রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

বৈষম্যহীন রাষ্ট্রই বাঁধনের স্বপ্ন

শোবিজ ডেস্ক

বৈষম্যহীন রাষ্ট্রই বাঁধনের স্বপ্ন

প্রথম থেকেই ছাত্রদের আন্দোলনে পাশে ছিলেন আজমেরী হক বাঁধন। ছাত্রদের হয়ে কথা বলতে রাস্তায় নেমেছিলেন তিনি। ছাত্র আন্দোলন, সরকার পদত্যাগের পর দেশজুড়ে সহিংসতা ও ভবিষ্যৎ রাজনীতি নিয়ে এখনো সরব রয়েছেন তিনি। গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিল্পী-সংস্কৃতিকর্মী সমাবেশ করে, যেখানে ‘নতুন বাংলাদেশ, নতুন প্রত্যয়; মুক্তচিন্তা ও রাষ্ট্র-সংস্কারে ঐক্য গড়ি, সম্প্রীতি ও সংহতির দেশ গড়ি’ স্লোগানে মুখর ছিলেন বাঁধন। ছাত্র-জনতার এ আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। এই আন্দোলনের আগে কী পরিমাণ অত্যাচার, জুলুম এই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে হয়েছে, সেই খবরগুলো আন্তর্জাতিক ও দেশের গণমাধ্যমে পুরোপুরি প্রচার হয়নি। তাই অনেকেই জানে না। শেষ পর্যন্ত শোষিত মানুষগুলোই রাস্তায় নেমে এসেছে।’ দেশজুড়ে সহিংসতা সংঘটিত হওয়ার কারণ নিয়ে তিনি বলেন, ‘যে কোনো গণ-অভ্যুত্থানের পর ট্রানজেকশন যে পিরিয়ড থাকে সেটা খুব কনফিউজ থাকে। সব গণ-অভ্যুত্থানের পরই এমনটা হয়েছে। মানুষের ১৫ বছরের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ আছে। তিনি তো এক দিন, দুই দিন ধরে স্বৈরাচারী সিস্টেম চালু করেননি। গত ১৫ বছর ধরে এগুলো চলেছে। আমরা কথা বলতে পারতাম না। দাসত্ব গ্রহণ করেছিলাম। সেই দাসত্ব থেকে ছাত্র-জনতার এ আন্দোলন আমাদের মুক্তি দিয়েছে। বিজয়ের উল্লাসের সঙ্গে সেই ক্ষোভগুলো বের হচ্ছে। সেই সঙ্গে কিছু সুবিধাবাদী লোকজন তো আছেই। কিছু সাম্প্রদায়িক উগ্র চিন্তার মানুষ এ আন্দোলনকে ঢাল বানিয়ে এজেন্ডা পূরণ করতে চেয়েছে। এগুলো যে অপ্রত্যাশিত ঘটনা, তা নয়। আমি মনে করি, ছাত্র-জনতার যে বিজয় হয়েছে, তা কোনোভাবেই কলুষিত হচ্ছে না এ ঘটনাগুলো দিয়ে। গত কয়েক দিন শিক্ষার্থীরা রাস্তা সামলাচ্ছেন, মন্দির-মসজিদ পাহারা দিচ্ছেন। আশা করি, শিগগিরই সুন্দর বাংলাদেশের মুখ দেখতে পাব।’ বাসাবাড়ি ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডে ধিক্কার জানিয়ে বাঁধন বলেন, ‘এমন হামলার ঘটনায় আমি লজ্জিত এবং ঘৃণা জানাই।’ সর্বশেষ তিনি একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রত্যাশা করে জানান, ‘প্রতিহিংসার নোংরা রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা এ ধরনের রাজনীতি থেকে দেশকে মুক্ত করতে চায়। আমরা কোনো বিদ্বেষের রাজনীতি করব না। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলমান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী-কেউ আলাদা নই। সবাই এক। এমন একটা রাষ্ট্রব্যবস্থা দেখতে চাই, যেখানে বৈষম্য থাকবে না।’

সর্বশেষ খবর