বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

রাজনীতি নিয়ে বলিউডের যত ছবি

রাজনীতি নিয়ে বলিউডের যত ছবি

রাজনীতির নানা দিক তুলে ধরা হয় সেলুলয়েডের ফিতায়। এসব সিনেমায় দেখা যায় রাজনীতির যত নেতিবাচক ও ইতিবাচক দিক। এমন কিছু ভারতীয় ছবির কথা তুলে ধরেছেন - আলাউদ্দীন মাজিদ

 

রাজনীতি

‘রাজনীতি’ মুক্তির পরপরই পুরো ভারতে আলোচনার ঝড় ওঠে। টানটান গল্প ও অভিনয়ের ম্যাজিকে দর্শক মুগ্ধ হন। প্রকাশ ঝা পরিচালিত এ সিনেমাটি ২০১০ সালে মুক্তি পায়। ভারতীয় রাজনৈতিক থ্রিলার-অপরাধর্মী চলচ্চিত্র এটি। ছবিটির কাহিনি ও সংলাপ লেখেন প্রকাশ ঝা এবং চিত্রনাট্য লেখেন যৌথভাবে আনজুম রাজাবলী ও প্রকাশ ঝা। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন অজয় দেবগন, রণবীর কাপুর, নানা পাটেকর, মনোজ বাজপেয়ি ও নাসিরুদ্দিন শাহের মতো অভিনেতারা।

 

থালাইভি

ভারতবর্ষের রাজনীতিতে এক আইকনিক চরিত্র ছিলেন কুমারী জয়ললিতা। ‘থালাইভি’ সিনেমায় তাঁর জীবনই রুপালি পর্দায় তুলে ধরতে চেয়েছেন পরিচালক এ এল বিজয়। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে এক নারীর উঠে দাঁড়ানোর লড়াই নিয়ে সিনেমাটি তৈরি। এ সিনেমায় কঙ্গনা রানাউত জয়ললিতার চরিত্রে দারুণ অভিনয় করে চলচ্চিত্র-বিশ্লেষকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

 

ঠাকরে

অভিজিৎ পানসে পরিচালিত ‘ঠাকরে’ ছবিটি ভারতীয় রাজনৈতিক দল শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের জীবন অনুসরণ করে তৈরি। ছবিতে ঠাকরে চরিত্রে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি এবং তার স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেন অমৃতা রাও।

 

দি অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার

মনমোহন সিংয়ের জীবনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত ছবি ‘দি অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’; যা নিয়েও ব্যাপক সমলোচনা হয়। অনেকেই মনে করেন কংগ্রেস আইকন মনমোহন সিংকে এ ছবির মাধ্যমে আক্রমণ করা হয়েছে। ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত এ ছবির বিস্তৃতি। এ ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন অনুপম খের।

 

ম্যাডাম চিফ মিনিস্টার

‘ম্যাডাম চিফ মিনিস্টার’ ছবিটি মুক্তির পরই আলোচিত হয়। ভারতের উত্তরপ্রদেশের দলিত সম্প্রদায়ের এক দুঃসাহসী, অদম্য স্বভাবের তরুণীর কঠিন প্রতিকূলতা, বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে রাজনৈতিক ক্ষমতার শীর্ষে মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন হওয়ার চাঞ্চল্যকর, শ্বাসরুদ্ধকর, নাটকীয় কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে নতুন এ বলিউডি সিনেমায়। ম্যাডাম চিফ মিনিস্টার ছবির মূল ভূমিকায় বলিউডের অভিনেত্রী রিচা চাড্ডা।

 

সরকার

রাজনৈতিক অপরাধ থ্রিলার চলচ্চিত্র ‘সরকার’। রাম গোপাল ভার্মা ছবিটি পরিচালনা করেন। অভিনয় করেন অমিতাভ বচ্চন, কোটা শ্রীনিবাস রাও, অনুপম খেরসহ তারকা শিল্পীরা।

