মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা
ঘড়ি ধরে ৫ মিনিট : তানজিন তিশা

দর্শক হতাশ হন তেমন কাজ করিনি

দর্শক হতাশ হন তেমন কাজ করিনি

অভিনেত্রী তানজিন তিশা। প্রায় এক দশকে নাটকের গন্ডি পেরিয়ে পা রেখেছেন ওয়েব জগতেও। নতুন এ প্ল্যাটফরমে ভালো কাজ দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করা চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি বেশকিছু ভিন্নধর্মী নাটক ও ওয়েবে অভিনয় করেছেন। তাঁর সঙ্গে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন - পান্থ আফজাল

 

অভিনয়ে এক দশক পার! কেমন লেগেছে এ জার্নিটা?

আসলে টিকে থাকার লড়াইয়ে পুরো এই জার্নিটা আমার জন্য সহজ ছিল না। সেই অর্থে কারও সাহায্য পাইনি। তারপরও নিজের মতো কাজ করে গিয়েছি। তবে যখন এই শোবিজ মিডিয়ায় কাজ করতে শুরু করি, তখনো জানতাম না, অভিনয়টাই করব। একটা সময় এমনও শুনেছি, তানজিন তিশা অভিনয় পারে না। এত কিছুর পরও চেষ্টা করে গেছি। দর্শক হতাশ হন তেমন কাজ করিনি। আর সামনেও করব না।

 

এখন কোনটাকে বেশি গুরুত্ব দেন-কোয়ান্টিটি নাকি কোয়ালিটি?

আগে একটি নাটক দুই দিনে শুটিং করতাম। এখন পাঁচ দিনে করি। কারণ, পাঁচ দিনে একটা কাজ করলে কোয়ান্টিটি কমবে, কোয়ালিটি বাড়বে। এখন ১০-১৫টা কাজ করার দরকার নেই। ভালো দুটি কাজ করলেই হবে।

 

সম্প্রতি পারলার কর্মীর চরিত্রে একটি নাটকে আপনাকে দেখা গেছে...

হুম্, একজন রূপসজ্জাকারীর ভূমিকায়! নাটকটির নাম ‘বিউটিকুইন’ যেটি নির্মাণ করেছেন প্রীতি দত্ত। চিত্রনাট্যও তাঁর লেখা। আমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন খায়রুল বাসার।

 

কয়েক বছর ধরে আপনাকে ভিন্নধর্মী চরিত্রে দেখা যাচ্ছে। এ চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মূল কারণ কী?

একজন পরিপূর্ণ শিল্পী হয়ে উঠতে হলে সেই সব মানুষের গল্পই পর্দায় তুলে ধরা উচিত, যাদের আমরা প্রতিনিয়ত দেখি, কিন্তু তাদের জীবনের গল্পটা পুরোপুরি জানা হয়ে ওঠেনি। সে কারণেই গত কয়েক বছর আমি অসংখ্য নাটকে গ্ল্যামার চরিত্রে অভিনয় করেছি। নতুন সব চরিত্র পর্দায় তুলে আনার চেষ্টা করছি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে দর্শকের ভালোবাসাও পেয়েছি। তারপরও আত্মতৃপ্তির অভাব বোধ করেছি সব সময়।

 

এর আগেও ‘পয়জন’ ওয়েব ফিল্মে কাজ করেছেন নায়িকা চরিত্রে...

এই চরিত্রে অভিনয় করার আগে আমি একজন নায়িকার জীবনযাপনও রপ্ত করেছি। আমাকে জানতে হয়েছে, একজন নায়িকাকে কাজ করতে গিয়ে কী ডিল করতে হয়! আমি অনেক সিনেমা দেখেছি। যেহেতু আমি সিনেমার নায়িকা নই, তাই রূপা মীর্জা হতে গিয়ে একজন সিনেমার নায়িকাকে স্টাডি করতে হয়েছে। ১২ দিন যখন শুটিং করেছি তখন মনে হয়েছে আমি রূপা মীর্জা ছিলাম।

 

যে নায়িকার চরিত্রটি দেখানো হয়েছে তা বাস্তব চরিত্রের সঙ্গে মিল ছিল কতটুকু?

বাস্তবের সঙ্গে মিল-অমিলের বিষয়টি বলতে পারব না। তবে পয়জনে একজন নায়িকার একটি জার্নি দেখানো হয়েছে। গল্পটি সুন্দর। যেটি সুনিপুণভাবে পরিচালক ক্যামেরায় তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।

 

নরসুন্দরী নাটকে নারী নাপিত চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এ চরিত্রটি সমাজে কতখানি প্রতিক্রিয়া ফেলেছে?

নারীরা আমাদের সমাজে এখনো পুরোপুরি নিরাপদ নয়। কাজ তো কাজই। নারী-পুরুষ সমানভাবেই করতে পারে সেটা। কিন্তু কোনো কোনো কাজ এ সমাজে এখনো নারীদের জন্য বাধা, মেনে নিতে পারে না। এই যে নাপিতের কাজ নারীরা করতে গেলে সমস্যা। কাজটি করতে গিয়ে পদে পদে বাধা।

 

সিনেমার পূর্ণাঙ্গ নায়িকা হিসেবে কবে পাবে দর্শক?

সেটা অবশ্য শিগগিরই দেখতে পাবেন। অনেক দিন ধরে সিনেমার ভালো গল্পের জন্য অপেক্ষায় রয়েছি। প্রস্তাব পেয়েছি অনেক। তবে আমি চাই, নাটক ও ওয়েবে আমি যে ধরনের চরিত্র বা গল্পে কাজ করি সে ধরনের গল্প সিনেমায় হোক তা চাই না। একটু আলাদা কিছু চেয়েছি। সে জন্য এত অপেক্ষা। আশা করছি, শিগগিরই সিনেমায় কাজ করব।

সর্বশেষ খবর