সোমবার, ২২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

কোনো সময়কেই আলাদা করে দেখিনি

কোনো সময়কেই আলাদা করে দেখিনি

জনপ্রিয় তারকা কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। ক্যারিয়ারে বহু শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। গানের পাশাপাশি অভিনয়ে আত্মপ্রকাশের পর ব্যস্ত হয়ে পড়েন লাইট-ক্যামেরার ভুবনে। বরাবরের মতো দেশে-বিদেশে নিয়মিত স্টেজে গান নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন, গান প্রকাশ করছেন। দীর্ঘদিন পর ওয়েব কনটেন্ট ‘বাজি’তে অভিনয় করেছেন। তাঁর সঙ্গে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল

 

এ জীবনটা কেমন?

আমি অনেক গ্রেটফুল একজন মানুষ। সর্বদা পরম করুণাময়ের কাছে গ্রেটফুল। আমার দিন শুরু হয় তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে। আবার শেষ হয়ও একইভাবে। জীবন সত্যিই সুন্দর।

 

বর্তমানে কী নিয়ে ব্যস্ততা?

গান নিয়ে তো ব্যস্ততা বরাবরই ছিল। মাঝে অভিনয় করলাম ‘বাজি’তে। আর দেশ ও দেশের বাইরে কিছু স্টেজ শো করছি। এইতো!

 

মাঝে গানের অঙ্গনে বিরতির কারণ?

বিরতি তো শুরু থেকেই নিয়ে আসছি। ২০০২ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত দীর্ঘ ২২ বছর গান করছি। এর মধ্যে বিরতি নিয়ে ফের গান করেছি। আসলে বিরতি নিয়েই কাজ করতে হয়। আমার ক্যারিয়ারে সবসময়ই ছিল বিরতি। বিরতিগুলো ক্যারিয়ারকে প্রতিনিয়ত মজবুত করেছে। এ বিরতিই গানের ভক্ত-শ্রোতাদের সঙ্গে আমার বন্ধন আরও গাঢ় করেছে।

 

অভিনয়ে কম কেন?

সবসময় বলি, আমি সেই মাধ্যমেই কাজ করব, যেটিতে ভক্তরা আমাকে নেবে। একসময় গানে যখন মনোযোগী হয়েছি, গান করেছি। ব্যান্ডে গান করেছি, একক গান করেছি অনেক। স্টেজেও গান করছি। ভক্তরা পছন্দ করে বলেই তো! আর অভিনয়ে নিজেকে আরেকটু মেলে ধরতে সময় নিচ্ছি। ওটিটিতে একটা-দুটা ভালো কাজ হলে করছি। আসলে কমার্সের বাইরে শিল্পসত্তাকে নিয়েও ভাবতে হবে। তাই শিল্পসত্তাকে মেলে ধরার জন্যই এ অভিনয়ে বিরতি নেই। আমার মনে হয়, দর্শকদের যা দেওয়ার তা দিয়েছি। এখন নতুনদের জন্য মাঠ ছেড়ে দেওয়া উচিত। সবারই সময় থাকে। নাটকে মনে হয়েছে এখন থামা দরকার, থেমেছি। গান নিয়ে ব্যস্ত থাকব আর নাটক-ওটিটিতে স্পেশাল প্রোজেক্ট হলে করব। এমন কোনো কাজ নিয়ে আসতে চাই যেটা সবার মন ছুঁয়ে যাবে। নির্দিষ্ট কোনো ছকে বাঁধা গল্পে আসতে চাই না।

 

গানের সার্বিক অবস্থা এখন কেমন?

কোনো সময়কেই আলাদা করে দেখিনি। আমার গান শ্রোতারা পছন্দ করত, এখনো করে সমানভাবে। ভালো গান সবাই সব সময়ই শোনে। গান ভালো হলে ভক্তরা শুনবে, না হলে শুনবে না। গান ভালো হলে সেগুলো বেঁচে থাকবেই।

 

এখন প্রায় গানই ভিউগুণে হিটের তকমা পায়। আপনার ভাবনা কী বলে?

এখন এমন যুগ যেখানে মানুষ গান বিচার করে মিলিয়ন ভিউ দিয়ে। কিন্তু খুব আশ্চর্য ব্যাপার, এসব গান স্টেজে গাইলে মনে হয় না পরিচিত গান, কারও মুখে শোনা যায় না! গান তখনই বেঁচে থাকে যখন হাজারও মানুষ গলা মিলিয়ে গাইবে। গান বেঁচে থাকে স্টেজে। এমন অসংখ্য গান আছে যেগুলো ইউটিউবে ভিউ নেই। কারণ এগুলো ইউটিউব আসার অনেক আগে প্রকাশ পেয়েছে। সে গানগুলো কিন্তু মানুষ শুনছে। তাই ভেবে দেখা উচিত কোন গানগুলো প্রকৃত হিট, আর কোনগুলো বলার জন্য হিট বলছি।

 

এ সময়ের ব্যান্ডগুলো কেমন করছে?

নতুন ব্যান্ডগুলো এখন অনেক ভালো করছে। ভালো ভালো গান হচ্ছে কিন্তু সারা পৃথিবীতেই দেখবেন ব্যান্ড মিউজিক একটু অবহেলিত। কারণ ব্যান্ড মিউজিক শোনার জন্য একটু পরিশীলিত শ্রোতার প্রয়োজন হয়। পরিশীলিত শ্রোতা সারা পৃথিবীতেই কম। তবে দিন দিন ব্যান্ড মিউজিকের শ্রোতা বাড়ছে। আমার মনে হয়, ব্যান্ড মিউজিকে সামনে আরও ভালো করবে।

 

স্টুডিও নাকি স্টেজ, কোনটা স্বাচ্ছন্দ্যের?

স্টুডিও থেকে স্টেজে গান বেশি উপভোগ করি। কনসার্টে ভক্তদের সঙ্গে কানেকশনটা দৃঢ় হয়। যতদিন আছি স্টেজে গান করে যাব।

সর্বশেষ খবর