চলতি সময়ের ব্যস্ত অভিনেতা মুকিত জাকারিয়া। নিজের অভিনয়গুণে দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। টিভি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করে পরে টিভি নাটকে অভিনয়ে আসেন তিনি। পাশাপাশি চলচ্চিত্র ও ওটিটিতে অভিনয় শুরু করেন। এ তারকার সঙ্গে সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল
নতুন কী কাজে ব্যস্ত?
বেশ কিছু কাজ করেছি। এরমধ্যে আকবর হায়দার মুন্নার কনসেপ্ট ও প্রযোজনায় এবং তপু খানের পরিচালনায় করেছি ‘মমতা’। কিছুদিন আগে কায়সার আহমেদের ‘গোলমাল’ এর ৪০০তম পর্ব প্রচারিত হলো আরটিভিতে। এন আই রাজ্য ও তাশদিক শাহরিয়ারে পরিচালনায় ‘সিটি লাইফ’ ধারাবাহিক করছি। এটি মাছরাঙার জন্য। আরও বেশকিছু কমার্শিয়ালসহ নাটকের কাজ করেছি আর কিছু কাজের কথাবার্তা চলছে।
ছবিয়ালের বাইরের কাজগুলো নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
ছবিয়ালের নাটক খুব একটা করা হয়নি। বলতে গেলে ছবিয়ালের ১০-১২টা কাজ করেছি। এর বাইরে আমি প্রচুর স্বনামধন্য ডিরেক্টরের নির্মাণে অভিনয় করেছি। আমি ১৪ বছরে এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ড্রামা করেছি। এতগুলো কাজ করা কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়। সে হিসেবে ওই জায়গাটা আমার চলার পথকে সুগম করেছে। আলাদা রকমের কাজগুলো তাই সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
এত কাজের মধ্যে কোনটাকে এগিয়ে রাখতে চান?
আমি ১০০টির বেশি টিভিসি করেছি। প্রতিটিই দর্শকরা পছন্দ করেছেন। অনেক দর্শক মন্তব্য করে, আমার বিজ্ঞাপনগুলো দেখার পর তারা চোখ সরাতে পারেন না। এমনিভাবে অনেক মা আমাকে বলেন, আমার বিজ্ঞাপন দিয়ে তাঁরা তাঁদের শিশুদের সকালের খাবার, দুপুরের খাবার, রাতের ডিনার পর্যন্ত করান।
সবাই আপনাকে মজার মানুষ হিসেবেই জানে...
আসলে তা নয়। আমার যে এটিচিউড, উপস্থাপনটা দুই একটা জায়গায় হয়তো ডিফারেন্ট। হাসির একটু ব্যাপার আছে। আমি কিন্তু অনেক সিরিয়াস, অনেক ভিন্ন বা আলাদা রকমের ক্যারেক্টার করেছি, এখনো করছি। সাকসেসফুল্লি নিজেকে উপস্থাপন করেছি বিধায় বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের বাইরে বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে যথেষ্ট সমাদৃত হয়েছি আমি। কারণ, আমার বিভিন্ন নাটক, বিভিন্ন বিজ্ঞাপন, বিভিন্ন ওয়েব ফিল্ম দুই বাংলার দর্শকদের কাছে দর্শকনন্দিত হয়েছে।
রাস্তায় বের হলে কতটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়?
বিড়ম্বনা বলবা না এটিকে। ভালোবাসা বলা যায়। আমি যখন বিভিন্ন সময় রাস্তায় বের হই রিকশা বা গাড়িতে করে, তখন আমাকে অনেক ভক্ত বিভিন্ন নামে ডাকে। তার মানে হলো আমার শুধু একটি, ১০টি বা ২৫টি নয়, আমার করা সিগনেচার নাটক বা বিজ্ঞাপন অনেক হয়ে গেছে। যার কারণে আমাকে অনেকেই ক্যারেক্টারের নাম ধরে ডাকে। এটা আমার এচিভমেন্ট।
ইদানীং ব্যক্তিগত ইস্যু নিয়ে শিল্পীরা ব্যস্ত...
ব্যক্তিগত ইস্যু বা পরনিন্দার চর্চা করা খুবই ব্যাড প্র্যাকটিস। আমি মনে করি, নিজের ব্যক্তিগত এটিচিউড দিয়ে নিজেকে প্রেজেন্ট করা উচিত নয়। কোনো পর্যায়েই উচিত নয়। ব্যক্তিগত বিষয় ব্যক্তিগত থাকাই শ্রেয়। আর শিল্পীকে তো কাজ দিয়েই নিজেকে প্রমাণ করতে হবে, তাই নয়?