে থাকবে। আসলে কাজ করলাম, রিলিজ হলো না, তা কষ্টদায়ক। তাই রিলিজ ডেট চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত কিছু বলছি না।

সর্বশেষ খবর