বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা
ঘড়ি ধরে ৫ মিনিট : মোশাররফ করিম

আমি তৃপ্তি পেলে বিশ্বাস যে দর্শকও তৃপ্তি পাবে

আমি তৃপ্তি পেলে বিশ্বাস যে দর্শকও তৃপ্তি পাবে

শীর্ষ অভিনেতা মোশাররফ করিম। দুই যুগের বেশি সময় ধরেই টিভি নাটক, বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্রে কাজ করছেন সদর্পে। একসময় সরব ছিলেন মঞ্চে।  বেশ কয়েক বছর হলো দুই বাংলায় ওটিটি ও চলচ্চিত্রে কিছু চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করে হইচই ফেলে দিয়েছেন এ ভার্সেটাইল অভিনেতা। এ তারকার সঙ্গে তাঁর জানা-অজানা নানা বিষয়ের কথা তুলে ধরেছেন - পান্থ আফজাল

 

সুমন আনোয়ারের ‘মির্জা’র কাজ কি শেষ?

হুমম, শেষ হয়েছে। এটি বঙ্গর একটি ওয়েব কনটেন্ট।

 

কাজটি কেমন হলো?

আমার কাছে তো ভালোই মনে হয়েছে। আশা করছি, সবার কাছে ভালো লাগবে।

 

কিছুদিন আগেও বলা হতো কমেডিনির্ভর কাজ বেশি হচ্ছে। এখন তো মানবিক গল্পেও নাটক নির্মিত হচ্ছে...

সব ধরনের কাজই হওয়া উচিত। আমার কাছে তো গল্পকেই অমানবিক মনে হয় না। যেমন একটা নিছক হাসির গল্পও মানবিক। এই অর্থে মানবিক যে সেটি বিনোদন দেয়। আর মানুষকে যখন সেই কাজটি বিনোদিত করে তখন তার মন ভালো হয়ে যায়। তো সেটা মানুষের কাজে লাগছে। কথা হচ্ছে, সব ধরনের কাজই হওয়া উচিত। তবে হয়ে উঠাটা জরুরি আর কি! কমেডি হোক, ট্র্যাজেডি হোক, থ্রিলার হোক বা পারিবারিক হোক বা অন্য ধরনের কিছু- আসলে একই ধরনের কাজ ক্রমাগত হতে থাকলে তাতে একটা বন্ধ্যত্ব তৈরি হয়। তাতে একটা বিরক্তির সৃষ্টি করে। এটা নির্মাতার জন্যই কিন্তু সুখকর নয়। নির্মাতাও যেমন আনন্দ পায় না, তেমনি কলাকুশলীরাও আনন্দ পায় না। একটা পর্যায় গিয়ে তাদেরও ভালো লাগে না। তাই ভিন্ন ভিন্ন ধরনের কাজ হওয়া উচিত।

 

দর্শকরা কী চায় তার ওপর নির্ভর করেই কি নির্মাতা-শিল্পীরা কাজটি করে থাকেন?

আমি আসলে অভিনয় করি তো। তো শিল্পের ক্ষেত্রে আমার কাছে মনে হয় ওই বিশ্বাস খুব একটা ভালো না, এটা আমার মতো। যে আগে থেকেই মনকে বাজারে পাঠানো। দর্শক কী চাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আসলে সৃজনশীলতা ব্যাহত হয়। আমি আমার কাজটা ঠিকঠাকভাবে করব, সুন্দরভাবে করব। এবং কাজটি করে আমিই তৃপ্তি পাই কি না সেটাই আমার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি তৃপ্তি পেলে বিশ্বাস যে দর্শকও তৃপ্তি পাবে। এবং তাই হয় আসলে। যদিও এমন ব্যাপার-স্যাপার আছে যে দর্শক এখন এরকম চাচ্ছে, ঐরকম চাচ্ছে। তো সৃষ্টি তো করবে আসলে শিল্পী বা আমাদের এ সেক্টরে যদি বলি আমরা সবাই মিলে। সো, সেটা আমাদের মনের মধ্যে থেকে আসলেই তো ভালো।

 

নাম একরকম কিন্তু ভিতরে আরেক ধরনের গল্প...

অনেক ক্ষেত্রে এমন ঘটেও। কারণ সবকিছুর পরে এখানে অর্থলগ্নির বিষয় আছে। অর্থ উঠে আসার বিষয় আছে, ব্যবসা করার বিষয় আছে। কিন্তু তারপরেও তো ওই জায়গাটাকে বিসর্জন দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। পরবর্তীতে সেই সহজতাগুলো সেই ধারাবাহিকতায় এসেছে। আমরা চলিত অবধি চলে এসেছি। নামের ক্ষেত্রেও সেই কমিউনিকেটিভ ব্যাপারটা জরুরি।

 

মহানগরে ফের ওসি হারুণ, সত্যি কি?

এটা আসলে ভালো বলতে পারবেন নিপুণ। দেখা যেতেও পারে, বলা যায় না।

সর্বশেষ খবর