কেমন যাচ্ছে সময়?
ভালোই যাচ্ছে। আশা করছি, সামনেও ভালো কিছু হবে।
অন্য শিল্পীর সঙ্গে অনেক জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন...
অনেক দ্বৈত গান করেছি, যেগুলো শ্রোতারা পছন্দ করেছেন। তবে সেসব বেশির ভাগই প্রথমদিককার অ্যালবাম ও সিনেমার গান। ন্যান্সির সঙ্গে কাজ করেছি, অন্যদের সঙ্গেও। ন্যান্সির সঙ্গে একটা কেমিস্ট্রি আছে আমার। যে সুরগুলো আমার কণ্ঠে মানায় না, যার কণ্ঠে মানাবে বলে মনে করি তাকে দিয়ে গানটি করাই। এখন তো নতুন শিল্পীদের সঙ্গেও অনেক গান করছি।
সাধারণত অন্যের সুরে গান কমই করেছেন...
হুমম। তবে ইমরান, মুজার সঙ্গে করেছি। অন্যের কম্পোজিশনে আমি গান করব, সেটার ইচ্ছা তো ছিলই। মুজার তৈরি ‘বেণি খুলে’ গানটি দিয়ে অন্যদের সঙ্গে আমার কণ্ঠ শেয়ারের কাজটি শুরু করি। এর আগে যা গেয়েছি, সবই নিজের কম্পোজিশনে। মুজার গানটি করার পর আমার দারুণ অভিজ্ঞতা হয়। মনে হলো বিষয়টি মজার, বিশেষ করে যখন অন্যরা আমার কণ্ঠ ভেবে কম্পোজিশন সাজায়। এরপর ইমানের প্রস্তাবে একটি গান করি। তখন আমিও প্রস্তুত ছিলাম। মানে, ইচ্ছা ছিল অন্যের কম্পোজিশনে গাওয়ার।
গায়ক নাকি মিউজিক কম্পোজার হিসেবে কাজ করতে বেশি পছন্দের?
গায়ক হিসেবে একটা আলাদা দর্শক তৈরি হলেও মিউজিক কম্পোজার হিসেবেই বেশি আনন্দ পাই। তবে ভক্তদের দাবি থাকে তারা আমার কণ্ঠে গান শুনবেন। একজন সংগীত-পরিচালক হিসেবে প্রচুর জিঙ্গেলে কাজ করেছি। সেগুলোর বেশির ভাগই অন্য শিল্পীদের গাওয়া। সেগুলো কিন্তু দশকপ্রিয় হয়েছে।
ফোক গানগুলো একটু আলাদাভাবে রিমেক করেছেন। এ চিন্তা কীভাবে মাথায় এসেছিল?
এ বিষয়টি মাথায় আসে লন্ডন যাওয়ার কারণে। যখন যাই তখন ইউটিউব, ফেসবুক, জিমেইল কিছুই ছিল না। ইন্টারনেট বলতে শুধু মেইলটাকেই বুঝতাম। লন্ডনে দেখা বাঙালিদের মধ্যে বেশির ভাগই সিলেটের। তাদের মুখেই স্থানীয় ফোক গানগুলো শুনি। অন্তর থেকে এমনভাবে গানগুলো করে এবং সংস্কৃতিকে তুলে ধরে, যা ভালো লেগে যায়। এসব দেখেই ফোক গানের বিষয়টি মাথায় আসে।
গান এখন ফেসবুক-ইউটিউবের মাধ্যমে শুনছে, দেখছে। এ বিষয়ে কী বলবেন?
আন্তর্জাতিকভাবে ইউটিউবের পাশাপাশি শুধু গান শোনার জন্য অনেক প্ল্যাটফরম রয়েছে। যেমন- সাউন্ড ক্লাউড, অ্যাপেল মিউজিক, আই মিউজিক ইত্যাদি। আমাদের দেশে বিস্তরভাবে এগুলো এখনো চালু হয়নি। তবে কাজ চলছে। অ্যাপ ডেভেলপাররা এগুলো নিয়ে কাজ করছেন। এগুলো যখন মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে তখন গানের জন্য ভালো দিক হবে। গান মূলত শোনার বিষয়।
প্রেমিক হিসেবে নিজেকে কীভাবে দেখেন?
প্রেমের সম্পর্ক হঠাৎ করেই হয়ে যায়। সম্পর্কে অনেক বেশি আশা-কল্পনা লুকিয়ে থাকে। প্রথম দিন থেকেই যে এগুলো বুঝি এমন কিন্তু না। ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা হয়। একটি ছেলেমেয়ের প্রেম শুরু হওয়া মানে একটি বই পড়তে শুরু করা। একের পর এক নতুন অধ্যায় আসবে, কিন্তু তারা জানে না যে সামনে কী আছে। তা তো তাদের দোষ না। দোষ কখন হবে যখন বইটি পড়ে শেষ করার পরও আবার ভুল করি। এর জন্যই দেখা গেছে দিনের শেষে সম্পর্ক আর কাজ করে না।