মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

ঢালিউড মাতানো যত বলিউড তারকা

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যৌথ ও স্থানীয়ভাবে নির্মিত বহু ছবিতে অভিনয় করেন কলকাতার শিল্পীরা। এক সময় এ দেশের ছবিতে কাজ করেন বলিউডেরও বেশ কয়েকজন নামি তারকা। তাদের কথা তুলে ধরেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ

ঢালিউড মাতানো যত বলিউড তারকা

পারভীন ববি

শশী কাপুর, শর্মিলা ঠাকুর, রাজ বাব্বর, পারভীন ববি, নাদিম (দূরদেশ, ১৯৮৪)

প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক এহতেশাম নির্মাণ করেন ‘দূরদেশ’ ছবিটি। এটি মূলত বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের যৌথ প্রযোজনার ছবি। ঢালিউডের অভিনেত্রী ববিতা ছাড়াও বলিউডের প্রখ্যাত অভিনয়শিল্পী শশী কাপুর, শর্মিলা ঠাকুর, পারভীন ববি, রাজ বাব্বর ও পাকিস্তানের অভিনেতা নাদিম অভিনয় করেন। মূলত আন্ডার ওয়ার্ল্ডের নানা অপরাধ ও এর দমন এবং প্রেম চিল ছবির উপজীব্য। ছবিটি ও এর গানগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল।

 

রাজেশ খান্না (বিরোধ)

১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয় চলচ্চিত্র ‘বিরোধ’। এ ছবিতে বাংলাদেশের অভিনেত্রী শাবানার বিপরীতে অভিনয় করেন বলিউড সুপার স্টার রাজেশ খান্না। আরও ছিলেন ওম শিবপুরী, প্রেম চোপড়াসহ আরও অনেক তারকা। মূলত ভালো ও মন্দ পুলিশের কর্মকাণ্ড ও ভূমিকা তুলে ধরা হয় ছবিটিতে। এটি নির্মাণ করেন বলিউডনির্মাতা প্রমোদ চক্রবর্তী। ছবিটি অসাধারণ সাফল্য লাভ করে।

 

জয়াপ্রদা (আমি সেই মেয়ে, ১৯৯৮)

১৯৯৮ সালে বাংলাদেশের ‘আমি সেই মেয়ে’ ছবিতে অভিনয় করেন বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেত্রী জয়াপ্রদা। রুহুল আমিন বাবুল ও কলকাতার প্রসেনজিৎ ছবিটি পরিচালনা করেন। এতে অভিনেতা আলমগীরের বিপরীতে জয়াপ্রদা অভিনয় করেন। এ ছবির গান কুমার শানু ও অলকার কণ্ঠে ‘আগুনের দিন শেষ হবে এক দিন’ আজও জনপ্রিয় হয়ে আছে। ছবিটিতে আরও অভিনয় করেন কলকাতার ঋতুপর্ণা, প্রসেনজিৎ ও রঞ্জিত মল্লিক। ১৯৯৮ সালের ২২ অক্টোবর ঈদুল আজহায় ছবিটি মুক্তি পায় এবং বাম্পার হিট ব্যবসা করে।

মমতা কুলকার্নি

মমতা কুলকার্নি (শেষ বংশধর)

নব্বই দশকের খ্যাতিমান চিত্র পরিচালক শাহ আলম কিরণ নির্মাণ করেন ‘শেষ বংশধর’। পারিবারিক ও রোমান্টিক গল্পের এ ছবিতে অভিনয় করেন বলিউডের অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। তার সঙ্গে আরও ছিলেন বলিউড অভিনয় শিল্পী রোনিত রয়। ছবিটি দর্শক নজর কাড়ে।

 

জয়া বচ্চন (মেহেরজান)

২০০৯ সালে ঢাকার ছবিতে কাজ করেন বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেত্রী জয়া বচ্চন। চলচ্চিত্রের নাম মেহেরজান। রুবাইয়াত হোসেন পরিচালিত এ ছবির নাম-ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি।  মুক্তিযুদ্ধের গল্প নিয়ে নির্মিত হয় ছবিটি। ছবিতে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতীয় অভিনেতা ভিক্টর ব্যানার্জি। এ ছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন ওমর রহিম (পাকিস্তান), শায়না আমিন, হুমায়ুন ফরীদি, খায়রুল আলম সবুজ, আজাদ আবুল কালাম। আন্তর্জাতিকভাবে বেশকটি পুরস্কার লাভ করে এ ছবি এবং এতে জয়া বচ্চনের অভিনয় প্রশংসিত হয়।

শাবানা আজমী ও আইয়ুব খান (মেঘলা আকাশ, ২০০২)

বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেত্রী শাবানা আজমী ও অভিনেতা আইয়ুব খান বাংলাদেশের ছবি ‘মেঘলা আকাশ’-এ অভিনয় করেন ২০০২ সালে। ছবিটি নির্মাণ করেন নার্গিস আক্তার। বাংলাদেশের তারকাদের মধ্যে ছিলেন মৌসুমী, শাকিল খান, পূর্ণিমা প্রমুখ। এইচআইভি এইডসের ওপর ভিত্তি করে ছবিটি নির্মাণ করা হয়। চলচ্চিত্রটি বেশ কয়েকটি বিভাগে জাতীয় পুরস্কার জয় করে।

 

মিঠুন চক্রবর্তী (অন্যায় অবিচার, ১৯৮৫)

বলিউডের ডিস্কো ড্যান্সার খ্যাত প্রখ্যাত অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী অভিনয় করেন এ দেশের ‘অন্যায় অবিচার’ ছবিতে। এটি ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশের অভিনেতা নির্মাতা হাসান ইমাম ও কলকাতার শক্তি সামন্ত পরিচালনা করেন। ছবিটিতে আরও অভিনয় করেন রোজিনা, নূতন, কলকাতার উৎপল প্রমুখ।

 

সানি দেওল, নীলম, নাসিরুদ্দিন শাহ (ফুল আর পাথর, ২০০১)

একঝাঁক বলিউড তারকা নিয়ে রফিকুল ইসলাম বুলবুল ২০০১ সালে নির্মাণ করেন ‘ফুল আর কাঁটা’ ছবিটি। এ ছবিতে অভিনয় করেন সানি দেওল, নীলম, নাসিরুদ্দিন শাহ, চাঙ্কি পান্ডেসহ একঝাঁক বলিউড তারকা। মূলত রোমান্টিক অ্যাকশনধর্মী গল্পে ছবিটি নির্মিত হয়।

 

আয়শা জুলখা (আশা আমার আশা ১৯৯৫)

ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় নায়ক হেলাল খান ১৯৯৫ সালে নির্মাণ করেন ‘আশা আমার আশা’ ছবিটি। এতে বাংলাদেশের রিয়াজ, শাবনূর, হেলাল খানের সঙ্গে অভিনয় করেন বলিউড অভিনেত্রী আয়শা জুলখা। বিগ বাজেটের তারকাবহুল এ রোমান্টিক অ্যাকশনধর্মী গল্পের এ ছবিটি বেশ সাড়া জাগিয়েছিল। এর গানগুলোও দর্শকদের মুখে মুখে ফিরত।

 

মনিকা বেদী (জবাবদিহী)

নব্বই দশকের নির্মাতা তমিজউদ্দীন রিজভী নির্মাণ করেন ‘জবাবদিহী’ ছবিটি। এ ছবিতে অভিনয় করেন বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেত্রী মনিকা বেদী। রোমান্টিক-অ্যাকশনধর্মী গল্পে ছবিটি নির্মাণ হয়।

 

চাঙ্কি পান্ডে (মেয়েরাও মানুষ, স্বামী কেন আসামি)

বলিউড অভিনেতা চাঙ্কি পান্ডে। তিনি বাংলাদেশের বেশকটি ছবিতে অভিনয় করেন। প্রথমটি ছিল অভিনেত্রী শাবানা নিবেদিত ‘মেয়েরাও মানুষ’। এটি পরিচালনা করেন মনোয়ার খোকন। ছবিটিতে আরও অভিনয় করেন শাবানা, জসিম ও কলকাতার ঋতুপর্ণা। চাঙ্কি পান্ডে এরপর কাজ করেন বাংলাদেশের ‘স্বামী কেন আসামি’ চলচ্চিত্রে। শাবানা প্রযোজিত এ ছবিটিও পরিচালনা করেন মনোয়ার খোকন। এ ছবিতেও অভিনয় করেন শাবানা, জসিম ও কলকাতার ঋতুপর্ণা।

 

ইরফান খান (ডুব, ২০১৭)

বাংলাদেশের ডুব চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন বলিউডের খ্যাতিমান অভিনেতা ইরফান খান। ২০১৭ সালে নির্মিত এ  চলচ্চিত্রটির গল্প লিখেছেন ও পরিচালনা করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। চলচ্চিত্রটির প্রযোজনা করে জাজ মাল্টিমিডিয়া, এসকে মুভিজ এবং ইরফান খান ফিল্মসের ইরফান খান। চলচ্চিত্রটিতে আরও অভিনয় করেন তিশা, রোকেয়া প্রাচী এবং পার্ণো মিত্র।

সর্বশেষ খবর