শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
আলাপন

সর্বদা ভালো ছবির অংশ হতে চাই

শোবিজ প্রতিবেদক

সর্বদা ভালো ছবির অংশ হতে চাই

দুই বাংলার সিনে দুনিয়ার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। নিজস্ব অভিনয় মুন্সিয়ানায় বেশ প্রশংসিত তিনি। একের পর এক ব্যবসাসফল ছবি ও পুরস্কার ভারী করছে তাঁর সফলতার ঝুড়ি। এই সর্বজয়ার সঙ্গে কথোপকথন-

 

বর্তমানে কাজের খবর?

টনিদার (অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী) নতুন সিনেমা ‘ডিয়ার মাদার’-এর কাজ শেষ। দুর্দান্ত একটি কাজ হয়েছে। ভীষণ আরাম লেগেছে ছবিটি করে। আশা করছি, সবার ভালো লাগবে। আর আশফাক নিপুণের একটি ওয়েব সিরিজ করেছি। নাম ‘জিম্মি’। আপাতত এই।

 

ওসিডির অপেক্ষায়...

হুমম। সৌকর্ষ ঘোষালের সিনেমা। খুব শিগগিরই দুই বাংলাতেই সিনেমাটি মুক্তি পাবে। অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসওর্ডার নিয়ে ছবিটির গল্প। এখানে অসাধারণ সব অভিনেতা কাজ করেছেন। গল্পটিও সুন্দর। যারা ভালো কনটেন্ট দেখতে চান, স্ট্রং গল্প দেখতে চান, তাদের দেখা উচিত ছবিটি।

 

ক্যারিয়ারে সেরা চরিত্রটা পেয়েছেন বলে মনে হয়?

অপেক্ষায় রয়েছি। শিল্পী হিসেবে আমি স্বার্থপর হতেই পারি। তাই মনে হয়, এখনো সেই চরিত্রটা পাইনি।

 

দেশীয় ফিল্মে কোন বিষয়টি বেশি থাকে?

আমার দেশের ছবিতে প্রেমটা প্রচণ্ড বেশি থাকে। টলিউডে সেটা একটু কম মনে হয়। যদিও অনেক ভালো কাজ হচ্ছে ওপারে। আসলে ভালো চরিত্র নয়, আমি সবসময় ভালো ছবির অংশ হতে চাই।

 

দুই বাংলায় বড় বড় পরিচালকের ছবিতে কাজ করছেন...

আসলে দর্শক এখনো টিকিট কেটে আমার ছবি দেখছেন, এটাই তো অনেক বড় প্রাপ্তি। কেউ যদি আমাকে ভালো অভিনেত্রী বলেন, তা হলে সেটা আমার কাছে উপরি পাওনা।

 

চিত্রনাট্য নির্বাচন করতে গেলে কী কী বিষয় মাথায় রাখেন?

প্রথমত, শিল্পী হিসেবে আমার যে দায়বদ্ধতা, তা বিচার করে চিত্রনাট্যে রাজি হই। দ্বিতীয়ত, শিল্পী হিসেবে সেই চরিত্রটা আমাকে কতটা নাড়া দিচ্ছে বা ভাবাচ্ছে সেটাও আমি দেখে তারপর সম্মতি দিই।

 

তাঁতী গানটির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণ কী ছিল?

তাঁতী গানটি একটি উৎসবের গান। এর মধ্য দিয়ে দেশের জামদানিকে প্রোমোট করা হয়েছে। আর আমি নিজেও শাড়ি খুব ভালোবাসি। বাংলাদেশের জামদানি, মসলিনসহ সমস্ত দেশীয় শাড়ি আমার ব্যক্তিত্বের অংশ হয়ে গেছে অচিরেই। আমি বিশ্ব আঙিনায় বহুবার বাংলাদেশের জামদানি শাড়িকে পরিবেশনা করেছি। শাড়ির প্রতি সেই ভালোবাসা এবং অর্ণবের আন্তরিক অনুরোধ থেকেই এই গানের সঙ্গে আমার যুক্ত হওয়া।

 

আগেও গান গেয়েছিলেন...

‘ডুবসাঁতার’ সিনেমায় প্লে-ব্যাক করেছিলাম। ‘তোমার খোলা হাওয়া’ গানটি গেয়েছিলাম তখন। এছাড়াও ‘পারলে ঠেকা’ ছবিতে ‘জঙ্গলের ডাক’ গানটি গাই। এরপর অতনু ঘোষের ‘রবিবার’ এবং ‘বিনি সুতোয়’ গলা মিলিয়েছি। এই তো! আসলে গানের প্রতি ভালোবাসার জন্য এক সময় আমি রবীন্দ্রসংগীতও শিখেছিলাম।

 

জয়া আহসান এখনো চিরতরুণ...

কোথায়! মানে তরুণ কীভাবে রয়েছি কী রয়েছি জানি না। আমি তো আমার মতোই আছি। আর সময়টাকে এনজয় করাটাই আমার কাছে মনে হয় সবচেয়ে বড় বিষয়।

 

জীবন থেকে তো অনেক বসন্ত চলে যাচ্ছে...

বসন্ত চলে যায়, বসন্ত তো আবার জীবনে আসে।

 

নায়িকাদের বয়স বাড়লে জনপ্রিয়তা কমে কিন্তু জয়ার বেলায় উল্টো। রহস্যটা কী?

যত বয়স হবে, অভিজ্ঞতা আসবে, কপালে ভাঁজ পড়বে, সেই আঁকিবুঁকি, অভিজ্ঞতা নিয়েই কিন্তু সৌন্দর্যটা। আমার কাছে এটা আরও বেশি সুন্দর। কতদিন থাকতে পারি! এমন নয় যে, অনেকদিন জোর করে থাকব, দর্শক যদি অপছন্দ করে, বিরক্ত হয়ে যায়, তখন আর কাজ করব না।

 

সবাই জয়ার প্রেমে পড়ে...

ওটা চরিত্রের প্রেম পড়ে, আমার না। ব্যক্তি জয়াকে দেখলে কেউ প্রেমে পড়বে না। কারও ভালোও লাগবে না। ভক্তরা যেটা দেখেন সেটা জয়া আহসানের ইমেজ। ওটা জয়া আহসান না। জয়া আহসান খুব সাধারণ, কোনো রহস্য নেই। চরিত্রের জয়াকে দেখে সবাই ভাবে জয়া রহস্যময়ী।

সর্বশেষ খবর