গাড়ি বের করতে গিয়ে দেখি সারি সারি আলুর বস্তা। আমাদের পাড়ায় যে বিরানি বানায়, সে সামনে দাঁড়িয়ে। জিজ্ঞেস করলাম কী ব্যাপার? বলল, “পুজো আসছে। আলুর স্টক করছি দিদি।” ঠান্ডা গাড়ির কাচ তুলে দিয়ে যেতে যেতে মনে হলো- পুজো তো আসলে এঁদেরই মায়ের আগমনের আবহাওয়াটাই অন্যরকম। আমরা যাঁরা তিন বেলা খেতে পাই তাঁদের বিশেষ সুবিধাসম্পন্ন মানুষ মনে করি। যাঁরা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন, পুজোয় বাবা একখানা শাড়ি উপহার দেবেন, তাঁদের কথা ভিন্ন। কাজেই পুজো কে কীভাবে কাটাবেন, উৎসবে যোগ দেবেন কি না, তা সেই ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে। আমার সিদ্ধান্ত একরকম হতেই পারে কিন্তু আমি অন্যকে আমার পছন্দ অনুযায়ী চালনা করতে পারব না। সেই অধিকার নেই আমার।