সামিনা চৌধুরী। তার পরিচয়ের জন্য নামটাই যথেষ্ট। চার দশকের বেশি সময় ধরে গান করছেন। উপহার দিয়েছেন অসংখ্য কালজয়ী গান। গানের সব মাধ্যমেই কণ্ঠের জাদুতে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন এই সুকণ্ঠী গায়িকা। তার সঙ্গে সমসাময়িক ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল
কেমন আছেন?
মোটামুটি ভালো আছি।
নতুন কোনো গান আসছে?
নতুন নতুন অনেক গানই তো ঝুলে আছে। অনেক গান করেছি। প্রস্তুত আছে কিছু। চেষ্টা করছি প্রতি মাসে অন্তত একটি করে গান করার।
কিংবদন্তি গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের সঙ্গে কয়টি কাজ হয়েছে?
কেউ বিশ্বাস করবে না যে, আমি তার কোনো গানই করিনি! তার সঙ্গে একটাও গান নেই। অবশ্য এমন অনেকেই রয়েছেন যাদের সঙ্গে কাজ হয়নি। আমার এত বছরের সংগীত জীবনে আমি মাত্র একটি গান করেছি শ্রদ্ধেয় আলম খানের সুরে।
বাবার গান নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে?
বাবার গান তো সব সময়ই করি। সবাই বাবার গান শোনে। গাইতে বলে। সারা বছরই স্টেজেও তার গান করি। সামনেও অব্যাহত থাকবে।
সংগীতের ক্ষেত্রে ওপারের শিল্পীরা কতটা প্রফেশনাল?
প্রফেশনাল বিষয়টি একেক দেশের শিল্পীর ক্ষেত্রে একেক রকম। ওপারের শিল্পীরা একটু প্রফেশনাল বেশি। তবে এ দেশের শিল্পী, সুরকার, গীতিকার, মিউজিক ডিরেক্টরের সঙ্গে কাজ করে আমি বেশি আরাম পাই। তারাও সংগীত ভালো বোঝেন। আগে একটা গান হলে সবাই সেটি নিয়ে বসতাম, গাইতাম। এটা বাংলাদেশেই সম্ভব। বাংলাদেশের সবার সঙ্গে কাজ করা আনন্দের। নচিকেতা, ওপারের জয় সরকারের সঙ্গে কাজ করেছি। আরেকজন আছেন আশুতোষ। অনেক সুন্দর মিউজিক ডিরেকশন দেন তিনি। এরপর রুপোজ্জল মজুমদারের কথা বলতেই হবে। দুই বোন মিলে বাবার ‘ওগো মোর মধুমিতা’ গানটি নতুন করে গেয়েছি। সে কিন্তু নন্দিত সুরকার প্রবীর মজুমদারের ছেলে। তবুও বাংলাদেশকেই প্রেফার করি।
গান গাওয়া ছাড়া আপনাকে অভিনয়েও দেখা গেছে...
আমার আম্মু পছন্দ করেন না। জানি না সামনে আর করা হবে কি না!
বাইরের কোনো স্টেজ শো করছেন?
বাইরে না। আমি তেমন করে করি না।
পুরনো গান আর এখনকার গান কোনটা ভালো?
শ্রোতারা যা বলবে সেটিই আসল। তবে এখন অনেক ভালো ভালো গান হচ্ছে। আগেকার দিনের গানে যেসব কারুকাজ ছিল, এখনকার দিনের গানে সেগুলো খুব কম ব্যবহার হয়।