মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা
ঘড়ি ধরে ৫ মিনিট : নওশাবা আহমেদ

দুঃখটাকে কখনোই বিক্রি করতে চাইনি

দুঃখটাকে কখনোই বিক্রি করতে চাইনি

দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। মঞ্চ, নাটক, চলচ্চিত্র এবং ওটিটিতে তার সরব পদচারণ। সম্প্রতি তিনি বেশ কয়েকটি সিনেমা এবং ওটিটিতে কাজ করছেন।  পশ্চিমবঙ্গের সিনেমা ‘যত কান্ড কলকাতাতে’র কাজটিও শেষ করেছেন। নিজের প্রতিষ্ঠিত ‘টুগেদার উই ক্যান’ সংগঠন নিয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন। তার সঙ্গে সাম্প্রতিক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল

 

গাড়ির হর্ন! বাইরে নাকি?

হুমম... ঢাকার বাইরে আছি, কক্সবাজারে।

 

ঘুরতে নাকি শুটিং কাজে?

একটি কাজে এসেছি। শুটিং-এ। ৫-৬ দিন থাকব এখানে। শুটিং ঠিকঠাক মতো হলে ২৬ তারিখে ঢাকায় ব্যাক করব।

 

নতুন বেশ কয়েকটি কাজ করেছেন। সেগুলোর আপডেট কী?

দুটি সিনেমার কাজ করছি। অল্প কিছু শুটিং বাকি। একটার নাম এখন প্রকাশ করা যাবে না, নির্মাতার অনুরোধ রয়েছে। হয়তো তার নিজস্ব কোনো পরিকল্পনা রয়েছে। আরেকটি যে সিনেমা করছি ‘আই অ্যাম আপ’, এটার পরিচালক আবরার আতাহার। এটার শুটিং প্রায় শেষ।

 

ফের অনুদানের সিনেমায় অভিনয় করছেন...

এটা রাকিবুল হাসান পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা ‘ছোঁয়া’। সিনেমার গল্পটি অসাধারণ। আমার অভিনীত চরিত্রটিও সুন্দর। গল্প ও চরিত্র দর্শকের ভালো লাগবে বলে বিশ্বাস। 

 

পশ্চিমবঙ্গের সিনেমা ‘যত কান্ড কলকাতাতেই’ কাজ করেছেন। সেটি কবে মুক্তি পাবে?

সিনেমাটির শুটিং ও ডাবিং অনেক আগেই শেষ হয়েছে। সব ঠিক থাকলে চলতি বছরেই দুই বাংলার প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

সিনেমাটিতে আপনিই তো কেন্দ্রীয় চরিত্রে?

হ্যা... এই সিনেমায় আমি কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছি। আমার বিপরীতে রয়েছেন আবির চ্যাটার্জি। আর এমন চরিত্রে সুযোগ দেওয়ার জন্য পরিচালক অনিক দত্তের কাছে কৃতজ্ঞতা।

 

কলকাতায় ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে আপনার অভিনীত স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রদর্শিত হয়েছিল, তাই না?

হুমম... এই তো জুলাই মাসে। আমার অভিনীত ও অপরাজিতা সংগীতা নির্মিত ‘ছাড়পত্র’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি কলকাতার ‘সাউথ এশিয়ান কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এ প্রদর্শিত হয়। যদিও ভিসা জটিলতার কারণে আমি যেতে পারিনি। আর নির্মাতাও ভীষণ অসুস্থ ছিলেন।

 

‘মেঘনাকন্যা’ আট জেলার শিল্পকলা একাডেমির অডিটরিয়ামে প্রদর্শিত হলো। কেমন সাড়া পেলেন?

দর্শকের কাছ থেকে এমন ভালো সাড়া পাব তা ভাবিনি। সবকিছু মিলে ভালোই ছিল। বিশ্ব নারী পাচার প্রতিরোধ দিবস-২০২৪ উপলক্ষে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মেঘনাকন্যা’ প্রদর্শিত হয়েছিল আট জেলার শিল্পকলা একাডেমির অডিটরিয়ামে।

 

মঞ্চে ব্যস্ততা কেমন?

মঞ্চ তো আমার প্রাণের জায়গা। গত মাসে ‘সিদ্ধার্থ’ নাটকের কয়েকটি শো করেছি। এটি আরশিনগরের চতুর্থ প্রযোজনা। হেরমান হেসের লেখা একই নামের উপন্যাসকে নাট্যরূপ দিয়েছেন রেজা আরিফ। নির্দেশনাও তারই।

 

আর আপনার ‘টুগেদার উই ক্যান’ নিয়ে ব্যস্ততা?

‘টুগেদার উই ক্যান’-এর ব্যানারে নিয়মিত কাজ করছি। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীদের নিয়ে পাপেট শোও করেছি। নতুন তিনটি নাটক এসেছে। ‘মুক্তি আলোয় আলোয়’, ‘রিয়া গার্ল উইথ অ্যা হোয়াইট পিজন’ এবং সর্বশেষ ‘ত্রিবেণী’। তিনটি নাটকের শিল্পীই বিশেষ চাহিদাসম্পন্নরা। তিনটি নাটকেরই আমি নিয়মিত শো করতে চাই, যার প্রতিটিতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিল্পীরা থাকবেন।

 

দুঃসময় কাটিয়ে ফের লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনে ফিরেছেন। এটাকে কীভাবে দেখছেন?

আমি আসলে শিল্পে বাঁচি, শিল্পে খাই, শিল্পে ঘুমাই। যেটা সবসময়ই চেয়েছি এবং এই শিল্পটা মননে-মগজে গথিত। আমি দেশকে ভালোবাসি, এদেশের শিল্প-সাহিত্য ও মানুষকে ভালোবাসি। তাই অনেক অপশন থাকার পরও দুঃসময়ে কখনো দেশ ছেড়ে যাওয়ার প্ল্যান ছিল না। আমি জানতাম এমন দিন আসবে, আমি বলতে পারব- আমি নির্দোষ।  আমি বাংলাদেশি। আমি একজন শিল্পী। যার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। আসলে আমি কখনোই আমার দুঃখটাকে বিক্রি করতে চাইনি। আমি সর্বদা একাই লড়াই করে গেছি। সামনেও এই লড়াইটা অব্যাহত থাকবে।

সর্বশেষ খবর