 

আর্টিকেল ৩৭০

২০১৯ সালে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিলে ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে বলিউডে নির্মিত হয় ‘আর্টিকেল ৩৭০’ সিনেমাটি। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়েছিল দেশটির সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে। সে কারণেই এ সিনেমার নাম রাখা হয় আর্টিকেল ৩৭০।

 

দ্য তাশখন্দ ফাইলস

ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে ছবিটি তৈরি করেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। বিদেশে শাস্ত্রীর মৃত্যু এবং তাঁর পেছনে ষড়যন্ত্রতত্ত্ব খাড়া করেন তিনি। মিঠুন চক্রবর্তী ও নাসিরুদ্দিন শাহ ছবিতে অভিনয় করেন ।

 

বীর সাভারকার

এটি বিংশ শতাব্দীর বিতর্কিত এক হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতার বায়োপিক। সেখানে একটি সংলাপ রয়েছে এ রকম-‘স্বাধীনতার নেতৃত্ব মহাত্মা গান্ধীর হাতে না থাকলে ভারত আরও অনেক আগেই ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হতো।’

 

অ্যান ইনসিগনিফিক্যান্ট ম্যান

প্রথম দফায় দেড় মাসের মাথায় মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয়েছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরই মুক্তি পায় ‘অ্যান ইনসিগনিফিক্যান্ট ম্যান’। সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসে কীভাবে দিল্লির মসনদে তিনি আসীন হলেন, তা-ই তুলে ধরা হয় এ ছবিতে।

 

দ্য কেরালা স্টোরি

দীপ্ত সেনের ২০২৩ সালে নির্মিত এ সিনেমায় হিন্দু ও খ্রিস্টান নারীদের ইসলাম গ্রহণ করতে এবং ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিতে নানা প্রলোভন দেখানোর বিষয়ে ‘সত্য গল্প’ বলা হয়েছে।

 

কাশ্মীর ফাইলস

২০২২ সালের ১৩ মে ভারতে মুক্তি পায় বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমাটি। ১৯৯০-এর দশকে কাশ্মীরে সশস্ত্র লড়াইয়ের কারণে বহু হিন্দুর সেখান থেকে উচ্ছেদ হওয়ার ঘটনাকে ‘সত্য গল্প’ হিসেবে চিত্রায়ণের চেষ্টা করা হয়েছে কাশ্মীর ফাইলসে।

 

ইন্দু সরকার

১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জারি করা জরুরি অবস্থা ‘ইন্দু সরকার’ সিনেমার প্লট। ছবিটিতে ইন্দিরা গান্ধী ও সঞ্জয় গান্ধীর ভাবমূর্তিতে আঘাত করা হবে। এমনই দাবি করেছিল কংগ্রেস।

 

নায়ক : দ্য রিয়েল হিরো

২০০১ সালে নির্মিত হয় ছবিটি। এস শঙ্করের এ ছবিতে ছিলেন অনিল কাপুর, রানি মুখার্জি, অমরিশ পুরি, পরেশ রাওয়াল ও জনি লিভার। এটি শঙ্করের ১৯৯৯ সালের তামিল ভাষার চলচ্চিত্র মুধলভানের রিমেক। চলচ্চিত্রটি ৭ সেপ্টেম্বর, ২০০১-এ মুক্তি পায়।

 

উরি : দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক

দেশপ্রেমমূলক ছবি ‘উরি : দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’। এ ছবিটি মোদির জাতীয়তাবাদী সুনাম মজবুত করায় অবদান রেখেছে। এ ছবিও বিজেপির সমর্থকদের কাছে এখন নির্বাচনি স্লোগান।

 

মাই নেম ইজ রাগা

‘মাই নেম ইজ রাগা’ নামে ছবিতে উঠে এসেছে মোদির প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর প্রত্যাবর্তন।

সর্বশেষ খবর