জীবনমুখী গানের গায়ক হায়দার হোসেন। ব্যতিক্রমী এই গায়কের গানগুলোর কথা, সুর, গায়কী, সংগীতে থাকে ভিন্নতা। তিনি গানে গানে সমাজ, মানুষ, জীবন ও রাষ্ট্রের অসংগতির কথা তুলে ধরেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও তাঁর পুরনো গানগুলো অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। বর্তমানে তিনি শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ হলেও এর মধ্যে দেশের জন্য নতুন গান গেয়েছেন এই শিল্পী। তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল
শারীরিকভাবে এখন কেমন আছেন?
এখন কিছুটা সুস্থ আছি। তবে বেশ দুর্বল হয়ে গেছি। হাঁটতেও অসুবিধা হয়। হৃদযন্ত্রে একটি রিং (করোনারি স্টেন্ট) পরানো হয়েছে। এর আগেও বুকে আরও চারটি রিং পরানো হয়েছিল। আর বয়সও তো হয়েছে। তবুও আল্লাহ ভরসা।
এই অসুস্থতার মাঝেও দেশের পরিস্থিতি নিয়ে নতুন একটি গান করেছেন...
হ্যাঁ। গানটির শিরোনাম ‘বিজয় উল্লাস’। এবারের গানটিরও কথা ও সুর আমার করা। সংগীত করেছেন ফুয়াদ নাসের বাবু। আর আমার সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন মিরাজ খান, যে ‘মাটি’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট। গানটি মাইটিভিতে প্রকাশ হয়েছে।
আপনার প্রতিটি গানে দেশের ও মানুষের কথা থাকে। এই গানটিতে কী বলতে চেয়েছেন?
অনেক জীবনের বিনিময়ে নতুন দেশ পেয়েছে ছাত্র-জনতা। শাসকের সঙ্গে যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে এনে আজ আমরা উচ্ছ্বসিত। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, দেশ নিয়ে যে উল্লাস, আনন্দ চলছে এই আনন্দকে ধরে রাখতে হবে। এই আনন্দকে ধরে রাখতে আমাদের অনেক কাজ এখনো বাকি। ‘বিজয় উল্লাস’ গানটি সে কথাই বলছে। আশা করছি, গানটি শুনে সবাই উচ্ছ্বসিত হবেন।
গানে গানে সব সময় খুঁজেছেন স্বাধীনতাকে। চলমান পরিস্থিতিতেও সামাজিক মাধ্যমে ঘুরছে আপনার গান...
‘আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া’ আর ‘স্বাধীনতাটাকে খুঁজছি’ গান দুটি এখনো সমসাময়িক। এখন তো চিৎকার করে কাঁদা ছাড়া তো কিছু করারও নেই। গানগুলো নতুন করে প্রচুর মানুষ শুনছে, কারণ এ ছাড়া গতি নেই। আমরা তো বন্দুক নিয়ে রাস্তায় নামতে পারব না। এটা তো স্বাধীনতার যুদ্ধ না।
দীর্ঘদিন পর নতুন গান করলেন। এত সময় নেওয়ার কারণ কী ছিল?
এমনিতে তো অসুস্থ ছিলাম। অন্যদিকে এখন আর গিটার বাজাতে পারি না। আমার একটা হাত হাফ-প্যারালাইজড হয়ে গেছে। নতুন গানও বাঁধা হয় না। কেন বাঁধব? কোথায় দেব গান?
এখন তো অনেক প্ল্যাটফরম...
আমার গান তো প্রচার হয় না। গান করে বসে বসে শুনতে হবে নিজেকেই। আমার কাজ গান করা, মার্কেটিং নয়। তবুও তো গান করছি।