শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

দীর্ঘ অপেক্ষার পর পদাতিক আসছে

দীর্ঘ অপেক্ষার পর পদাতিক আসছে

ভার্সেটাইল অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। যিনি শোবিজের সব মাধ্যমেই দর্শক প্রশংসিত। যে কোনো চরিত্রে সাবলীল অভিনয়ের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। যার স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা। তাঁর ‘তুফান’-এ কাঁপছে সবাই, ‘দম’ নিয়ে ‘পদাতিক’র মৃণাল সেন হয়ে ফিরবেন অচিরেই। সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

১৫ আগস্টপদাতিক মৃণাল সেন হয়ে পর্দায় আসছেন। অপেক্ষার পালা কি শেষ হচ্ছে তাহলে?

অনেক অপেক্ষার পর পদাতিক আসছে। দর্শকদের মতো আমিও অপেক্ষায় ছিলাম। আর মৃণাল সেনের মতো বিখ্যাত মানুষের চরিত্রে অভিনয় করা আমার জন্য বড় বিষয়। অবশ্যই চরিত্রটি চ্যালেঞ্জিং ছিল। পদাতিক সিনেমায় অভিনয় করার পুরো কৃতিত্ব পরিচালকের। তিনি যেভাবে চেয়েছেন, সেভাবেই অভিনয় করেছি। তবে চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে কোনো বায়োপিকে অভিনয় করা। কারণ আমি ওই মানুষটি নই, তারপরও দর্শক আমাকে যখন সিনেমার পর্দায় দেখছেন তখন হান্ড্রেড পার্সেন্ট তাঁর সঙ্গে মেলানোর চেষ্টা করছে। সেই মেলানো তো কখনোই মিলবে না।

 

আমেরিকা থেকে দুটি সম্মাননা পেলেন...

এর আগে বহুবার ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি, সেজন্য কৃতজ্ঞতা আলমগীর খান আলমের প্রতি। অন্যদিকে এনএবিসি’২০২৪ এর সেরা অভিনেতার পুরস্কার প্রাপ্তিতে আমি বিশেষভাবে সম্মানিত এবং আনন্দিত। তার কারণ এ পুরস্কারটি পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের মা, শ্রদ্ধেয়া সুনেত্রা ঘটক মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড।

 

কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে একাত্মতাও প্রকাশ করেছেন...

প্রায় ২০ দিন আমেরিকা ছিলাম। এই তো ঢাকায় ফিরেছি। সেখানে বসে এই কদিন নিউজগুলো দেখে হতবাক হয়েছি! সমাধানের অন্য কোনো পথ কি খোলা ছিল না? গুলি কেন করতে হলো? বুকের রক্ত না ঝরিয়ে সুষ্ঠু সমাধান করা যেত না? যা ঘটে গেল এটা যেমন মোটেও কাক্সিক্ষত নয়, বিষয়টা তেমনি হৃদয়বিদারক, মর্মান্তিক এবং সভ্যতাবহির্ভূত। আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ এবং অভিভাবক হিসেবে রাজনীতির এত এত কঠিন কৌশল বুঝি না! শুধু একটা প্রশ্ন বুঝি, তরুণ তাজা যে প্রাণগুলো অকালে ঝরে গেল, তার দায় কে নেবে? যে মায়ের বুক খালি হলো, তার আর্তনাদ কি কোনো জনমে শেষ হবে? হায়রে দুর্ভাগা দেশ! নোংরা রাজনীতির নামে এই রক্তপাত বন্ধ হোক!

 

তুফান উন্মাদনা চলছেই। কেমন লাগছে?

দর্শকদের যখন ভালো লাগে, তখন আমাদেরও ভালো লাগে। আমরা আমাদের ভিতর আলাদা গতি পাই, উৎসাহ পাই। ‘তুফান’ নিয়ে যে পরিমাণ আগ্রহ দর্শকের, এতে খুব ভালো লাগছে। আমি সব সময়ই দর্শকদের জন্য অভিনয়টা করে যেতে চাই।

 

তাহলেতুফান-...

আমি আশাবাদী মানুষ। দর্শক চাইলেই ‘তুফান-২’ হবে।

 

আর রেদোয়ান রনিরদম?

‘দম’ সিনেমাটি একেবারেই আলাদা। আমার জীবনে বড় একটা কাজ হতে চলেছে। ভালো কিছুর চেষ্টা রয়েছে।

 

প্রতিটি সিনেমায় একেক চরিত্র...

অসংখ্য নাটক করেছি, যেখানে বিশেষ চরিত্র আছে। সিনেমা তো আরও বড় ব্যাপার। এর স্থায়িত্ব আছে, দর্শক দীর্ঘদিন মনে রাখে। অভিনেতার কাজই তার চরিত্রগুলোকে ফুটিয়ে তোলা। পৃথিবীজুড়েই এমন। চরিত্রকে ভাঙতে হয়, ভিন্নভাবে উপস্থাপন করতে হয়।

 

স্ক্রিপ্ট নেই, শুধু গল্পেই নির্মিত হচ্ছে নাটক...

শুটিং করতে গিয়ে প্যারালাল ক্যারেক্টার তেমন করে নেই। দু-একজনের বেশি চরিত্র নেই। কারও কোনো প্রিপারেশনও নেই। স্ক্রিপ্ট ছাড়াই শুধু গল্পের ওপর ভর করে নাটকের শুটিং হয়।

 

দায়বদ্ধতা আসলে কার?

এ দায়বদ্ধতা শিল্পী এবং দর্শক দুই পক্ষেরই। আর্টিস্টকে যেমন মানসম্পন্ন কাজ উপহার দিতে হবে, তেমনি দর্শককেও ভালো কাজের সাপোর্ট দিতে হবে। শুধু ভিউয়ের পেছনে ছুটলেই হবে না। সামগ্রিকভাবে ভুল রাস্তায় ছুটছি।

 

নাটকের অদ্ভুত নাম, প্রচারসর্বস্ব পোস্টার নিয়ে মন্তব্য?

এটা নতুন একটা ট্রেন্ড। মূল কাজটায় অধিকাংশ নির্মাতা যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এটা খুবই দুঃখজনক।

সর্বশেষ খবর